পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাহা মম অপরাধেতে পৰ্য্যবসান । হইতেছে, মনে ইহা বুঝহ বিধান । ইঞ্জ-আদি লোকদিগে দিল অধিকার। তাহাজের মহামদে কৈল অহঙ্কার ॥ ইন্দ্র কৈলা গোবৰ্দ্ধনযজ্ঞে বৃষ্টিপাত । যুদ্ধগৰ্ব্ব করিল—হরণে পারিজাত ॥ দ্বাদশর রাত্রিশেযে নন্দ মহাশয় । যমুনার জলে মগ্ন—মানের আশয় ॥ এইকালে বরুণ হরণ র্তারে করি । আপনার পুরে লৈয়া গেল অহঙ্কারি । ধেমু বাপমুনির না কৈল সমৰ্পণ। পুন তারে করিলেক অনেক বঞ্চন ॥ শ্ৰীকৃষ্ণের অধ্যাপক সান্দীপনিবর। শ্ৰীমধুমঙ্গল তার পুত্ৰ শ্রেষ্ঠতর। বরুণ মারিল র্তারে পঞ্চজন-স্বারে । পুন যুদ্ধ কৈল—বিষ্ণুপুরাণে উচ্চারে ॥ কুবেরের ভূত্য যেই শঙ্খচূড়ানামে । কৈল গোপাহরণ শ্ৰীবৃন্দাবনধামে । পাতালমধ্যেতে যেই অমুরের গণ । বৈষ্ণবের দ্রোহচেষ্টা করে সৰ্ব্বক্ষণ ॥ কালিয়-বান্ধব যত দুষ্ট সৰ্পগণ । সহজ-ক্রোধিত—করে মন আচরণ ॥ দিকৃপালগণ আমা হৈতে অধিকার। পায়্যা, কৈল অপরাধ বহুত প্রকার ॥ আমারে পর্ষ্যবসান সেই সব হয় । সংপ্রতিকে কৈল আমি অপরাধচয় ॥ পুলিনভোজনে কৃষ্ণ ছিল বৃন্দাবনে। মায়াতে করি বৎস-বালক-হরণে ॥ সব বৎস-বালক আপনি কুষ্ণ হৈলা । সংবৎসরব্যাপি-লীলা বহুবিধ কৈলা ॥ পরে সকলেরে শ্রীগোবিন্দ-রূপ]শ্রয়। দেখিয়া হইনু আমি মহাশ্চৰ্য্যময় ॥ ভীত হৈয়। প্ৰণমিয়া করি স্তবন। অতি ধৃষ্টতর আমি—কি কব কথন ॥ গোপবালকের মত যেই কৃষ্ণলীলা । গ্রাসহস্তে বৎস-বালকেরে অন্বেষিলা ॥ সেসব দেখিয়! আমি হইন্ধ বঞ্চন । অনুগ্রঃে আমারে না কৈলা সম্ভাষণ ॥ তবে কৃষ্ণমুখপদ্ম সহজ প্রসন্ন। দেখি কৃতার্থতা মানি হর্ষ উপপন্ন । লে কেবল কৃষ্ণপ্রিয় যেই ব্রজভূমি। তাহার গমনফল—জানিবে সে ভূমি ॥ द्वैडूश्ढांश्रवज्रांशृङ NÉ ঈশ্বরের হয় ব্রজ-স্বরহস্ত-স্থানে। লীলার সঙ্কোচ হবে মোর অবস্থানে । তাছে অপরাধ হবে—ইহা অঙ্কুমিল। এইহেতু ব্রজে বাস সদা না করিল। অন্ত নিজ অসৌভাগ্য কি করি বর্ণন । তব স্তব সব ইথে হৈল নিরস্তন ॥ এই ব্ৰহ্মাণ্ডের মধ্যে করি বিচরণ। তাদৃশ কৃপার স্থান নাকরি দর্শন। কিন্তু মহাদেব হন কৃষ্ণকৃপাম্পদ । "কৃষ্ণপ্রিয়"—খ্যাত তিহ—প্রসিদ্ধ সম্পদ ॥ কৃষ্ণ-পাদপদ্ম-রসে সদা উন্মাদিত । চতুর্বর্গ অবজ্ঞায় ত্যজিলা নিশ্চিত ॥ পরমৈশ্বৰ্য্যতা আর মুখাদি-বিলাস । বিভোগ করিলা ত্যাগ—জানহ প্রকাশ ॥ ব্ৰহ্ম-ইন্দ্র-আদি যেই মোরা দেবগণ । অনিত্য বিষয়ে সক্ত হই সৰ্ব্বক্ষণ ॥ আমাদিগে উপহাস করিবা-কারণ। ধুস্তর আকন্দ অস্থিমালার ধারণ ॥ বস্ত্র নাহি পরে, করে ভস্মাগুলেপন । আলুলিত জটাভার না করে বন্ধন ॥ উন্মত্তের ন্তায় ঘূর্ণ্যমান সৰ্ব্বক্ষণ । সহ ভূত-প্রেত-পিশাচাদি স্বীয় গণ ॥ কৃষ্ণপাদপদ্মধৌত জল যেই গঙ্গা। ত্রিলোকতারিণী—কালনিবারিণী-ভঙ্গ ॥ তাহারে মস্তকে ধরি অতি হর্ষভরে। বৃত্য করি জগতেরে হর্ষযুক্ত করে ॥ শ্রীকৃষ্ণপ্রসাদে মমতুল্য অধিকারি। গণের অভীষ্টদানে শক্ত পত্নী তারি। শিবলোক-নিবাসি-সকলে সদা মুক্ত। যেইসবজন হয় তার কৃপাযুক্ত ॥ তারা মুক্ত আর কৃষ্ণভক্ত হইয়াছে। দেখ ইহা সৰ্ব্বত্ৰেতে ঘোষণা রয়্যাছে ॥ কৃষ্ণ হৈতে শিবের যে বিভেদ-কথন । মহা দোষকরী সেই হয় সৰ্ব্বক্ষণ ॥ শ্রীকৃষ্ণেতে অপরাধ করে যেইজন। শরণ লইলে, তাহ করেন ক্ষমন ॥ শিবের নিকটে হৈলে আপরাধান্বিত । না করেন তারে ক্ষেমা কৃষ্ণ কদাচিত ॥ শ্রীকৃষ্ণের ভক্তিরস-গ্রাহকাতিশয়। মহা অবতার প্রিয় পরম নিশ্চয় ॥ ত্রিপুরেশ্বরেরে শিব বর কৈলা দান । মুধারসকুপ তার পুরে বিদ্যমান।