পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/৩১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীকৃষ্ণ-প্রেমভরজিণী నిగి বড় হেন বুঝিয়া আমারে দেহ ঠাঞি । তাহার ভিতরে আমি সস্তোষে বেড়াই। তবে মৎস্ত খুইল লঞা কূপের ভিতরে। তিলেকে সকল কুপ যুড়িল শরীরে ॥ ৰিনতি করিম। তবে বলয়ে শফরী । ইহার ভিতরে আমি রহিতে না পারি। বড় হেন বুঝিয়া আমারে দেহ স্থান । অল্প করিয়া না করিহ অবজ্ঞান ৷ তবে মৎস্ত খুইল রাজা সরোবর জলে । যুড়িল সকল জল তিলেক তিতরে (১) { তবে মৎস্ত বলে রাজা অবধান কর । অগাধ জলের মাঝে আমি নিয়া ধর । এ বোল শুনিএ মৎস্ত অগাধ সলিলে । অনেক যতনে লঞা খুইল নরেশ্বরে ৷ যত যত জলাশয় খুইল বারে বারে । তিলেকে সকল যুড়ি ধরে কলেবরে । তৰে ক্রোধ করি রাজা পেলিবে সাগরে । বিনয় করিয়া মৎস্ত বলে হেন কালে । না পেল না পেল রাজা সাগরের জলে । বড় বড় মৎস্ত ধরি খাইব আমারে ॥ বড় জলচর ভয়ে পশিল শরণ । মহারাজ হুয়্যা তুমি তেজ কি কারণ ॥ এতেক বচন যদি বলিল শফরে । চিত্তের ভিতরে রাজা অনুমান করে। নাছি দেখি নাহি শুনি অপরূপ মীন । নাহি দেখি হেনরূপ জলচর চিন ॥ এক দিনে বঢ়ি তুমি শতেক যোজন । অম্বুমান বুঝিল সাক্ষাৎ নারায়ণ ॥ অনুগ্রহ করিতে এ রূপ তুমি ধর । মৎস্তরূপ ধরি তুমি অবতার কর । নমো মহাপুঞ্জয অনস্ত ভগবান । নানা মূৰ্ত্তি ধরি কর লোক পরি.tণ ॥ ভকত জনের তুমি বন্ধু হিতকারী। তে-কারণে কৃপা কৈলে মৎস্ত রূপ ধরি ॥ নমো দেব জয় জয় নমো নারায়ণ । মৎস্ত রূপ ধর তুমি এ কোন কারণ। সত্যব্রত বচন শুনিএা হৃষীকেশ । অবতার কারণ কছিল মৎস্ত-বেশ ॥ সপ্তম দিবসে হৈব প্রলয় সাগর । মজিব তাঁহাতে ত্ৰিভুবন চরাচর ॥


- سیا۔ .۔ --سے حمسـہ ----------- .ے

(১) পাঠান্তর,—"মৎস্য এক তিলে ।” তালিয়া আলিৰে নৌকা প্রলয়-পলিলে। ঔষধি তুহি তুমি তাহার উপরে। সপ্ত ঋষিগণ লক্ষ্য। আপনে উঠিছ। তাহার উপরে চঢ়ি কৌতুকে ভ্ৰমিহ ॥ তখনে আসিব আমি মহা মৎস্ত-বেশে । কাটাতে বান্ধিছ নৌকা মহানাগপাশে ॥ পৰ্ব্বতের শৃঙ্গ যেন কণ্টক বিশাল । তাহাতে ৰান্ধিয়া নৌকা করিছ বি৪}র । আমার মহিমা দিব্য গাইব মুনিগণে । নৌকার উপরে বলি শুনিহ শ্রবণে । এতেক বলিয়া মৎস্য কৈলা অন্তৰ্দ্ধান । বিস্ময় ভাবিয়া রহে রাজা মতিমান ॥ কৃতমালা তীরে করি কুশের আসন। তাহাতে বসিয়া রাজা চিস্তে নারায়ণ ॥ হেনকালে শুনে মছজিল উতরোল । প্রলয় সাগর জল তরঙ্গ কল্পোল ॥ মহামেঘ বরিষণ ঘোর অন্ধকার । বাঢ়িল সাগর জল পৰ্ব্বত আকার ॥ ভয় পাঞ রাজা কিছু চিস্তে মনে মনে । হেনকালে দিব্য নৌকা দিল দরশনে ॥ পৃথিবীর ঔষধি যতেক মুনিগণে । নৌকাতে তুলিয়া রাজা কৈলা আরোহণুে । মুনিগণ বলে রাজা না করিছ ভয়। ভক্তিভাব করি চিস্ত হরি দ্বয়াময় ॥ সেই সে করিতে পারে সঙ্কট মোচন। হেনকালে মৎস্তরূপ দিলা দরশন ॥ দশলক্ষ প্রহর শরীর পরিসর । পৰ্ব্বত আকার শৃঙ্গ পুষ্ঠের উপর। হেমধাম কলেবর অতি মনোহর । তরঙ্গ-কল্পোলে মৎস্ত করে ঝলমল ॥ আজ্ঞা পাঞ সত্যব্রত নাগপাশে ধরি। কণ্টকে বান্ধিল নৌকা দৃঢ়তর করি। তবে সত্যব্রত রাজা করিয়া প্ৰণতি । বিবিধ প্রণাম কৈল বহুবিধ স্তুতি ॥ এত স্তুতি কৈল যদি নৃপতি প্রধান । তুষ্ট হয়্যা বলে মৎস্যরূপী ভগবান। পুরাণ-সংহিতা সাংখ্যযোগ তত্ত্বকপ্পা । কহিল সকল ধৰ্ম্ম সব্বলোক পিতা। হেন অপরূপ ক্রীড়া কৈলা মৎস্তবেশে । ঋষিগণে তত্ত্বজ্ঞান কৈল উপদেশে । এইরূপে গেল যদি প্রলয় সময়। বেদ উদ্ধারিতে ইৎসা কৈলা জয়াময়।