পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/৩৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

చిdte দৈবকীর গর্ভপাত হৈল হেন বাণী। সৰ্ব্বলোকে এই কথা হৈল জানাজানি ॥ জগতের আত্মা প্রভু পূর্ণ ভগবান। সতত ভকত জন করে পরিত্রাণ । সৰ্ব্ব শক্তি লৈয়া তবে প্রভু হৃষীকেশ । আনকছুন্দুতি-মনে কৈল পরবেশ । ৰমুদেব পরম বৈষ্ণবধাম ধরি । স্বৰ্য্য সম তেজ কেহো সহিতে না পারি ॥ হেনকালে তবে বসুদেব মহাভাগ । চাহিলা দৈবকীমুখ করি অনুরাগ ॥ সৰ্ব্বশক্তিযুত ধাম পরম মঙ্গল । অখণ্ড অচ্যুত পরিপূর্ণ মহেশ্বর । বসুদেব আরোপিলা দৈবকীর মনে । ধরিল দৈবকী ধাম চিত্ত সমাধানে ॥ পূর্বদিগে ধরে যেন পূর্ণ শশধর । ধরিল দৈবকী ধাম মনের ভিতর ॥ জগৎনিবাস তার নিবাস-স্বরূপ। প্রকাশ লহিল তহু দৈবকীর রূপ ৷ কংসের মন্দিরে দেবী আছিলা বন্ধনে। প্রকাশ নহিল তেজ তাহার কারণে ॥ প্রদীপের শিখা যেন রুধিলে না জলে । মুখ মুখে শুদ্ধবাণী যেন না সঞ্চরে। কংস আসি দৈবকী দেখিল আচম্বিত । চিস্তিতে লাগিল কংস মনে পাঞা ভীত ॥ এমন দৈবকী-রূপ কভো নাঞি দেখি । বিষ্ণু আলি অবতার কৈলা হেন পখি। দৈবকীর অঙ্গতেজ সহনে না যায়। এখনে করিব আমি কেমন উপায়। প্রয়োজন কারণে বিক্রম নাহি ছাড়ি । যাহা হৈতে অপযশ রছে লোক ভরি ॥ একেত স্ত্রীজাতি তাতে অারে গর্ভবতী । তাহাতে ভগিনী বধ হয়ে কোন গতি ॥ বল বীৰ্য্য পরমায়ু হরয়ে সকল। জীয়স্তেহ মরা তার জীবন বিফল । এইরূপ সংশয় চিস্তিয়া মনে মনে। চিত্ত নিবারিয়া কংস রহিল আপনে ॥ এখনে জন্মিৰ হরি কি হয় প্রকার । নিরবধি চিস্তম্নে মরণপ্রতিকার। মজন ভোজন পান করিতে শয়ন । ( ১ ) কৃষ্ণময় জগৎ দেখিল আছুক্ষণ ॥ ( ১ ) পাঠাস্তয়,-- ------ "ভোজন শয়ন পান করিতে গমন ॥* ঐীমদ্ভাগৰত গোবিন্দ ধেমান করি রহে নিরস্তর । চিস্তিতে চৌদিগে সবে দেখে চক্ৰধর ॥ তবে নারদাদি সনকাদি মুনিগণে । ইন্দ্র আদি দেবগণ সবল-বাহনে ॥ আপনে আসিয়া ব্ৰহ্মা হর মহেশ্বরে । স্তুতি করে নারায়ণে গর্ভের ভিতরে ॥ সত্যব্রত প্ৰভু তুমি সত্য সৰ্ব্বকাল। সত্যে তোমা পায় জীব লত্যের আধার। সত্যে আরোপিত সত্য আছয়ে তোমাতে। তুমি সে সত্যের সত্য জানিল সাক্ষাতে ॥ সত্যময় প্রভু তুমি ঋত সত্যব্ৰহ্ম। আমি সব হোই দুই চরণে প্রপন্ন ॥ সংসার বৃক্ষের এক প্রকৃতি আশ্রয় । পাপ পুণ্য দুইগুটী সবে ফল হয় । সত্ত্ব রজ তম গুণ তিন গুটী মূল । ধৰ্ম্ম অর্থ কাম মোক্ষ চারি রস তুল। পঞ্চভূতবিরচিত পঞ্চ পরকার। শোক মোহ জরা ব্যাধি ক্ষুধা তৃষ্ণ সার ॥ রস রক্ত মাংস আদি সাত ধাতু ছাল । অষ্ট প্রকৃতি তার অষ্টগোট ডাল ॥ নব গোট গর্তে হয় সঞ্চার বেভার । এইরূপে কহি আদি বৃক্ষের বিস্তাস ঃ দশ গোট ইন্দ্রিয় বৃক্ষের দশ পাতে । সবে দুই গুটী হংস আছযে তাছাতে ॥ আব্রহ্ম পর্যস্ত ভব আদি বৃক্ষ বুলি । সকল পুরাণ বেদে এই অবধারি ॥ (১) হেন ভববৃক্ষ তোমা হৈতে উতপতি । তোমাতে প্রলয় হয় তুমি তার স্থিতি ॥ তুমি সে পালন তার কর সৰ্ব্বকাল। তোমা বিনে সত্য কিছু না হয় সংসার । তুমি স্বজ তুমি পাল তোমাতে প্ৰলম্ব। নায়াবিমোহিত লোক নানারূপ কয় ॥ তুমি ব্রহ্মা তুমি বিষ্ণু তুমি মহেশ্বর । এক প্ৰভু ধর মি নানা কলেবর ॥ বুধজনে তুমি হেন সত্য সবে জানে। অসত্য মানয়ে সত্য বিমোহিত জনে ॥ জ্ঞানময় আত্মা তুমি দিব্যরূপ ধর। দিব্য অবতার করি ভকত উদ্ধার। জগৎমঙ্গল রূপ ধর সত্যময় । (১) “আগ্ৰহ্ম পৰ্য্যস্ত বৃক্ষ ভবের ভিতরে । সমভ পুরাণ এই আছে চরাচরে ॥" পাঠান্তর