পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১২ বহুবিধ ভোগ দিব্য তাথে মনোহর । মুবর্ণ ভিঙ্গার তাথে স্বশীতল জল । কপূর তাম্বুল তাথে মনোহর ভীতি } স্বপনেই যাহা নাহি দেখে শচীপতি ॥ ত্রিভুবনে নাহি সে যে রথের উপমা। কাহার শকতি তার কহিব মহিমা ॥ একত্র আছয়ে তাথে অষ্ট মহানিধি । মুক্তিমতী হৈল কি মুনির যোগ সিদ্ধি ॥ হেন রথ মিলিল মুনির যোগবলে । তাহাতে হইল আর দিব্য সরোবরে। ইহাতে করিয়া স্নান চড় দিব্য রথে । তবে আমি পুরাব তোমার মনোরথে । আজ্ঞা পেয়ে দেবহুতি জলেতে মজিল । জলের ভিতরে স্বয়ম্বন্দরী দেখিল । অঙ্গ মারজন কেহ করায় মজ্জন । বসন পরায় কেহ বিবিধ ভূষণ । কেহ বেশ করে কেহ চামর চুলায়। কেহ মাল্য করে কেহ তাম্বুল যোগায় । ইন্দ্রের ইন্দ্রাণী কিবা হরের পাৰ্ব্বতী । ভুবন জিনিঞা রূপ ধরে দেবহুতি ॥ জলে হৈতে উঠিল কিঙ্করীগণ সঙ্গে । মুনির বচনে রথে চড়িলা আনন্দে ॥ চলিলা কর্দম মুনি মহাযোগেশ্বর। বাম কোটি জিনি রূপ ধরে মনোহর ॥ যতেক বিহার স্থল আছে ত্রিভুবনে । যোগবলে বিহার করিল স্থানে স্থানে ॥ পরম যোগেন্দ্র মুনি অব্যাহত গতি । বিবিধ বিহার (১) করে লেয়া দেৱহুতি ॥ স্বর-সিদ্ধ নর-পুরে করেন বিহার । এইরূপে বিহরিতে গেল চিরকাল ॥ তবে নিজ স্থানে চলি আইল মুনিবর । পূৰ্ব্বরূপ ছাড়ি হৈলা মুনিকলেবর ॥ তবে নব কন্ত প্ৰসবিনী দেবহুতি । উতপল গন্ধ তহু মোহন মুরতি ॥ চলিলা কর্দম মুনি করিয়া সন্ন্যাস । কয়যোড়ে দেবহুতি দাণ্ডাইল পাশ । পুরুবে আছিল আজ্ঞা হইব তনয় । আপনে জানিয়া কৃপা কর মহাশয় ॥ পত্নীর হৃদয় বুঝি মুনির প্রধান। কখোদিন রহিলা করিয়া সমাধান ॥ (১) পাঠাৰ,—“ৰিনোদ” “বিলাস । ॐयेभडां★वड শুভকালে শুভক্ষণে শুভ ৰোগ-তিথি । আপনে আসিয়া জনমিলা মুরপতি । ধরিলা কপিল নাম মহা মুনীশ্বর। সূৰ্য্য কোটি সম তেজ দীপ্ত কলেবর ॥ হেনকালে ব্ৰহ্মা আইলা সঙ্গে ঋষিগণ । কদিম মুনিয়ে তবে কৈলা সম্ভাষণ ॥ ধন্ত তুমি মহাযোগী সফল জীবন। আপনে তোমার পুত্র হৈলা নারায়ণ । তোমার আছয়ে কস্তা লব ধৃতব্ৰতা । র্তা-সভার যোগ্যবর এ নব জামাতা । নব ঋষি কুলে শীলে তোমার সমান। বুঝিয়া করহ তুমি কত সংপ্রদান ॥ আমার কুমার বৎস তোমার জামাতা । এ বোল বলিয়া গেলা সৰ্ব্বলোক পিতা । তবে মুনি বিচারিয়া কৈল শুভক্ষণ । আনিয়া বরিলা নব ঋবি তপোধন । মরীচি ঋষিকে কষ্ঠ দিলা কলা মামে । অত্রিকে করিলে অনস্বয় সংপ্রদানে ॥ শ্রদ্ধা নামে কুমারী অঙ্গির মুনি পাইল । হবিভু দুহিতা তার পুলস্ত্যে ভজিল । পুচ হে পাইল গতি ক্রিয়া ক্রতু মূনি । খ্যাতি কস্তা পাইল তৃও পরম রমণী ॥ বশিষ্ঠ পাইল কস্তা নামে অরুন্ধতী। অথৰ্ব্বকে দিলা শাস্তি নামে সত্যবতী । কন্ত দিয়া কৈলা মুনি বিনয় বেভারে। সাদরে চলিলা তারা নিজ নিজ ঘরে । বিষ্ণু অবতার দেখি কপিল কুমার। আলিয়া কদম মুনি কৈল নমস্কার। বহুবিধ স্তুতি কৈল বিবিধ বিধালে । চলিতে মাগিলা আজ্ঞা পুত্রের চরণে ॥ পুত্ৰ বুদ্ধি না খুচিব তোমার সাক্ষাতে । দূরে থাকি চরণ ভজিব ধ্যান পথে ॥ জগত-উদ্ধার-হেতু কৈলে অবতার। মোর ভববন্ধ যেন নহে আরবার। আজ্ঞা দেহ পৃথিবী করিৰ পৰ্য্যটন। যথা তথা থাকি যেন চিন্তয়ে চরণ ॥ বাপের বচন শুনি কপিল কুমার। কহিল যাহার তরে কৈলা অবতার ॥ সত্যযুগে সাংখ্য যোগ পুরুবে কহিল। হেন যোগপথ চিরকাল নষ্ট হৈল ॥ সেই সাংখ্যযোগ আমি কহিব এখানে । মুখে যেন তয়ে লোক এই দরশনে ॥