পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/১৭৮

ጋማm সখীগণ আত্মতুল্য নিরুপম হয । প্রিয় সেইসবে আছে আবৃত শোভায়। গুরু-শিষ্য সেই রূপ করিয়া দর্শন। হৈল মহাহৰ্ষশ্রেণী:ভার গাঢগণ ॥ পড়িলেন কিবা দণ্ডপ্রণtধকারণ । সম্বমেধাংসিত-সৰ্ব্বনৈপূণ্য দুইজন ৷ প্রিয়প্রেমবশ কৃষ্ণ ধাইলা তখন । হর্ষভৱে মুগ্ধ করিলেন আগমন ॥ উহাদের উপরেতে হইলা পতনে । দার্থ মহাভূজে আলিঙ্গিয়া দুইজনে ॥ আছে কৃষ্ণ মহাপ্রভু কৃপাদ্র হৃদয়ে । স্বান করাইল সে প্রেমাশুধীরচিযে । ক্ষণেক উঠিয় করদ্বয়ে দুইজনে । উঠাইয়া করিলেন স্থির সেইক্ষণে ॥ গাত্রে লগ্ন অশ্র আর ধূলির মাজন । করিয়া দয়ালু মুহুঃ কৈলা আলিঙ্গন । তথায় ভূমিতে বলি তাদের সহিত । ৰাক্যামুতে দ্বিজবরে করেন তোধিত— । ছে প্রজনশৰ্ম্ম মথ রাহুগ্ৰহীতার্ষ্য ! । বিপ্রবংশলারের চন্দ্ৰম আচfধ্য ! ! জিজ্ঞালিয়ে—সৰ্বমতে তোমার কুশল । কহ কহ বিরাজিত হ্য কি সকল " ॥ সৰ পরিবারের সহিত লে আমার । তোমার প্রভাবেতে কুশল অনিবার । তোমার উপরে যেই মম কৃপা হয । তাহাতে আকৃষ্টচিত্ত জানিছ নিশ্চয় ॥ কৰে তুছি আগমন করিবে এখায । পথনিরীক্ষণে আমি থাকি সৰ্ব্বনাম । তন্ত্ৰ তুমি আমারে যে করিলা স্মরণ। ভদ্র চিরকালপরে করিলা দর্শন ॥ তোমার স্বাধীন আমি জানিবে ব্রাহ্মণ । আপন ইচ্ছায় এথা করছ ক্রীড়ন । পরীক্ষিত কহে—জনশৰ্ম্ম দ্বিজবরে । সম্পূর্ণ সন্ত্রম আর প্রেমানন্দভরে । ৰপক্কত হই তবে প্রত্যুত্তর দিতে । শক্ত নাহি হন আর দর্শন করিতে ॥ বাপেতে সম্যক রুদ্ধকণ্ঠ সে হইল । নয়নের দৃষ্টি অশ্রধারায় রোধিল । কেৰল শ্ৰীকৃষ্ণের চরণপদ্মন্ধয় । মন্তকে ধরিয়া বহু রোদন করয় ! দাতাচুড়ামণি কৃষ্ণ ভাবে নিজমনে— । এই বিপ্র করিলেক আত্মী-সমর্পণে ॥ ♚बढां★दछ আমি যদি বশীভূতরূপেতে ইহারে। নিজ আয়ু সমৰ্পণ করিয়ে প্রচারে । তবে সম ছৈলে মম কিবা উদারতা । আমা হৈতে অধিকো না দেখিয়ে দেবতা ৷ হইলা আকুল প্রতিদেয় না দেখিয়া । বলে গাত্র চৈতে অলঙ্কার আকৰ্ষিয় ॥ সেসব ভূষণে বিপ্রে করিয়া ভূষিত । স্বরূপের মত করিলেন সুশোভিত ॥ এইমতে কৃষ্ণ নিজ প্রিয় সহচার । গোপকুমারত্ব করি প্রতিপন্ন তার ॥ তাহাতে পরম কৃপা করিলা বিস্তার। জনশৰ্ম্ম পাইয়া লে করুণার সার ॥ স্বরূপের মত বিধানেতে মুনিশ্চয় । পরিপূর্ণ-সৰ্ব্বফল হৈল সেসময় ॥ অতঃপরে বেণুধ্বনি সঙ্কেত দ্বারায় । পশুদিগে আহ্বান করিয়া শু্যামরায ॥ মুখশব্দ ৰিচিত্র করিয়া সেইক্ষণে । জলপান করাইলা সব পশুগণে । সেইশব্দে মুখদেশে যত পশুগণে । নিরোধিয়া পশুগণে, বলিযা আপনে ॥ জনশৰ্ম্ম স্বরূপ অগ্রজ সখীগণ । সকলের সছ কৈলা জলেতে এীড়ন ॥ পরম্পর জল লেকে কৃষ্ণু সখাগণে । কতু জল দিয়া করে ভঙ্গের প্রাপণে ॥ কতু সখীগণ হৈতে পাই ভঙ্গভর । বিহারবিদগ্ধ কৃষ্ণ হলেন বিস্তর ॥ বহু জলবাদ্য শুভ তাদের সহিত । বাজাইয়া যমুনার প্রবাহে ত্বরিত ॥ স্রোতের উজান আর ভাটায় তখন । করিলেন বিচিত্র ক্রীড়ন সস্তরণ ॥ কন্তু যমুনার জলে লুকাইয়া কায় । পদ্মবনে কৃষ্ণ নিজ মুখ রাখি তায় । কুতুহলী এইমতে হইলেন স্থিতে । যেন কেহ গুtহারে না পারয়ে লক্ষিতে ॥ কৃষ্ণের দর্শনে প্রাণ ধরে সখীগণ । অন্বেষণ করি কৃষ্ণে না পান যখন । বন্ধুগণ ব্যঞ্জবুদ্ধি চইযা তখন । মহা দুঃখী স্বস্বরোচ্চে করেন রোদন। তবে হাসি পদ্ধবন হৈতে বহিরিলা। সখীগণ যেনমাত্র ঐকৃষ্ণে দেখিলা ৷ প্রকৃষ্ট হর্ষসমূহে ৰিকলি নয়ন । গল্ফগতি সৰে আগ্নে করেন গমন ।