পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/৩৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধুজনে পরিত্রাণ যাহা মনে হয়। খল নিবারণ হেতু কর অবত্যর । যোগিগণে যে রূপ চিস্তিয়া হয়ে পার ॥ যত যত ভাগবত আছিল প্রধান । চিম্ভিল তোমার শুদ্ধ সত্ত্বময় ধাম ॥ সমাধি করিয়া চিত্ত করি নিরোধন । তোমার চরণনৌকা করিয়া চিন্তন ॥ গুরুজন-উপদেশে বৎসপদ করি । লীলা এ চলিলা তারা ভবসিন্ধু তরি । আপনে তরিয়া ভবসিন্ধু ভয়ঙ্কর। লোক পরিত্রাণ হেতু চিস্তিল বিস্তর। এ লোকবৎসল তারা সহজে দয়াল । তোমার চরণে ভক্তি করিয়া বিস্তার ॥ চরণপঙ্কজ পোত জগতে স্থাপিয়া । মহাজন সব গেল সংসার তরিয়া ॥ চের হে করুণাসিন্ধু কমললোচন । ভক্তিহীন জন তার বিফল জীবন ॥ তোমাব চরণে ভক্তি লা কৈল যে জনে । যোগ সাধি আপনাকে মুক্ত হেন মাণে ॥ করিয়া পরম পদ দুঃখ আরোহণ তাহা ছৈতে হয় তার পুনঃ নিপাতন । তোমার পদারবিন্দে যে ছয় বঞ্চিত। শুদ্ধ শুদ্ধি নহে তার ভক্তিহীন চিত । মুক্তিপদ পাঞা সে যে পড়ে আর বার। তক্তি বিনে কেহো নহে ভবসিন্ধু পার । হে মাধব হে যাদব জগৎনিবাস। ভকতজনের কভো না হয় বিনাশ । প্ৰেম-অনুবন্ধ করে তোমার চরণে । যথা তথা রন্থক যেন তেন মনে । বিস্ত্রশিরে চরণ ধরিয়া দৃঢ় করি। সচ্ছন্দে ভ্ৰমুক গিয়া ভয় পরিহরি । তুমি রক্ষা কর যদি নহে তার নাশ । হেন তুমি ভকতবৎসল শ্ৰীনিবাস। যদ্যপি কেবল আত্মা তুমি জ্ঞানময়। তথাপি ভকতজন-পালন-সদয় ॥ বিশুদ্ধ পরম ধাম দিব্যমূৰ্ত্তি ধর। জীবপরি এtণ লাগি নানা লীলা কর ॥ দেবযজ্ঞ কৰ্ম্মযজ্ঞ তপযজ্ঞ করি । লে রূপ ভাবিয়া লোক যাইব ভব তরি। এই-লে কারণে মূৰ্ত্তি কর আবির্ভাব। প্রকট পরমানন্দ অচিন্ত্য প্রতাব । যদি না করিতে হেন মূর্তি পরকাশ । শ্ৰীকৃষ্ণ-প্ৰেমতরঙ্গিণী 98 কে তোমা জানিত তবে সৰ্ব্বভূতে ৰাস। কাহারে নহিত তবে ঈশ্বর-গেয়ান । আছেন ঈশ্বর যবে এই অনুমান । কাহারে নহিত তৰে অজ্ঞান বিচ্ছেদ । কাজে ঘুচিত তবে ভবদুঃখ-খেদ । এখঞ্জু তামার দিব্য অবতার ভজি। "াক তরিব সংসার-দুঃখ তেজি । গুণ কৰ্ম্ম জন্ম তুমি ধর নানামতে । তহু নাম রূপ না পারিয়ে নিরূপিতে ॥ অনন্ত তোমার নরম গুণ অবতার। নিরূপিতে পারে হেন শকতি কাহার ॥ মনোবচনের প্রভু তুমি অগোচর । সৰ্ব্বলোক সাক্ষী তুমি মহা মহেশ্বর। কদাচিৎ করে কেহ পথ অকুমানে। হেন মহাপ্ৰভু তুমি পূর্ণ ভগবানে। সবে চরণারবিন্দ পরিচর্য্যা করি। এই সে উপায় ভব তরিবারে পারি ॥ ( শুনিব শুনাব নাম করিব কীৰ্ত্তন। জগত-মঙ্গল নাম করিব চিন্তন ॥ ) পরিচর্য্য কৰ্ম্ম করে ভক্তিযুত হৈয়া। আপনে ঈশ্বর হৈয়া লভিলে জনম ৷ এতেকি হইল তার পৃথীর খণ্ডন ॥ এই ভাগ্য তোমার দেখিব পাদপদ্ম । মহাভাগবত মত্ত-মধুব্রত-সন্ধু । চরণ-পঙ্কজ মুশোভিত ক্ষিতিতলে । দেখিব পদারবিন্দ গগনমণ্ডলে । আপনে ঈশ্বর তুমি অজ নিরঞ্জন । না দেখি বিনোদ বিনে জনম-কাৱণ ॥ যাহার মায়ায় করে স্বষ্টি পরলয়। অনন্ত ব্ৰহ্মাও কোটি যাহার হৃদয় ॥ হেন প্রভু হৈয়া তুমি কর অবতার। সবে দেখি প্রয়োজন করিবে বিহার ॥ মৎস্য কুৰ্ম্ম আদি নানা অবতার করি। জগৎ রক্ষণ যেন কর ভার হরি ॥ সেইরূপে এখনে পৃথীর হর ভার। স্বরগণ পালন করিহ সৰ্ব্বকাল ॥ সতত তোমার রন্থ চরণে বন্দন । তবে দৈবকীর তরে কৈল সম্ভাষণ ॥ পরম পুরুষ যে সাক্ষাৎ ভগবান । তোমার উদরে তার হৈল উপাদান । তুমি না করিহ আর কংস করি ভয় । সাক্ষাৎ বৈকুণ্ঠনাথ তোমার তনয় ॥