পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/২৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

खर्छ द्धास77शु / মৃগয়া করিতে রাজা ইচ্ছয়ে যখনে। দিব্য রথে চঢ়িয়া নৃপতি যায় বনে ॥ নানা পরিচ্ছদে রথ করিয়া সাজন । মৃগয়া করিতে চলে রাজা পুরঞ্জন ॥ পঞ্চ ঘোড়া দুই চক্র রথের সাজনা । দুই ঈশ তিন বাশে করিয়া কাছনি ॥ এক বাগ এক চাবুক একখানি ঘর। পঞ্চ প্রহরণ পঞ্চ বিক্রম প্রখর ॥ হেন দিব্যরথে চড়ি রাজা পুরঞ্জন। পঞ্চ পরকারে বনে করয়ে ভ্রমণ ॥ দিব্য অস্ত্র বাণ ধন্থ ধরে নরেশ্বর । মৃগয়া করিতে বুলে বলের ভিতর ॥ ধরিয়া আমুরী বুদ্ধি রাজা পুরঞ্জন । তিরি ঘর ছাড়িয খেড়ায় বলেবন ॥ নানা পশু বধ রাজা করে তীক্ষ্মবাণে । দেবযজ্ঞ পিতৃষজ্ঞ করয়ে বিধানে ॥ প্রাণিবধ করিয়া করয়ে পুণ্য কৰ্ম্ম । প্রাণিবধগত দোষ না বুঝে অধৰ্ম্ম ॥ অহঙ্কারে যে জন করয়ে পরহিংসা । নরকে গমন তার না করি প্রশংসা । শশক শল্পক মৃগ মহিষ শূকর। নানা অস্ত্রে নানা পশু বধিল বিস্তর ॥ ক্ষুধায় তৃষ্ণায় রাজা শ্রমিত শরীর । বাহুড়িয়া নিজপুরে গেল মহাবীর ॥ স্বান পান করিয়া বসিলা রাজাসনে । অঙ্গ বিভূষণ কৈলা বসন ভূষণে । হৃঃচিত্ত হৈয়া রাজা বসিলা আসনে । নিজ মহাদেবী হৈল স্মঙরণ মনে ॥ বিচারিয়া চাহিলা রমণী নাহি ঘরে । দাসীগণে আনিঞা পুছিল নরেশ্বরে। কোথ! গেলা মোর প্রিয়া কহ উপদেশ । কহ সব দাসীগণ কি জান বিশেষ । দাসীগণ বলে রাজা শুন বিবরণ। তোমার সুন্দরী আছে করিয়! শয়ন ॥ ভূমেতে পড়িয়া আছে উত্তর না করে। অল্প পানি নাছি খায় বচন না ধরে ॥ তবে রাজা ধীরে ধীরে দাওt s্যা নিয়ড়ে । বিনয়ে ৰোলয়ে কিছু প্রবোধ উত্তরে। মুখানি তুলিম্বা চাহ পরিহর খেদ । তিলেক সহিতে নারি তোমার বিচ্ছেদ ॥ বিষাদ ভাবিয়া দেবি আছ কি কারণ । কে তোমার কৈল দেবী পারিতি লঙ্ঘন । তার দণ্ড করিব ব্রাহ্মণ মাত্র বিনে ॥ কতু দও না করিব ভক্ত সাধুজনে । কেহ বা করিয়া থাকে যদি আজ্ঞাভঙ্গ । ব্রাহ্মণ বৈষ্ণব বিনে করি তার দণ্ড ॥ মলিন বসন ধর মলিন বদন । কহ মহাদেবি তুমি দুঃখের কারণ ॥ পুরঞ্জন-বচন মুনিঞা পুরঞ্জনী । সম্ভাষিয়ে-রাজারে বোলয়ে প্রিয়বাণী ॥ এইরূপে দুহে মেলি রতিভোগ করে। কত দিন রাত্রি যায় চিত্তে নাহি ধরে ॥ কামে বিমোহিত রাজা হুরুল গেয়ান ॥ কতকাল বহি যায় নাহি অবধান ॥ মজিয়া রহিল রাজা গৃহ-অন্ধকূপে । অৰ্দ্ধেক বয়স বহি গেল এইরূপে। একাদশ শত পুত্র হৈল মহাবলী । ত্রয়োদশ এক শত জন্মিল কুমারী। আনিঞা উত্তম বর কন্ত। সমপিল । কস্তাগণ অলিঞা পুত্রকে বিভা দিল ॥ এক শত পুত্র হৈল এক পুত্র ঘরে । পুত্র পৌত্রে পুরঞ্জন বাঢ়িল কুশলে । ধনরাজ্য বিভঞ্জিয়া দিল পুত্ৰগণে । যজ্ঞ করি কৈল দেব-পিতৃ আরাধনে ॥ পশু বধ করিয়া দেব-পিতৃ আরাধিল । দান ব্রত করিয়া বিস্তর কাল নিল ॥ ছেনকালে আইল এ কাল বিদ্যমান। চওবেগ নামে এক গন্ধৰ্ব্ব প্রধান ॥ তিন শত ষাটি গন্ধৰ্ব্ব সঙ্গে করি । তিন শত ষাটি গন্ধৰ্ব্বগণ নারী ॥ শুক্ল কুষ্ণ বরণ গন্ধৰ্ব্বগণ ধরে । বেঢ়িয়া গন্ধৰ্ব্বগণ রাজপুরী লোড়ে । চণ্ডবেগ অমুচরে ভাঙ্গে পুীখান । যুঝিবারে আইল প্রজাগর বলবান ॥ সাত শত কুড়িজন গন্ধৰ্ব্বের সঙ্গে । নিরবধি প্রজাগর যুঝে নানা রঙ্গে ॥ শতেক বৎসর ধরি যুঝে একেশ্বরে । এইরূপে প্রজাগর পুরী রক্ষণ করে ॥ বুঝিতে যুঝিতে তার ক্ষীণ হৈল বল । তবে যুদ্ধে হারিয়া রহিল প্রজাগর।