পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/২৮৬

ՀԵրՑ মহাগজ মহাসর্প পৰ্ব্বত পাতনে । ং লে মজাইল অঙ্গ দিল হুতাশনে। গহবর ভিতরে থর্যা রুধিল দুয়ার । ৰিষ দিল উপবাস করাল্য অপার । এতেক প্রকারে শিশু লহিল নিধনে । ভয় পেয়া দৈত্যরাজ চিস্তে মনে মনে । মহা অম্বভব পুত্র অঙ্গয় অমর | এতেক উপায় কৈলু সকল বিফল । এভ পরকারে মৃত্যু নাহল যাহার। মোর বধ হেতু এই জম্মিল কুমার। fচস্তাতে ব্যাকুল ৰূপ চিস্তে হেঁট মাথে । ষণ্ডামৰ্ক এই বিপ্র কছে যোড় ছাথে । কটাক্ষে জিনিলে তুমি এ তিন ভুবন । হেন বীর হয় তুমি চিন্তু কি কারণ ॥ বালকের দোষ গুণ না করি বিচার। মনে ভয় পাই পাছে পালায় কুমার ॥ নাগপাশে রাখ শিশু করিয়া বন্ধন । যাবৎ শুক্রের হয় এথা আগমন ॥ বুদ্ধি হৈলে বালকের কুমতি খণ্ডিব । শুক্রে উপদেশ দিয়া ধৰ্ম্ম বুঝাইব । গুরুপুত্র বচন শুনিঞ দৈত্যপতি ॥৪ মনে দঢ়াইল এই উত্তম যুগতি । বান্ধিয়া বালক তোরা লয়্যা স্বাহ ঘরে। পঢ়াহ যতন করি নানা পরকারে ॥ রাজার বচন শুনি তারা দুই জনে। ঘরে আনি বালকে পঢ়ায় সাবধানে ॥ ধৰ্ম্ম অর্থ কাম-আদি যত রাজনীতি । শুনিএ বালক তথেন পায় পারিতি ॥ ভাক দিয়া নিল যত দৈত্যের তনয়ে । করিতে লাগিলা শিশু করিয়া বিনয়ে । শুন শুন দৈত্যশিশু হিত উপদেশ । কহিৰ তোমারে আমি করিয়া বিশেষ । ভূমিসৰ প্রিয়লখা বান্ধব আমার। তে-কারণে কহি শুন দৈত্যের কুমার। গুৰু ৰাহা পড়াইল না জানিছ ভাল । তত্ত্ব পরিহরি গুরু পঢ়ায় অসার । কত কত মরি গেল দেখ বিদ্যমানে । জলার করিয়া সার ঘুষি অকারণে ॥ ভৰ ছাড়ি গুরু যত অনিত্য বুঝায় ! উত্তম জলের তাহা চিত্তে নাহি ভয় ॥ আন্ধলায় পাছে যদি গোড়ায় আন্ধল । পথ লাজমিঞা পড়ে কূপের ভিতর ॥ ঐীমভাগবত কেহু নহে শত্রু মিত্র কেহ নিজ পর l কুমতি নিৰ্ম্মিত সৰ জানিহ সকল ॥ দুলভ মাছুষ জন্ম অসত্য মানিএা । শিশুকাল হৈতে কৃষ্ণ ভজিব জানিএণ ॥ হরি লে সভার গুরু প্রিয় ইষ্ট ধন। সৰ্ব্বধৰ্ম্মসার রষ চরণ-সেবন । যদি বল মুখভোগ তেজিব কেমনে । দুঃখে কৃষ্ণ ভজিলে বা কোন প্রয়োজনে । দেহধৰ্ম্মে স্বখ দুঃখ মিলে সৰ্ব্ব ঠাঞি । যেন দুঃখ তেন মুখ অযতনে পাই ॥ মিছা কাজে কেন এত ব্যর্থ কাল যায়। না ভজিয়া জগন্নাথ ব্যর্থ দুঃখ পায় ॥ কৃষ্ণ না ভজিলে নহে দুঃখবিমোচন। বিচারিয়া আপনে বুঝয়ে বুধজন ॥ যাবৎ শরীর লাহি পড়ে অকারণে । তাবৎ বুঝিয়া কৃষ্ণ ভজিব যতনে । লভে দেখ পরমায়ু শতেক বৎসর । নিন্দ্রীয় অর্ধেক তার হরয়ে বিফল । শিশুকালে আগেয়ানে যায় কথো কাল । বৃদ্ধভাবে যায় কুড়ি বৎসর তাছার ॥ তবে ষেবা কিছু থাকে যৌবন সময়। কাম ক্রোধ দম্ভ লোভ বাঢ়ে অতিশয় ( ১ ) ॥ যদি বল যৌবনে বিষয় ভোগ করি। পাছে সৰ্ব্বত্যাগ করি ভজিব শ্ৰীহরি। হেন কে মনুষ্য ( ২ ) আছে জগৎ ভিতরে । বিষয়লম্পট চিত্ত নিবারিতে পারে ॥ শরীর অধিক প্রাণ গত সভার । হেন প্রাণ দিয়ে ধন কিনে বাণিজার ॥ প্রাণ বিকলিয়া হয় ধনের কিঙ্কর । ধনের কারণে প্রাণ তেজয়ে তঞ্চর ॥ হেন ধন বিষয়ে যাহার প্রেম বাঢ়ে । পাছে তাহা তেজিয়া চলয়ে একেশ্বরে ॥ স্ত্রী-সম্ভাষণ পুএ মধুর ভাষণ। বন্ধু মিত্র অমুরাগ করিতে স্মরণ ॥ বৃদ্ধ পিতামাতা মোর বালক তনয় । এ সব বলিতে প্রেম বাঢ়ে অতিশয় ॥ দিব্য ঘর পুরী মোর আছে বহুধন । কোথাতে থাকিব কেবা করিব রক্ষণ । ( ১ ) পরিষৎ কর্তৃক প্রকাশিত পুস্তকে :"ভাঁহাতে জন্ময়ে কত শত কামোদয় ।" (২ ) পাঠান্তর,-"হেন কি পুরুষ ।"