পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७२ রঘুনাথ-পদে করি সেব-অম্বুরক্তি। প্রভুর কৃপায় পাইলেন শুদ্ধা ভক্তি ॥ বিশুদ্ধ-প্রেমের বার্তা না শুনিলা কানে । হইবেক সে প্রেমের প্রাপ্তি কোন স্থানে ? ॥ মুক্ত ভক্ত শুদ্ধপ্রেমরসেতে পূরিত। কতকত-জনে না করিলেন নিশ্চিত । আপনাদিগের মাতুলের ষষ্ট্রপতি । সে-সম্বন্ধে তোমাদেরো মাহাত্ম্য সে অতি ॥ দৈত্যাংশ-প্রবেশ-হেতু কর্ণ-দুৰ্য্যোধনআদি করি দ্বৈত্যমধ্যে হয় ত গণন ॥ আর দৈত্যগণ—বিষ্ণু-বৈষ্ণবের দ্রোহী। নরকের যোগ্য তারা হয় ত বিমোহী ॥ তাহাদিগে কতজনে আপনি মারিলা । আর অর্জুনাদি দ্বারা মারি মুক্তি দিলা ॥ তপ-জপ-জ্ঞানপর ষেই মুনিগণ । ধৰ্ম্ম অর্থ কাম মোক্ষ করেন সাধন ॥ বিশ্বামিত্র, গৌতম, বশিষ্ঠ—আর কত । কুরুক্ষেত্রযাত্রাতে গমন করি ততঃ ॥ শ্রীকৃষ্ণপ্রসাদে ভক্তি করিয়া প্রার্থনা । কৃষ্ণভক্তি-তৎপর হুইলা সব জনা ॥ তরু-লতা-অাদি যেই সকল স্থাবর । তমোষোলি প্রাপ্ত তারা হয় নিরস্তর ॥ বৃন্দাবনে যেই তরু-লতা-আদি-গণ । তমোযোনি নহে–কিন্তু তার তুল্য হন । বিশুদ্ধ-সাত্মিক-ভাৰ পাইয়া তাহারা। কৃষ্ণপ্রেমরস বর্ষে বর্ষি মধুধারা ॥ শ্রীকৃষ্ণের রূপ আর লাবণ্য সৌন্দর্ষ্য । মাধুৰ্য্যের অতিশয় হয় ত আশ্চৰ্য্য। ওহে কৃষ্ণস্রাতাগণ ! কে বর্ণিবে তাহা । অপূৰ্ব্বত্বে বিস্ময়-বিধান করে যাহা । সেইমত লীলা প্রেম আর গুণগণ । অপূৰ্ব্ব-মহিম, কেলিভূমি বৃন্দাবন । বর্ণন করিতে তাছা পারে কোন জন । আপনারা তাহা জ্ঞাত আছ সৰ্ব্বক্ষণ ॥ রূপসৌন্দৰ্য্যাদি যদি নাছিল পূৰ্ব্বেতে । নিত্যত্বের হানি তবে হয় প্রত্যেকেতে ॥ যদি ছিল, তবে পূৰ্ব্ব হইতে শ্রেষ্ঠতা | সিদ্ধ নাহি ছয় রূপাদি-অপূৰ্ব্বতা । কছিছেন মুলিবর এই আশঙ্কায়— স্বয়ং কৃষ্ণচন্দ্র যদি এই মথুরায় । অবতীর্ণ না হইত, তবে ত অক্ষয়— । পরমেশ্বরৰ ব্যক্ত না হুৈত নিশ্চয় ॥ ॐौभढ़tत्रबल কিং পুনঃ পরমাশ্চর্বা-রূপাদিম ভয় । ভাঙ্কুশ লীলাদি কার হুইত গোচর। কিম্বা তাদৃশ রূপাদি হয় 'ভগবভা ৷ প্রকটা নহিত—ইহা মানি আমি সত্তা । এই অবতারে ভগবত্তা সৰ্ব্বোত্তম । বিশিষ্ট-মহিষা-শ্রেণী-মাধুরী সুসম ॥ ৰাক্ত হুৈল সৰ্ব্বমতে সৰ্ব্বথা সৰ্ব্বত্র । ইতরেছ জহুভব করিলেক অত্র । শ্ৰীকৃষ্ণের করুণায় যেই সব কথা । তাছার বর্ণন দূরে থাকুক সৰ্ব্বথা । ক্রীকৃষ্ণের বিগ্রহ সকল যেই হয়। তাহারাও প্রশংসার যোগ্য সে নিশ্চয় ॥ কংস-আদি, কালিয়-পূতনা-আদি আর । ৰলি-শিশুপাল-আদি প্রমাণ তাছার ॥ এই ত প্রকারে অতি প্রকর্ষেতে গান । শ্ৰীনৱদ্ধমুনি করিলেন সমিধান । শ্ৰীমাধবকীৰ্ত্তিতে রসিক স্ব-রসন । দশনে কাটিয়া মুনি করেন শিক্ষণ— ॥ ঐঃকচজের যেই মহিমা-মহত্ত্ব । তাছা বর্ণিবারে ব্রহ্মাদি নহে শক্ত ॥ সেই ত প্রভূর আর ভক্তসকলের। প্রবৃত্ত হইল। জিহব। তাহা বৰ্ণলের । হইলাম ইহাতে সে অত্যন্ত বিস্ময় । অতএৰ তোমারে কহিয়ে মুনিশ্চয়— ॥ কৃষ্ণপ্রিয়-পাণ্ডবগণের যে আচার । নিজশক্তিমতে যদি কিঞ্চিৎ তাহার ॥ উচ্চারণ করিবারে পরিহ রসনে । । মহদ্ভাগ্য লে তোমার করিয়ে গগনে ১ পরম মাহাত্ম্যবস্ত হে পাণ্ডবগণ । আপনাদিগের শ্রীকৃষ্ণুেতে প্রতিজন— । প্রিদত বিশেষ, আর তোমাদের প্রতি— শ্রীকৃষ্ণের করুণা-বিশেষ যেই অতি ॥ কোন ধুইজন তাহা লইবে জিহবায় । বর্ণনে অশক্তি যেই হেতু পূর্ণতায় । স্বেছাদ্র-হৃদয় কৃষ্ণ আশ্বাস-বচন । আকুরের মুখে কহিয়া পাঠালা যখন। শুনি এই কুন্তী-মাতা প্রেমের প্রবাহে । তৎক্ষণাৎ নিমগ্ন হইলা অবগাহে ॥ ৰিচিত্র বিলাপে বহু করিলা রোদনে । বিদারিত হয় বক্ষ যাহার শ্রবণে ॥ " আপনারা কৃষ্ণপ্রিয় হও একারণ । তোৰাদের স্নেহ মাত করিলা রক্ষণ ॥