পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/২৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইধাৰাছ নামে মুনি বিদিত ভুবনে। আছিল মলয়ধ্বজ রাজা এই মনে ॥ নিজ রাজ্য বিভজিয়া দিল পুত্ৰগণে । আপনে চলিল রাজা কৃষ্ণ আরাধনে ॥ কুলাচল পৰ্ব্বতে রহিলা নরপতি । তার সঙ্গে রহিলা মহিষী রূপবতী ॥ চজলরা তাম্রপণী বটোদক জলে। নিতি নিতি জল পান দুহে মিলি করে। পুণ্যজগ-মজ্জনে শোধিল কলেবর । দেহের ধারণ হেতু কদমূল ফল ॥ লীত বাত বরিষণ ক্ষুধা-তৃষ্ণা সয়ি । দুহে মেলি তপ করে পুণ্যতীর্থে রছি । লংষম নিয়ম করি শরীর শোধিল । তপ যোগ করি রাজা কুষ্ণ আরাধিল । ব্ৰহ্মে চিত্ত নিয়োজিয়া স্থির কৈল মন । ভক্তিতাব করিয়া ভজিল নারায়ণ ॥ ঈশ্বর ইচ্ছায় পাইল গুরুউপদেশ । জ্ঞানদীপে সাক্ষাতে দেখিল হৃষীকেশ ॥ ব্রহ্মে মন নিযোজিয়া ব্রহ্মে প্রবেশিল । শুদ্ধভাবে তার ভার্ষ্য পতিসেবা কৈল । স্বামীর মরণ দেখি ভাৰ্য্যা পতিব্ৰতা । বিলাপ করিয়া কান্দে দু:খশোকযুতা ॥ চিতা করি কাষ্ঠ দিয়া জালিল আগুনি । তাহার উপরে থইল পতিদেহ আনি ॥ তবে দেবী কৈল সেই চিতা আরোহণ। হেনকালে পূর্ব সখা দিলা দরশন। ঐীকৃষ্ণ-প্ৰেমতরঙ্গিণী 8% সখী বলে শুন দেবী কান্দ কি কারণে । কেবা তুমি কার তরে কানা অনুক্ষণে ॥ তোমার পূরব সখা আমি গুণনিধি। তুমি আমি একত্র থাকিয়ে নিরবধি ॥ অবিজ্ঞাত নামে আমি লেছ পাসরিলে। আম পাসরিয়ে তুমি এত দুঃখ পাল্যে। তুমি আমি দুই হংস থাকি এক গাছে। বিষয় বিধানে তুমি পাসরিলে পাছে। আমাকে ছাড়িয়া তুমি অন্ধ হয়্যাছিলে। বিষয়লম্পট হয়্যা সব পাসরিলে ॥ তিরিসঙ্গে নবমুখ পুরী পরবেশি। তিরিসঙ্গে পাসরিলে নিজ ওপরাশি। তে-কারণে তিরি হঞা জনম তোমার। তুমি বা কাছার নারী দুহিতা কাহার। পুরঞ্জিনী সঙ্গে তুমি হৈলে বিমোহিত । নারীসঙ্গে হৈলে তুমি কেবল বঞ্চিত ॥ তোমার আমার নাহি তিলেক বিচ্ছেদ । আমা সহে তোমার তিলেক নাহি ভেদ । তুমি পুরঞ্জন নহ নহি পুরস্কনী । সকল আমার মায়া বিচারিলে জানি ॥ দর্পণে দেখিয়ে যেন আপনার ছায়া । বিচারিলে সত্য নহে সব দেখ মায়া (১) । এইরূপে যদি হংসী প্রবোধিল হংস । সেইক্ষণে হৈল তার ভববন্ধ ধ্বংস ॥ বীবশিবোমণি ঐগদাধর ভ1ন । ভাগবত-আচার্ষোর মধুরল-গান ; (১) পাঠাস্তুর,– দেবমায়া" । ইতি ঐত গবতে মহাপুরাণে চতুর্থ স্কন্ধে ষষ্ঠোংধ্যায়: ॥ ৬ ॥ সপ্তম জাধ্যTয় / ভাঠ্যারি রাগ । প্রাচীনবরিছি রাজা এত বাণী শুনি । চরাচর সব দেহে জীবের সঞ্চার। কহিতে লাগিলা তবে তত্ত্ব নাছি জানি ॥ পুরঞ্জনী মায়া পুরঞ্জন নাম তার ॥ না বুঝি তোমার আমি হিত উপদেশ। যে কহিল তার সখা অবিজ্ঞাত নাম । কর্ণ বিনে আমি আর না জানি বিশেষ ॥ সে কেবল ঈশ্বর সাক্ষাৎ ভগবান। রাজার বচন শুনি মুনি তপোধন। গুণকৰ্ম্মে যার তত্ত্ব জানিতে না পারি। প্রকাশিয়া কহিলা সকল বিবরণ ॥ তে-কারণে অবিজ্ঞাত তার নাম ধরি। o