পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/২৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিৰ ধৰ্ম্ম সংস্থাপন করিল সংসারে । বিস্তার করিয়া গুরু কহিবে আমারে। জগতে দুলভ ভাগবত সেই জন । তারে বিস্ত্র বাধিতে না পারে কদাচন ৷ আপনে কহিলে পূৰ্ব্বে ব্যাস-মুখরিত । ভাগবত জন হয় সংসারে পুঞ্জিত ॥ একস্তি ভকতি যার দেব জনাৰ্দ্দনে । তারে বিস্ত্র বন্ধিতে না পারে কদাচনে । নচাগ্নি বাধিতে পারে দুষ্ট চেীর ভয় । ভূত বেতাল আদি যত পেতচয় । সপ ব্যাঘ্ৰ নক্ৰ আদি দুষ্ট দক্ষ্যগণ । ভাগবত জনেরে না বাধে কদাচন। জগতে পূজিত রাজা মহা ভাগবত। কেন তারে বিস্ত্র কৈল অদিতির স্থত। ভাগবত জনে ভেব করয়ে যে জন । ব্যর্থ তার দেহ গেহ বিফল জনম ॥ সলিল বিহনে যেন সরিতা যেমন । পদ্মহীন সর হেন নহে সুশোভন ॥ ফলহীন তরুবর বিফল যেমন । ভাগবতদ্বেষী ভক্তিবিহীন তেমন ॥ কি বুঝিয়া ইন্দ্ৰে দ্বেষ কৈলা নরবরে । বিস্তার করিয়া গুরু কহিলে আমারে। রাজার ৰচন শুনি শুক যোগেশ্বর। সাধু সাধু বলি প্রশংসিলা বহুতর ॥ সমাহিত হৈয়া রাজা শুন সাবধানে । যাহা জিজ্ঞাসিলে কিছু করিমু বাখানে ॥ মহা ভাগবত রাজা পৃথ, নরপতি। তাহার মহিমা কহে কাহার শকতি ॥ কহিব তোমারে কিছু অলপ বিস্তর। একচিত্ত হৈয়া তুমি শুন নরবর। মহাভাগবত রাগ পৃথ, নরেশ্বর । প্রতাপে মার্জগু শীতলতায় শশধর । একছত্রে নরপতি ভারতমণ্ডলে। ৰিপুল অতুল ধৰ্ম্ম স্থাপিল সংসারে । ইন্দ্রের অমরাবতী সমান বৈভব। নৃপতির গুণে মুৰী সকল মানব । পুণ্যকৰ্ম্ম ফলভোগ করিল বর্জন। সকল সংসার হৈল হরিপরায়ণ ॥ ইন্দ্ৰ আদি উপাসনা সকলে তেজিল। বিষ্ণুভক্তি উপাসনা সকল ব্যাপিল । উদ্দেশে ভজয়ে সভে প্রভুর চরণ। দও পরণাম ভতি শ্রবণ কীৰ্ত্তন ॥ Qo গ্ৰীকৃষ্ণ-প্রেমতরঙ্গিণী శిచిరి ইন্দ্রের ইন্দ্রম্বভোগ ভোগ সমতুল । নিষ্কণ্টকে পৃথুরাণে ভুঞ্জয়ে বিপুল । রাজার ঐশ্বৰ্য্যে ভয় পাইল পুরন্দর। মোর ইন্দ্রপদ নিব এই নরবর। এত বিমরিশ ইজ করিয়া হৃদয় । পুথিবীর স্থানে গিয়া করিল বিনয় ॥ আমার বচন তুমি দৃঢ়চিত্তে ধর । সংসারের যত শস্ত সত্বরেতে হয় । এত শুনি সব শস্ত পৃথিবী হরিল। সংসারের যত জীব মহাকষ্টী হৈল । অনাবৃষ্টি কৈল ইন্দ্র দ্বাদশ বৎসর। অসংখ্য অপার জীব মরিল বিস্তর। দেখি পৃথরাজা হৈলা চিস্তিত অস্তর। পুরোহিত লঞা যুক্তি কৈল নরবর ॥ পুরোহিত বলে রাজা কর অবধানে । ইজ দেবরাজ হয়্যা তত্ত্ব নাঞি জানে। জীবহিংসা মহাপাপ বেদেতে বাখানে । তথাপি করিল ইন্দ্র হৈলা হীন জ্ঞানে ॥ জীবহিংসা সাধুজনে না করে প্রশংসা । তবে দ্বেষ ইন্দ্রচিত্তে করিল দুরাশা ৷ এতেক শুনিএ রাজা বন্দি পুরোহিতে । ইন্দ্রেরে মারিব আজি হেন কৈল চিতে ॥ নানা অস্ত্রশস্ত্র দিব্য করিল কাছনি । একরথে স্বরপুরে গেলা নৃপমণি ॥ জানি ইঞ্জ পৃথ,রাজা বিষ্ণু অবতার। সঙ্গোপনে রহে সভে তেজি স্বৰ্গদ্বার। একে একে স্বৰ্গ পৃথ, সব বিচারিল। কোথাহ ইন্দ্রের দরশন না পাইল । স্বৰ্গে হৈতে পৃথিবীতে করিল গমন । পথে নারদের সঙ্গে হৈল দরশন ॥ নারদ বলেন রাজা কোন কৰ্ম্ম কর। আগে তুমি পৃথিবীরে সত্বরেতে মার ॥ তবে সে ইন্দ্রের বধ হইবে নিশ্চয় । s এত বলি চলিলা নারদ মহাশয় ॥ ! শুনিয়া নৃপতি বাণ যুড়িয়া সন্ধানে। সকল পৃথিবী বলে করিয়া ভ্রমণে ॥ দেশ গিরি আদি করি করিলা ভ্রমণ । কোথায় পৃথিবী সঙ্গে নৈল দরশন। ভ্ৰমিয়া অনেক শ্রম হৈলা কলেবরে । দুই চক্ষু রক্তবর্ণ ক্রোধিত অস্তরে ॥ শব্দভেদী বাণ ক্রোধে সন্ধান করি। ভয় পায়্যা পূখী আসি দরশন দি৷