পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার কথিত এ ত বৃত্তাস্ত শুনিলা । আপনিও তাহার অপ্রাপ্তে দীন ছিলা ॥ বিশেষত এক্ষণেতে তাহার স্মরণে । শোকেতে নিশ্বাস কিছু করিম ত্যজনে ॥ মম শোকবৃদ্ধিভয়ে আপনার শোক । সম্বরি সকল দিক করিয়া বিলোক । গুঢ়-কথা-ব্যক্তিভয়ে পাশ্বেতে আনিলা । অল্পস্বরে সকরুণে কহিতে লাগিলা— এই শ্ৰীবৈকুণ্ঠলোক হইতে অপর। প্রাপ্যফল কিছু আর নাহি অন্ততর। মানিতেছে যেই যুক্তিশ্রেণীর দ্বারায় । সে সত্য নিশ্চিত—নাহি অন্যথা ইহায় ॥ কিন্তু নিজ ইষ্ট শ্ৰীমন্মদনগোপাল-। দেবের "বিনোদ’—লীলাবিশেষ বিশাল ॥ ধ্যানে যে মিলিত তাহা সাক্ষাত-দর্শনে। সৰ্ব্বথাপ্রকারে ইচ্ছা কর যেই মনে ॥ সেই ত বিনোদ কৃষ্ণমুখপ্রদায়ক । মনোহারী প্রীতি-বিশেষের গোচরক ॥ আমাদের সুলভ কখন তাহ নয়। তাহারি নিগূঢ়-মধ্যে শ্রেষ্ঠ সেই হয়। কিন্তু প্রসিদ্ধমহিমা যেই ব্ৰজজন । র্তাহীদের মত মহাপ্রেমে লভ্য হন ৷ প্রপঞ্চ প্রপঞ্চাতীত যক্ত লোকচয় | তাহীদের উপরেতে কোনো লোক হয় ৷ তাহাতে প্রসিদ্ধ সেই লীলা বিরাজিত । নিজভক্তগণে লোভ দিয়া সুবিহিত । অতএব জগদীশবুদ্ধে করি ভক্তি । বৈকুণ্ঠে আসিয়া তাছা দেখিতে কি শক্তি ? অতি-প্রিয়তম-বুদ্ধ্যে যে প্রেমবিশেষ । তার সম্পাদনে সেই লোকে সৰ্ব্বশেষ । পাইয়া পরম গোপ্য বিনোদ সে সৰ। অনায়াসে হয় সে সাক্ষাৎ অনুভব ॥ পরম-ঐশ্বৰ্য্য-প্রাস্ত-সীমা যে নিশ্চিত । তাহা ভগবানের এ লোকে প্রকাশিত ॥ মহা গোপনীয় মুরহস্য লীলা যেই । এ বৈকুণ্ঠে কিপ্রকারে ব্যক্ত হবে সেই ? ॥ সকল মনের শোক করিয়া ত্যজন । শ্রীযুক্ত শ্রীবৈকুণ্ঠ-নায়কে করি মন । নিজ-ইষ্টদেববৃদ্ধে করহ দর্শন। উভয়েতে ভেদ নাহি কর আশ্রয়ন ॥ অভেদদর্শনে মুথ মণ-তৃপ্তিকর । অনিৰ্ব্বচনীয় বৰ্দ্ধমান নিরস্তুর ॥ শ্ৰীবৃহদ্ভাগবতামৃত יצל পরম মছত—পরিচ্ছেদ নাই যার। হেন মুখ এখানেও পাইবে বিস্তার। তবে শ্রীনারদের উক্তির পটুতায় । মনেতে আশ্বাসমত পাইলাম তায় ॥ বৈষ্ণবসিদ্ধাস্ত-মহীরত্ব প্রকাশেন ৷ অশেষ-সংশয়-উপদ্ৰৰ বিনাশেন ॥ মানস করিয়া কোনো সিদ্ধান্তনিচয় । যেসকল নিজ বুদ্ধিগোচর আছয় ॥ বৈষ্ণববৃন্দের প্রিয় সে-সব শুনিতে। শ্রবণ-ইন্দ্রিয় হঠে করিল প্রেরিতে। ইচ্ছিলাম নারদের মুখে শুনিবারে। অন্তথা শ্রবণ-মুখ না হয় প্রচারে ॥ তাহার গৌরব-হেতু লজ্জার কারণে। নাহি পারি তারে সেইসব জিজ্ঞাসনে ॥ সৰ্ব্বজ্ঞের শ্রেষ্ঠ সেই ভাগবতোত্তম। অভিপ্রায়ে জানিলেন সব মনোগম ॥ আপন জিহবার—কর্ণদ্বয়ের আমার । মুখ-চেতু মম হৃদিস্থিত যেই সার । সকল সিদ্ধান্তে ব্যক্ত সংক্ষেপের দ্বারে । শ্ৰীনারদমুনি লাগিলেন কহিবারে— । গো-ঘোটক-গজ-আদি যত পশুগণ । পারাবত-কেকিলাদি পক্ষিয়ে গণন ॥ মন্দার-কুন্দাদি বৃক্ষ, লতা, গুল্ম, তৃণ । কীট-আদি এ বৈকুণ্ঠে যে দেখ নয়ন ॥ তমোযোনিগত—পৃথিবীতে জাত-মত। না মানহ এসকলে, শুনহ সম্মত— ॥ এসব সচ্চিদানন্দরূপ মুনিশ্চয় । শ্ৰীকৃষ্ণচন্দ্রের ইহারা পার্ষদ হয়। বিচিত্র সেবাতে হর্ষ দিবার কারণে | পশু-পক্ষি-আদি রূপ করেন ধারণে ॥ এই ভগবানের যে রূপ ষে আকার। যে যে বর্ণ নিজপ্রিয়তম হেতু সার। ভাবনা করিয়া যেই যেই ভক্তগণ । বৈকুণ্ঠনাথের করিয়াছেন ভজন ॥ ইহার তাদৃশাকার বর্ণস্বরূপতা । পাইয়াছে নানাবিধ শোভা-আকারতা। শ্ৰীল-রঘুনাথাদির ভজন করিল। তাদের সারপ্য-প্রাপ্তে মনুষ্য হইল । শ্ৰীকপিলদেবাদির যে ভক্তি করিল। মুনিরূপ সারূপ্য বৈকুণ্ঠ সে পাইল । মন্বন্তরাবতার ত্রবিভু সত্যলেন। তাদের সারূপ্যে ছৈল দেবাকার মেন ।