পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/২৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રહ9 শয়ন ভোজন পান করাই তনয়ে। পাছে অজামিল পান ভোজন করয়ে ॥ এইরূপে থাকিতে মরণকাল হৈল। তিন যমদূত আসি দরশন দিল । মহা ঘোরতর তারা বিকট দর্শনে । অজামিলে বলে ধরি বান্ধিল যতনে ॥ দূরে খেলা খেলে শিশুপুত্র নারায়ণে। আকুল হৃদয়ে পুত্রে ডাকিল ব্রাহ্মণে । ঘর্ঘর শব্দে বোলে আfয় নারায়ণ । হেনকালে বিষ্ণুদূত আল্য চারি জন । তারা বোলে ছাড় ছাড় আরে দ্বরাচার । কেন বা বান্ধিল বিপ্রে করিস প্রহার। ব্রাহ্মণের মুখে উচ্চারিল হরিনাম । তযু তোরা লঞা যাবি এত বড় প্রাণ । তা-সভার বচন শুনিএ যমদূতে । মনে ভয় পেয়্যা তবে লাগিলা বলিতে ॥ তুমি-সব কেবা হও দূত বা কাহার। কোথা হৈতে কোথা যাহ কি নাম তোমার । নব ঘন শ্ৰাম তন্থ মধুর মুরতি । সূৰ্য্যসম তেজ ধর নিরমল কাস্তি ॥ শঙ্খ চক্র গদা পদ্ম ধর চারি তুজে। হেম মণি অলঙ্কার শরীরে বিরাজে । তোমা-সভা দেখি মহা পুরুষ লক্ষণ ! তবে কেনে কর ধৰ্ম্মমৰ্যাদা লঙ্ঘন ॥ আমি সৰ হই ধৰ্ম্মরাজ-অম্লচর । কেন তার আজ্ঞা ভঙ্গ কর এত বড় ॥ এতেক বচন শুনি পারিষদগণহাসিয়া উত্তর তারা দিল চারিজন ॥ ৰদি তোর হও ধৰ্ম্মরাজের কিঙ্কর । কি ধৰ্ম্ম জানিল কহ আমার গোচর । এ বোল শুনিএ যমদূত তিন জনে । ধৰ্ম্ম কহে কৃষ্ণ পারিষদ বিদ্যমানে ॥ বেদমুখে শুনি ধৰ্ম্ম বেদ নারায়ণ । ‘বেদ বুঝাইলে ধৰ্ম্ম করে সর্বজন ॥ ৰেদ-বিনিন্দিত পথ অধৰ্ম্ম ও নিব । ত্ৰিগুপঞ্জনিত বেদ মুখে বিচারিব । শশী স্বৰ্য্য দিবস রজনী হুতাশন । পৃথিবী আকাশ দিক আপ যে পবন । এ লৰ ধৰ্ম্মের সাক্ষী ধৰ্ম্মতত্ত্ব জানে । ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম নির্ণর বুঝায় দশ জনে ॥ শুভ কৰ্ম্ম করে যদি শুভ ফল পায় । পাপ কৰ্ম্ম করিয়া নরক অন্ধুভায় ॥ পাপ পুণ্য ভোগ পাপ পুণ্য অঙ্গুলারে। এক জীব নানা মতে কৰ্ম্মভোগ করে ॥ ষার যেন স্বভাব বুঝিয়া অনুমানে । পূৰ্ব্বজন্ম পাপ পুণ্য করি নিরূপণে ॥ যদি বলে মুঞি কৰ্ম্ম না করিব আর । স্বভাবে কথায় কৰ্ম্ম কি দোষ তাহার। কৰ্ম্মে জী আপনা বান্ধিয়া বিমোহিত । কৰ্ম্মবন্ধে অনাদি সংসার নিয়োজিত ॥ অবিদ্যা প্রসঙ্গ করি জীবের বন্ধন। ভজিলে গোবিন্দপদ ছিওয়ে তখন ॥ সৰ্ব্ব ধৰ্ম্মযুক্ত ছিল এই অজামিল । শাস্ত দাস্ত ধৃতব্ৰত সত্য দয়াশীল। দেব-দ্বিজ-গুরুগণে করিয়া লেবন । সৰ্ব্ব ভূত-হিত-রত আছিল ব্রাহ্মণ। সৰ্ব্বশাস্ত্রে স্বপণ্ডিত ধৰ্ম্মপরায়ণে । এক দিনে বনে গেল বীপের বচনে ॥ ফুল ফল কুশ কাষ্ঠ নঞা দ্বিজবর । বনে হৈতে ঘরে আইলে বাপের নিয়ড় (১)। পথে এক শুদ্র সহে হৈল দরশন । করিয়া মদিরা পান কামে অচেতন ॥ দাসীসঙ্গে ক্রীড়া করে নাচয়ে খেলয়ে। বুঘলী করিয়া কোলে হাসয়ে চলয়ে (২ ) ॥ দুহার বাসন নাহি দুহে নাহি জানে । দেখিয়া ব্রাহ্মণ হৈল কামে অচেতনে । যতন করিয়া কৈল চিত্ত সমাধান ॥ চিত্ত নিবারিতে না পারিল হতজ্ঞান (৩) ॥ কামে বিমোহিত হৈল দাণী দরশনে । কুল শীল লজ্জা ভয় তেজিল ব্রাহ্মণে । যতেক আছিল ধন বাপের সঞ্চিত। তাহা দিয়া সন্তোষিলা বৃষলীর চিত্ত । চুরি করি মিথ্যা ৰলি কৈতৰ প্রবন্ধে। পরদ্রব্য পরৰিত্ত আনে নানা ছন্দে ॥ পরপীড়া করিয়া আনয়ে পরধন । এত মতে করে তার কুটুম্ব ভরণ ॥ কুলবর্তী সতী নারী তেজে আপনরে । কুলটার সঙ্গে তেজে আশ্রম আচার। নিরবধি মদ্যপান করয়ে ব্রাহ্মণ । বৃষলীর সঙ্গে রছে কামে অচেতন ॥ ( ১ ) পাঠাস্তুর,— "ব্ৰাহ্মণ আইসে পুন ৰাপের গোচর।” ( २ ) "वलग्न" ! (७) "बडिय