পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বজ্ঞাজি-প্রবর্ভ দ্বারা জীবের পালক । পাপপুণ্যফল-মুখ-দুঃখ-প্রদায়ক। নিজ দিবসেতে এই সকল ব্যাপার। রাত্ৰি হৈলে পুনৰ্ব্বার করেন সংহার ॥ সহস্ৰ-মস্তক-অক্ষি-অবয়ব-বান। জগত-আশ্রয় মহাপুরুষ-অাখ্যান ৷ প্রথমেতে ব্ৰহ্মা ধ্যানে হৃদয়ে দেখিলা । নানামত স্তবস্তোত্র তাহারে করিলা ॥ আজ্ঞা পাই স্বষ্টিকাৰ্য্যে নিযুক্ত হইলা । আপন মানস বর ব্রহ্মা যে মাগিলা— আমার ভুবনে ভগবান হে ঈশ্বর 1। এইরূপ সাক্ষাৎ হইয়া বাস কর । স্বীকার করিয়া তাহা করিছেন বাস । যজ্ঞভাগ সমৃদ্ধ করেন সদা গ্রাস ॥ আনন্দ করেন তত্রবাসি-সবা কারে । সহস্রসহস্ৰ যুক্তি এই ত প্রকারে। শ্ৰীকৃষ্ণের কৃপাস্পদ সেই ব্রহ্মা হন। কৃপা পাত্র করি তাহে কি আর কখন ॥ আপনি শ্ৰীকৃষ্ণ তিহু হয়েন নিশ্চয় । শ্রীতি-স্মৃতি-বাক্যেতে প্রসিদ্ধ ইহা হয় ॥ চতুর্থস্কন্ধে ( ভা: ৪।৭৫১ – ত্রয়াণামেকভাবানাং যো ন পশুতি লৈ ভিদাম । সৰ্ব্বভূতাত্মনাং ব্ৰহ্মন স শাস্তিমধিগচ্ছতি । মিহ জানহ আরো মাহাত্ম্য র্তাহার। সেই-লোকবাসি-সকলেরো সুবিস্তার ॥ পরীক্ষিত কহেন—শ্ৰীইন্দ্রের বচন । শুনি, ‘সাধুসাধু’ বলি উঠিলা তখন ॥ শীঘ্র ব্রহ্মলোকে মুনি গমন করিলা । মহৎ যজ্ঞের তথা বিস্তৃতি দেখিলা ৷ ব্ৰহ্মঋষিগণ করে বেদ-উচ্চারণ । তাহাতে প্রেসন্ন পরমেশ্বর তখন ॥ মহাপুরুষরূপক জটা-বিভূষিত । সহস্রমস্তক ভগবান শ্ৰী-সহিত ॥ আবির্ভূত হয় যজ্ঞভাগের গ্রহণ। করি, যজ্ঞকারিদিগে দেন আনন্দন ॥ ব্ৰহ্মার আহলাদ-জন্ত দ্রব্য নিবেদিত । সহস্রহস্তেতে মুখসহস্ৰে অৰ্পিত ॥ ভোজন করিয়া—দিয়া মনোমত বর । নিদ্রাগৃহে গমন করিলা সে সত্ত্বর ॥ করিতে লাগিলা লক্ষ্মী পারসম্বাহন। গী লাক্রমে করিলেন নিদ্রার গ্রহণ ॥ স্ত্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত מיג অন্তৰ্য্যামিরূপে দত্ত তার আজ্ঞা পায়্যা। ব্ৰহ্মা ব্ৰহ্মাণ্ডের কার্য্যাচরণ লাগিয়া ॥ আলি নিজালয়ে বসি পারমেন্ঠ্যাসনে । নিজপ্রভু-মহিমার আখ্যান শ্রবণে ॥ অষ্টনেত্রে অশ্রধারা বহে অনিবার। সেবিত বিচিত্র পরমৈশ্বর্ষ্যোপহার। নারদ আপন-পিতা-নিকটে আসিয়া । কহিতে লাগিলা দণ্ডবৎ প্ৰণমিয়া-— হরির কুপার পাত্র হন মহাশয় । নিশ্চয় জানিল—ইতে নাহিক সংশয় ॥ প্রজাপতি-প্ৰতি সৰ্ব্ব-লোক-পিতামহ । একল করছ স্বষ্টিস্থিতি লয়-সহ ॥ ব্ৰহ্মাণ্ডের ঈশ্বর—স্বয়ম্ভ, নাম র্যার। নিত্য অবিরাম শ্রেষ্ঠ ঐশ্বৰ্য্য-বিস্তার। ইঙ্গাদির মত প্রলয়েহ কদাচিত । ঐশ্বৰ্য্যের ভ্রংশত নাহিক সুনিশ্চিত ॥ যে তোমার চতুমুৰ্থ হৈতে প্রকাশিত। পুরাণ-নিগম-আদি অর্থপ্ৰবোধিত ॥ মূৰ্ত্তিমস্ত সভায় আছেন বিদ্যমান। আছয়ে অখিল-ত্তানসংপত্তি-প্রমাণ ॥ সংপূর্ণ বিশুদ্ধ স্বধৰ্ম্মাচরণ করি । মদাদি-রহিত সাধুজন যত্নাচরি ॥ তব লোক পায়্যা মুখে করয়ে যাপন । যাঙ্গর উপর নাছি ব্ৰহ্মাণ্ডে ভুবন ॥ নারায়ণদেব-লোক অতি প্রকাশিত । বৈকুণ্ঠাখ্যধাম যার মধ্যে বিরাজিত ॥ সেই ধামে নিত্য মহাপুরুষবিগ্রহ। সাক্ষগত করেন বাস করি অনুগ্রহ ॥ তব যজ্ঞভাগ করি আপনি ভোজন । সেই ফলে বরদান করেনমুক্ষণ ॥ পূবে অন্বেষণ আর আয়াস বিস্তরে। যাহার উদ্দেশ না পাইলে যত্নপরে ॥ তপস্যা করিয়া বহু—ক্ষণমাত্র তার । পাইলা দশন হৃদিমধ্যে একবার ॥ এক্ষণে সাক্ষাৎ তব গৃহে নিবসয় । অতএব সত্য কুষ্ণপ্রিয় মহাশয় ॥ ষদি কহ—সহস্ৰ-মস্তক জনাৰ্দ্দন | করিছেন গৃহমধ্যে এক্ষণে শয়ন ॥ অনা-অন্ত বহু রূপ আছয়ে তাহার। তুমি চতুর্মুখ—তাহা হৈতে ভিন্নাকার ॥ কহিতে নারিবে তুমি এ মত বচন। লীলাক্রমে নানীদেহ করছ ধারণ ॥