পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/২০৬

ਵ੍ਯਯੇਡ਼ ਵਕ਼ প্রথম অধ্যায় | ভক্তিশ্চতুৰ্ব্বিধা জ্ঞানং বিজ্ঞানং তত্ত্বনির্ণয়ম্। তৃতীয়স্কন্ধচরিতং শৃণুধ্বং যত্র বর্ণ্যতে । ধৃতরাষ্ট্র রাজা ছিল কুপুত্র অধীন ! সে যেই ইচ্ছয়ে তাই করে অক্ষহীন । পঞ্চটী পাণ্ডব শুদ্ধ ধৰ্ম্ম কলেবরে । তা-সভা পোড়াতে রাজা থইল জৌম্বরে । ছলে রাজ্য ছারাইল দূতক্রীড়া করি । দ্রৌপদী সভাতে আনে কেশপাশ ধরি ॥ বিষলাডু দিলা ভীমে মাবিবার তরে। এইরূপে কত কত কৈল পরকারে । ধৃতরাষ্ট্র মহারাজ মন্ত্রণা করিতে । ভাক দিয়া বিঘুরে আনিলা সভাসতে ॥ কহিতে লাগিলা তবে ৰিকুর স্বমতি । কহিব তোমারে রাজা কর অবগতি ॥ যুধিষ্ঠিরে দেহ তুমি আৰ্দ্ধ রাজ্যখণ্ড । দুভাই অর্জুন ভীম মহা পরচণ্ড । কৃষ্ণ তার সহায় অখিল লোকপতি । তার সহে ছাড় রাজা বিবাদ যুগতি ॥ কুলাঙ্গার দুৰ্য্যোধন আছে নিজ পুরে । এ বড় বিষম দোষ দেখিয়ে তোমারে ॥ এ বোল শুনিএ দুর্য্যোধন দুatচার । বিদ্বরকে দিলা গালি ভৎসিয়া অপার । কে আনিল হেন দুষ্ট সভার ভিতরে । বার অল্প খেঞা জীয়ে মন্দ বোলে তারে ॥ সহজে অল্প জাতি দাসীর কুমার । আনিতে উচিত নহে সভার মাঝার ॥ সভ হৈতে দূর কর কুমন্ত্রভজন : পর পক্ষ হৈয়া বলে অসত্য বচন ॥ এ বোল শুনিএ ধীর ব্যাসের নন্দন । দ্বারে ধনু থইয়া বনে চলিলা তথল । অবধূত বেশ ধরি শিরে জটাভার । দও কম গুলু করে পরে বাঘছাল ॥ নানা তীর্থ যত যত আছে ক্ষিতিতলে । পুণ্য নদ নদী যত পুণ্য-সরোবরে। যে যে রূপ পরি হরি যথা যথা বৈলে । করিয়া সকল তীর্থ চলিলা প্রতালে । সিন্ধুড়া রাগ । বখনে বিছর আসি প্রতাসে মিলিলা । লোকমুখে বন্ধুগণনিধন শুনিলা । জানিলা বিদুর ভার হরিলা শ্ৰীহরি। ক্ষণেক বসিলা তবে চিত্ত স্থির করি । যুধিষ্ঠিরে রাজা করি প্রভু যদুবর। শাসিয়া সকল দিল ধরণীমণ্ডল । এ সব শুনিএ সরস্বতীতীরে আসি । তথা রছি নানা তীর্থ কৈল তীর্থবাসী ॥ তবে আলি প্রয়াগে বিছর উত্তরিলা । উদ্ধবের সঙ্গে তথা দরশন হৈল । মারাটি রাগ। স্বারকার কথা জিজ্ঞাসিলা একে একে। স্মঙরিয়া উদ্ধৃব আকুল হৈলা শোকে ॥ সে মহা ভকত একে কৃষ্ণের কিঙ্কর । এ জন পরাণে জীয়ে বড় চমৎকার ॥ স্মঙরি বিচ্ছেদ তার জীয়ে হেন জন । এইত অল্প নহে শকতি কারণ ॥ পাঁচ বরষের শিশু যখনে আছিল । ভাত খাইবার তরে মায়ে ডাক দিল । না ছাড়িল কুষ্ণকেঙ্গি না কৈল ভোজন । হেন সে উদ্ধব ভাগবত মহাজন ॥ ভূমিতে পড়িলা সে যে হুয়্যা মুরছিত । ক্ষণেক থাকিয়া তবে স্থির কৈল চিত ॥ পুলকে পুরিল অঙ্গ সজলনয়নে । চিত্ত নিবারিয়া কথা কহে মতিমানে ॥ কি কহিব কুশল বিদুর মহামতি । হত্যভাগ্য সব লোক হত বসুমতী ॥ হতভাগ্য যদুকুল জাল তাল মন্তে । একত্রে বলিয়া কৃষ্ণের না জানিল তত্ত্বে ॥ ইঙ্গিতজ্ঞ এক মহামতি শুস্থভাব । হেন হয়্য। না জানিল প্রভুর স্বভাব । দেবমীয়া বলবতী কি কহিব তারে । হরয়ে সভার মতি ভ্ৰম করিবারে।