পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

देश८णांक्-श्रृंथ, चांद्र धन-डेनॉर्बन। পরলোক-মুখভোগ ধৰ্ম্ম-আচরণ। সাধ্য-সাধনাদি করি যত কাৰ্য্য হয়। কিছুতে নাহিক বাদ্ধা মাত্র সমুদয় ॥ জাতি-বর্ণ-আশ্রমের যেই ধৰ্ম্মাচার। তাহার অধীন নছে,—অতিক্রান্ত তার ॥ জন্মের গ্রহণ যেইকালে জীব করে। দেৰ-ঋষি-পিতৃ-ঋণে বন্ধ হয় নরে ॥ ষজ্ঞে দেব-ঋণ, ঋষি-গুণ অধ্যয়নে। মুক্ত হয় পিতৃ-খণে—পুত্র উৎপাদনে ॥ যদি এই তিন খণে নিৰ্ম্মজ্ঞ না হয়। একারণ বেদমার্গ-অতিক্রাস্ত র্য। হরিপাদপদ্ম-ভক্তিবলে ত নিশ্চয় । ঋণত্রয়-আদি হৈতে লে অকুতোভয় ॥ এমতে ভক্তের কৰ্ম্মে নহে অধিকার । পাপাজির অভাবেতে-ভয় নাহি তায় ॥ বিষ্ণুলারূপ্যাদি কিছু বাস্থা নাহি করে । র্তার ভক্তিরসেতে লম্পট যেই নরে। ব্রহ্মলোক-আদি যেই বিষয়ের ভোগ। নিৰ্ব্বাণের স্বর্থ-আদি মানে হেয়-যোগ । স্বৰ্গ-মুক্তি-নরকেতে দেখম্নে সমান । র্তারা মোর বড় প্রিয়—যেন ভগবান ॥ সেই সব ভক্তসহ আমার মিলন। পরম প্রার্থনা আমি করি সর্বক্ষণ ॥ সেই সৰ ভক্তের হয় যেই স্থানে স্থিতি । সে-ই লে বৈকুণ্ঠলোক—নিঃসংশয় ইতি ॥ কৃষ্ণভক্তিমুৰাপানে হইয়া উন্মত্ত । দেহ-দৈহিকাদি কাৰ্য্য-বিস্মরণ-তত্ত্ব । মর্ত্যলোকবাসিতক্তগণের স্বরূপ । প্রাকৃতিক দেহেতে সচ্চিদাননারূপ ৷ মত্যলোকে যদ্যপি সকল সিদ্ধি হয় । ৰৈকুণ্ঠ বৈকুণ্ঠবাসী কিৰা প্লাঘা রঞ্জ ? ॥ কহিছেন এ লাগি—সাক্ষাৎ ক্রীড়া সব। বিষ্ণুসহ হয় ত বৈকুণ্ঠে অনুভব । চিত্তে আবির্ভাব ধ্যানে হয় কদাচিত । অন্তৰ্দ্ধান হৈলে ভক্ত হয় ত দুঃখিত। বিচিত্র-বিলাস লক্ষ্মীকান্ডের সহিত । শ্রীবৈকুণ্ঠলোক বিনা না হয় বিদিত। অতএব বৈকুণ্ঠনিবাসি-ভক্তগণ। কৃষ্ণের পরম প্রিয়—দয়াৰান হন। অপ্রাপ্ত বৈকুণ্ঠ বিষ্ণুভক্ত যত মর" তাহা হৈতে আর জামা হৈতে শ্রেষ্ঠতর। জীবৃহভাগৰতামৃত ততঃপর পাৰ্ব্বতী স্ব-স্বামির কথিত । মহালক্ষ্মীদেীর মাহাত্মা-বিবর্জিত ॥ শুনিয়া সহিতে নাহি পারিয়া পাৰ্ব্বতী। ক্ৰোধ করি কহিছেন নারদের প্রতি— তার মধ্যে বিশেষ শ্ৰীলক্ষ্মীদেবী হন। 'হরিপ্রিয়া’-নাম ধার প্রসিদ্ধ ভুবন। যতেক বৈকুণ্ঠবাসী, বৈকুণ্ঠে যে আর । সকলের ঈশ্বরী—নিশ্চিত শুন সাব। র্যাহার কটাক্ষপাত হৈলে উপপত্তি । লোকপাল ইজাদির হয় ত সম্পত্তি । জীবেশ্বর-তত্ত্বজ্ঞান, আর হরিভক্তি । ভোগ-মোক্ষণদিতে ৰেবা হয় ত বিরক্তি ॥ হইলে যাহার অনুগ্রহ স্বপ্রকাশে। হয় ত জীবের শীঘ্ৰ সিদ্ধ অনায়াসে । তোমরা সকলে ভজমান সমাদরে । সমুদ্রমন্থনকালে হি হেলা করে। আত্মারাম পূর্ণকাম নিরপেক্ষ-মন ৷ ছরি করি আরাধন করিলা বরণ ॥ সম্পত্তির অধিষ্ঠাত্রী লক্ষ্মীর চাঞ্চল্য। জগতের মধ্যে আছে সৰ্ব্বত্র প্রাৰল্য ॥ fর্তহ মহালক্ষ্মীর হয়েন অবতার। সে চাঞ্চল্যদোষ কিবা ক্রি হাতে প্রচার ? ॥ এই অশঙ্কায় কহিছেন—স্থিরমতি । হরি-বক্ষে মনোহরে করেন বসতি ॥ যেই-যেই অবতার করেন শ্রীহরি। লক্ষ্মী সহাযিনী তার হন অবতরি। নিরস্তর সর্বত্র হরির সহ রমা। পতিব্ৰতাসকলের হয়েন উত্তমা ॥ এতেক শুনিয়া মুনি পরম হৰ্ষিত । ৰিবশ হুইলা—মন অত্যন্ত ক্ষোভিত। সেইকালে পৃথিবীতে কৃষ্ণ-অবতার। দ্বারকাতে নানা লীলা করেন প্রচার ॥ তাহা বিস্মরণ মুনি হইয়া তখনে । হইলেন উদ্যত বৈকুণ্ঠগমনে ॥ “জয় ঐকমলাকান্ত হে বৈকুণ্ঠপতি । জয় ঐবৈকুণ্ঠবাসী, বৈকুণ্ঠ জয়তি ॥ জয় কৃষ্ণপ্রিয়া পদ্ম—বৈকুণ্ঠৰীশ্বরী।" এইবাক্য মুনিবর কহে উচ্চ করি। করিবারে মহালক্ষ্মীদেবীর স্তবন। বৈকুণ্ঠে গমন লাগি উঠিল তখন ॥ বুঝিয়া শ্ৰীমহাদেৰ ধরি মুনিকরে। নিষেধি বৈকুণ্ঠগতি কহিছেন পরে—