পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/৩২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিজগণে বলে তুমি কর জল পানে। ব্ৰতরক্ষণ নহিব ব্রাহ্মণ-অবজ্ঞানে ॥ তক্ষণের মাঝে জলপান নাহি লেখি । এই সনাতন ধৰ্ম্ম বেদ বিপ্র সাক্ষী । এ বোল শুনিয়া রাজা করি জল পানে । মুনির বিলম্বে রাজা রছে সাবধানে ॥ হেনকালে দুৰ্ব্বালা মুনির আগমন । আও বাড়ি কৈল রাজা চরণ-বন্দন ॥ রাজার চরিত্র মুনি জানিল গেয়নে । প্রকোপে জলিল যেন দীপ্ত হুতাশনে ॥ একেত দুৰ্ব্বালা মুনি আরে উপবাসী । জগৎ দহিতে পারে যার ক্ৰোধপ্লাশি ॥ অতিথি বিধানে আমা করি নিমন্ত্রণ। আমাকে না দিয়া আগে করিলি ভোজন ॥ ধন-রাজ্য-মদে তোর এত অহঙ্কার । ভাল মন না বুঝিয়া আরে দুরাচীর। বিষ্ণুভক্ত আপনাকে বোলাই সংসারে । গুরু দ্বিজ না মানিস এই অহঙ্কারে ॥ আজি সে করিব তোর সবংশে সংহার। এ বোল বলিয়া জটা ছিণ্ডে আপনার ॥ সেই জটা দিয়া মুনি কৃত্য নিরমিল। প্ৰলয় আনলে যেন ধেয়্যা খাইতে আইল ॥ তমু অম্বরীষ রাজা না চিন্তিল মনে। বিষ্ণুচকে কৃত্যা পুড়ি পেপিল তখনে ॥ ত্ৰৈলোক্যদহন চক্ৰ দেখি ভয়ঙ্কর। পলাএা দুৰ্ব্বালা মুনি চলিল সত্বর ॥ মুমেরু পৰ্ব্বত আদি যত গিরিদরী । দশ দিগ আকাশ ভ্ৰমিল মুর }রী ॥ সপ্তদ্বীপ সপ্তসিন্ধু এ সপ্ত পাতাল। কোথাছ না দেখে মুনি আপন নিস্তার ॥ যথা যথা ধায় চক্রে দেখে সেই স্থানে । ব্ৰহ্মলোকে গেল তবে ব্রহ্মার শরণে ॥ ভয়ে কম্পবান মুনি কৈল নিবেদন । বিষ্ণুচক্ৰ হৈতে কর আমারে রক্ষণ । ব্ৰহ্মা বলে শুন মুনি কহি তত্ত্ব কথ। প্ৰভু যে করিব তাহা না হয় অন্তথা। ক্রীড়াকালে করে প্রভু জগৎ নিষ্মণি ॥ প্ৰলয় সময়ে সব হয়ে ভগবান। কোটি কোটি ব্ৰহ্মাও স্বজয়ে ভুরুভঙ্গে । আপনে সংহার করে আপনার রঙ্গে । আমি আদি শশী স্বৰ্য্য মুরেশ শঙ্কর । ৰার আজ্ঞা শিরে ধরি বহি নিরস্তর। ( ১ ) পাঠান্তর,— শ্ৰীকৃষ্ণ-প্রেমতরঙ্গিণী তার কালচক্র এই সংহার-মুরতি ॥ ইহা নিবারিতে পারি কাহার শকতি । শিবগোক ধেয়্যা মুনি চলিল সত্বর। শরণ মাগিল গিয শঙ্করগোচর ( ১ ) ॥ শিব বলে শুন মুনি আমার বচন। প্রভুর উপরে প্রভু আছে কোন জন । আমি ভব মহেশ্বর ব্রহ্মা লোকপিতা । জগতের গতি পতি জগত-বিধাতা ॥ সনকাদি নারদ মুনীন্দ্র যোগেশ্বর। যার মায়াপাশে বন্দী সব চরাচর ॥ বুঝিতে না পারি যার মায়া বলবতী । তার নিজ চক্রতে অতুল শকতি ॥ সৰ্ব্বভাবে লহ গিয়া গোবিন্দ শরণ। হরি সে করিতে পারে চক্র নিবারণ ॥ শিবের বচন শুনি দুৰ্ব্বাসা চলিল। বেকুণ্ঠ নগরে গিয়া ত্বরিতে উঠিল। ভয়ে কম্পবান মুনি দেখিয়া তরাল। কমলার সনে যথা বৈসে শ্ৰীনিবাস । হা নাথ হা নাথ বলি পডিল চরণে । পরিত্রাণ কর প্রভু পশিল্প শয়ণে ॥ মোর অপরাধ প্ৰভু ক্ষেম একবার । না জানিঞা মুঞি বড় কৈলু দুরাচার ॥ তোমার ভকতস্থানে কৈল অপরাধ । একবার ক্ষেম প্রভু সৰ্ব্বলোকনাথ ॥ যার নাম শুনিএা নারকী সব তরে। শরণ পশিলু তার চরণকমলে। মুনির বচন শুনি পুরুষ পুরাণ । আপনার তত্ত্বকথা কহে ভগবান ॥ ভকতের বন্ধু আমি ভকত-অধীন। ভকত জনের সঙ্গে মোর নাহি ভিন । হৃদয় হরিয়া মোর লৈল সাধুজনে। আপনে ঈশ্বর নহি সাধুজন বিনে ॥ আপনাকে বড় মুঞি না বলি আপনে। লক্ষ্মীদেবী বড় মোর নহে সাধু হনে ॥ অষ্টৈশ্বৰ্য্য দেখ মোর বৈকুণ্ঠ সম্পত্তি। বৈষ্ণব হইতে বড় নহে অষ্টসিদ্ধি। স্বত বিত্ত গৃহ দার প্রাণ বন্ধুগণ। সকল তেজিল ষেবা আমার কারণ ॥ ইহলোক পরলোক সৰ্ব্বমুখ তেজে । শরণ পশিয়া মোর পদযুগ ভজে ।

  • শরণ পশিল মুনি দেখিয়া শঙ্কর।”