পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ততঃপরে হনুমান ধৈৰ্য্যের সাগর। ক্ষণেক নিশ্বাস ত্যজি কছেন উত্তর ৪ গমনে তাদৃশাকাঙ্ক হইল হৃদয়ে। নারদের প্রেরণা তাহাতে মুহু হয়ে 9 তথাপি আপন পাতিব্ৰত্যভঙ্গতয়ে । ল উঠিলা কপিপতি ধৈৰ্য্য-সমুচ্চয়ে ৯ নারদের বাক্যে অনাদরে করি ভয় । ক্ষণেক বিচারি মনে তখন কহয়— ৯ শ্ৰীমন্মহাপ্রভুর যে দৰ্শন-সেবন । নিমিত্তে মোদের তথা উচিত গমন ॥ কিন্তু মহা-কারুণ্য-মাধুরী-রসভর । পূৰ্ব্ব হৈতে অধিক গম্ভীর নিরস্তর। বিচিত্র লীলার ভঙ্গী পরম-মোহিনী । এইক্ষণে প্রকাশিত করিলেন তিনি। অত্যন্ত অভিজ্ঞ যেই সব মুনিচয় । তাহাদের যাহে হয় ভ্ৰম অতিশয় ॥ অহো ব্ৰহ্মা—আপনাদিগের যিহঁ তাত ) লোকপিতামহ স্বষ্টিকর্তা অমুত্রাত ॥ বেদপ্রবর্ভকাচাৰ্য্য যে-লীলা-দর্শনে । মুগ্ধ হইলেন বৎস-বালক-হরণে ॥ অবুদ্ধি বানর আমাদিগের কা কথা । তাহার বৃত্তান্ত তুমি জানহ সৰ্ব্বথা ॥ দ্বারকা’পরেতে প্রতিমহিষীর ঘরে । ভ্রমণ করিলে মোহ পাইয়া অস্তরে ॥ তারে দেখি যদি হয় মোহিত হৃদয় । অতএব করি অপরাধ হৈতে ভয় ॥ অনন্তভাবক যেই সব দাসগণ। তাদের পরমগতি—আপদে শরণ। প্রভুর বিচিত্র লীলা করিলে দর্শন । প্রেমের সহিত ভক্তি করে বিবৰ্দ্ধন ৯ যদ্যপিছ নিরস্তর হয় ত প্রকারে । উপযুক্ত গমন আমার তথাকারে ॥ তথাপি শ্রীরঘুনাথ-স্বরূপে ভাষার ৯ দৈবকীনন্দন বাড়াইলা প্রীতিলার। সহজ-অব্যাজ-করুণায় মৃদ্ধ মন । কৌটিল্যরহিতভাৰ স্বভাৰান্থঙ্কণ ৪ পূজ্যতমদিগের আচারপ্রবর্তক । কিবা শ্রেষ্ট-ধর্মের হয়েন প্রদর্শক । একপত্নীত্ৰতথর সর্বদা বিনখে । লজ্জার ৰিনত শ্ৰীমন্মুখপদ্ম হয়ে ॥ অধোৰিলোকন—লাহি দৃষ্টি ইতস্তত। জগত্তরঞ্জন ল-যুক্ত অবিরত ॥ জীবৃহদ্ভাগবতামৃত Հծ অযোধ্যাপুরের পুরষ্কর গুণভাজ । মহারাজাগণের হয়েন অধিরাজ । শ্রীজানকী-চক্ষণ-কর্তৃক নিষেৰিত । ভরতের জ্যেষ্ঠ, সুগ্ৰীবের প্রিয়হিত । কপিগণেশ্বর বিভীষণাশ্রিত হন। ধছুর্বাণহস্তে দশরথের নন্দন ॥ কৌশল্যাকুমার-রামে শ্ৰীকৃষ্ণকৃপায়। . বাঢ়িল আমার প্রীতি-ভক্তি অতি তায় ॥ সেহেতু দৈবকীনন্দনের এই রূপ। সাক্ষাত জানিয়ে সীতাপতির স্বরূপ। র্তাহার চরিতামৃত সদা করি পান । নিবাস করিয়া আছি আমি এইস্থান। যৰে কোন প্রয়োজন করি নিজচিতে । কিম্বা মহা-করুণায় সেবামুখ জিতে ॥ কিম্বা আমা প্রতি স্নেহে—প্রাণাধিক মম। করাইতে দর্শন শ্রীরূপ প্রিয়তম। করিবেন ঈশ্বর আমারে ত আহবান। তবে আমি গমন করিব সেই স্থান। এই কথা লারদে কহিলা কপিপতি। তাছার কারণ কিছু কর অবগতি— । ইহাতে প্রসিদ্ধ এক আছে ইতিহাস—। একদিন দ্বারকাতে কৃষ্ণ করি বাস । গরুড়ের অহঙ্কার করিতে ভঞ্জন । করাইতে নিজপদে একাস্তি দর্শন। দ্বারকাতে গরুড়ে কহিলা ভগবান— । শুনায়া আমার আজ্ঞা—আন হনুমান। কিংপুৰুষবর্ষে আসি গরুড় তখন । বীর হনুমান প্রতি কহিলা বচন— ॥ যাদবেন্দ্র করিছেন তোমারে আহবান । সম্বরেতে আগমন কর হনুমান । ঐরামচরণপদ্মে তার ভক্তিভর। গরুড়ের বাক্যে নাহি করিলা আদয় ॥ ক্রোধেতে গরুড় বল করি ততক্ষণ । কৃষ্ণপাশ্বে আনিবারে করিলা গ্রহণ । গাঙ্গুল-আগ্রেতে হনুমান তবে ধরি। দিলা গঙ্কড়েয়ে হেলা করি ॥ বিহ্বল হইয়া পড়িলেন দ্বারকায়। হালি ভগবান তবে কছিলেন তায়— ॥ "রঘুনাথ করিছেন তোমারে আহবান।' এই কথা কছি এথা আন ছনুমান ॥ স্বয়ং ভগবান হৈলা শ্রীরাম-স্বৰূপ। বলরামে করিলেন শ্ৰীলক্ষ্মণ-ৰূপ ৷