পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষ্ণের পরম-প্রিয়জন আলোকন— ঔৎসুক্যেতে বিনাশিত তোমার স্মরণ ॥ সেই মহালক্ষ্মী, আর শ্ৰীহরি আপনে । ভূমে দ্বারকায় বৈসে-নাহি কি স্মরণে ? ॥ মহালক্ষ্মী দেবী স্বয়ং হয়েন রুক্মিণী । স্বয়ং ভগবান কৃষ্ণ বিরাজেন তিনি । শ্ৰীবামন-নিকটে দেব্যাদি লক্ষ্মী ধারা। এই মহালক্ষ্মীর হয়েন অংশ তারা ॥ পরিপূর্ণ মহালক্ষ্মীদেবী শ্ৰীক্লক্সিণী । নিরস্তর শ্ৰীকৃষ্ণপাদাজনিষেষিণী ॥ সেইহেতু বৈকুণ্ঠে গমন ত্যাগ কর। এই স্থানে ক্ষণকাল বৈস মুনিবর। অত্যন্ত রহস্ত তব কর্ণেতে কহিব। অনেকের মধ্যে কথা নাহি প্রকাশিৰ । মহালক্ষ্মী হৈতে প্রিয় কৃষ্ণের কহিব । তাহে তার প্রিয়সখী পাৰ্ব্বতী রুষিব ॥ অতএব তোমারে কহিব সংগোপনে । শ্রদ্ধা করি মুনিবর । শুন একমনে। তব তাত ব্ৰহ্মা, আমি, গরুড়াদি সার। বৈকুণ্ঠপার্ষদ যত, মহালক্ষ্মী আর ॥ সকল হইতে কৃষ্ণভক্ত প্রিয়তর— প্রহ্লাদ হয়েন খ্যাত জগত-ভিতর ৪ ভগবদ্ধচন কিবা হৈল বিস্মরণ । শ্ৰীমদ্ভাগবতে যাহা কৈলা অধ্যয়ন ? ? তথাহি ( ভা: ১ । ৪ । ৬৪ ) ভগবত্বাক্যম্- এ নাহমাত্মানমাশাসে মন্তক্তৈ: সাধুভিৰ্বিন । প্রিয়ঞ্চাত্যস্তিকীং ব্ৰহ্মন যেষা গতিরহং পর l • ॥ যাহাদের আমি সে পরমগতিময় । বিনা সেই মম সাধু-ভক্ত-সমুদয় ॥ আপনার প্রমূৰ্ত্তিরে না করি বাঞ্ছন। মহালক্ষ্মীদেৰীয়েহ,—এ কৃষ্ণবচন ॥ হে নারদ। প্রীকৃষ্ণের ঐবিগ্রহ যেই । আমি-ব্ৰহ্মাদি-দেবের জন্মহেতু সেই ৷ নিজভক্তসকলের আহলাদকারক । অনির্বাচ্য যে সৌন্দৰ্য্য-মাধুৰ্য্য-ধারক । ভক্তগণ হৈতে হেন প্রীমূৰ্ত্তি আপন। আদরের বিষয় কৃষ্ণের নাহি হন। সে সব ভক্তের স্তব করিতে কে শক্ত । সেই-লব-মধ্যেতে প্রহ্লাদ প্রিয় ভক্ত ॥ সাক্ষাৎ প্রভগবান কহিল আপনি— “গৰ্ব্বতত্ত্বগণমধ্যে শ্রেষ্ঠ তোমা গণি ॥ ैमडांगदङ তথাচ সপ্তমম্বন্ধে (ভা: ৭। ১০, ২১ )– ভবস্তি পুরুষা লোকে মদ্ভক্তাস্বামন্থত্ৰতা: | ভবাষ্মে খলু ভক্তানাং সৰ্ব্বেষাং প্রতিরূপধৰ । • শ্ৰীমুখে শ্ৰীপ্রত্নীদের করিলা ব্যাখ্যান। অতএব হয়েন অতর্ক্য-ভাগ্যবান ॥ আমি-ব্ৰহ্মা-আদি করি, মহালক্ষ্মী আর । সৰ্ব্বহৈতে শ্রেষ্টমত সৌভাগ্য র্তাহার ॥ হিরণ্যকশিপু যবে হৈল বিদারণ। যার প্রতি যত কৃপা-বিদিত তখন ॥ প্রহ্লাদের প্রতি অতি সন্তোষ-অন্তর। হইল উদ্যত দিতে বিষ্ণু মুক্তি-বর। চাহিয়া নিলেন ভক্তি পুনঃপুনৰ্ব্বার। সেই প্রহ্লাদেরে আমি করি নমস্কার । দেবতাগণের স্বর্গ, দৈত্যের পাতাল । ব্ৰহ্মাকুত এ নিয়ম আছে সৰ্ব্বকাল ॥ বলি তাহ লঙ্গি কৈল স্বর্গ অধিকার। গুরুর নিদেশ নাহি করে অঙ্গীকার ॥ আপনার স্বাক্য সত্য করিবার তরে। ঐবামনে তিনপদ-ভূমি দান করে। সেই ফলে বিষ্ণু কিবা দ্বারপালে তার। সত্য বস্ত না মিলে অসত্য হৈতে কার ॥ না করিলা মোর স্তবে বাপের রক্ষণ । কেবল সে প্রহ্লাদের সম্বন্ধলক্ষণ ॥ কি আর মহাত্ম্য তার কহিব বিস্তরি। প্রিয়সখী লক্ষ্মীর আছেন এথা গৌরী ॥ লক্ষ্মী হৈতে প্রস্তুদের শুনিলে মহিমা । হইবেক তামার সে ক্রোধের অসীমা ॥ অতএব সংক্ষেপেতে হইল কথিত । প্রহ্লাদের মাহাত্ম্য পরম সুনিশ্চিত ॥ গর্ভস্থ ছিলেন যবে প্রহ্লাদ, তখন। তব উপদেশে ভক্তি করিলা গ্রহণ ॥ তথাপি তাহার সহ হৈলে তব সঙ্গ । অত্যন্ত পাইবে মুখ—প্রফুল্পিত অঙ্গ ॥ অতএব মুতলেতে করিয়া গমন। প্রহ্লাদেরে আশীৰ্ব্বাদে করিবে বৰ্দ্ধন । আপনি প্রথমে ঠারে করি আলিঙ্গল । আলিঙ্গল আমার কহিবে ততক্ষণ। এমত সজনে কেন না কর প্রণতি । এই আশঙ্কায় কছিছেন গৌরীপভি— প্রহ্লাদ হয়েম শ্রেষ্ঠ সঙ্গম-জাবহে । আমাদের প্রগাম-গুৰুল নাছি পহে।