পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/২৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাবেরী নদীর তীরে হৈলা উপসন্ন । অজগর মুনি সনে তথা দরশন। প্ৰহলাদ চিনিল দিব্যপুরুষ লক্ষণ। প্রণাম করিয়া কৈল চরণ বন্দন ॥ প্ৰহলাদ পুছিল তবে তকত প্রধান। স্থল কলেবর তুমি মহা ভোগবান। ধন নাহি তোমার উদযোগ নাহি কর । স্কুল কলেবর তুমি কোন যোগে ধর । শয়ন করিয়া থাক না কর আহারে । তুষ্ট পুষ্ট দেখি তোমা সত্তোষ অস্তরে। কহ ৰদি যোগ্য আমি হই যোগেশ্বর । অজগর মুনি তবে দিলেন উত্তর। শুন হে অমুরশ্রেষ্ঠ ভকতগ্ৰধান । কহিব সকল কথা তোমা বিদ্যমান ॥ যাহার হৃদয়ে বৈসে প্রভু নারায়ণ । বড় পুণ্যে তার সঙ্গে হয় দরশন ( ১ ) ॥ নানা বোনি ভ্ৰমিল বিবিধ কৰ্ম্ম করি। এ দেহে সকল আমি বুঝিল বিচারি ॥ মুকুতি-জুয়ার এই নরক-দুয়ার। সাধিতে পারিলে এই দেহে প্রতিকার । মুখ হেতু কৰ্ম্ম করি সভে দুঃখ সার। কৰ্ম্ম করি নানা দুঃখ পাই বার বার। ইৰে কৰ্ম্ম তেজি আমি (২) শুদ্ধ কলেবর । আননাসাগরে আমি ভাসি নিরস্তর ॥ বিষয় সন্ধান এবে মনেহ না করি। শয়ন করিয়া থাকি তত্ত্বে মন ধরি ॥ তত্ত্ব বিস্মরিয়া লোক ভ্রময়ে সংসার। অসত্য সকল মনে না করে বিচার ॥ নানা দুঃখ করি ধন আয়োজন (৩) করে। ছুঃখ বিনে আর কিছু না দেখি তাহারে । রাজভয় চৌরভয় শত্ৰু-মিত্রভয় । নিদ্রা নাহি যায় ধনী সৰ্ব্বত্র সংশয় ॥ শোক মোহ ভয় ক্রোধ রাগ পরিশ্রম। ঘনে হৈতে ধনীর সতত মতিভ্ৰম । এই বোল বুঝিয়া তেজিলু ধন-আশা। সর্প মধুকর দেখি বাঢ়িল ভরসা। ( ১ ) পাঠাস্তুর,—“সম্ভাষণ”। ( ২ ) পাঠান্ডর—“হৈল" ॥ ( ৩ ) পাঠান্তর—“উপাঞ্জন" । শ্ৰীকৃষ্ণ-প্রেমতরঙ্গিণী ఇపిచి দুই গুরু আমার পল্লগ মধুকর। তা-সভার ঠাঞি তত্ত্ব শিথিল সকল ॥ নানা পুষ্প হৈতে মধু মধুকয়ে আনে। তাহাকে মারিয়া মধু লয় অন্ত নে ॥ এ বোল মুছিয়া ধন না করি সঞ্চয় । সৰ্প হৈতে যে শিখিলু শুন মহাশয় ॥ মহাসর্প তুষ্ট হয়্যা থাকে সৰ্ব্বকাল। আহার করিয়া চিস্তা নাহিক তাহার। অলপ বিস্তর যেবা দৈবযোগে মিলে। তাই খেয়্যা সর্পরাজ বহে কুতুহলে। পরঘরে থাকে সাপ না চিস্তে আহর । সৰ্প হৈতে শিথিলু এ সব সদাচার ॥ দৈবযোগে যে মিলায় করিয়ে ভোজন। তৃণ পত্রে ভৰ্ম্মে ক্ষণে করিয়ে শয়ন ॥ %, কনকপর্যাঙ্কে কেহ শয়ন করায় । দিব্যগন্ধ মাল্য দিব্য বসন পরায় ॥ হরিষ বিবাদ আমি কোথাহ না করি। অদৃষ্ট মানিঞা বহি রষ্ণে চিত্ত ধরি ॥ মিষ্ট অল্প পান কহ করায় ভো ন । বিস্তর ভৎসয়ে কেহ করয়ে তা ল ৷ দিব্য রথে তুলি কেহ চামর ঢলায় । গ০ের উপরে তুলি কেহ লঞা যায়। ধুলা ভস্ম দিয়া কেহ সৰ্ব্বাঙ্গ ভরায়ে । দণ্ডের প্রহার কেহ করে মোর গায়ে । ( ১ ) তাহাতে না করি আমি মান অপমান । অদৃষ্ট মানিঞা চিত্তে করি সমাধান ॥ সকল লোকের হিত চিন্তি স কাল । শ্ৰীহরি ভজিয়া যেন ভব হয় পার ॥ কহিলু তোমারে রা 1 (গাপত কথন। গোবিন্দভকত তুমি সাধু মহাজন। মুনির বচন শুনি দৈত্যের ঈশ্বর । বিনয়ে প্রণাম করি গেলা নি ঘর। ( ২ ) কহিল তোমারে রাজা পুরুব কথন। আর কি কহিব কহ ধৰ্ম্মের নানান। জ্ঞান গুরু গদাধর ধীরশিরোমণি। ভাগবত-আচার্ষ্যের মধু-রস-বাণী ॥ ( ১ ) পাঠান্তল,— "দগু পরহার কেহ করে সঞ্চায়," ( ২ ) "নিজ পুর চলিলা করিয়া নমস্কার"; অন্যচ্ছ--"নমস্কার করিঞ চলিলা নিজঘর।” ইতি শ্ৰীভাগবতে মহাপুরাণে সপ্তম্বৰুদ্ধে চতুর্থোৎধ্যায়: ॥ ৪ ।