পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/৩৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশ্ব সহে নহে যেন তার অজুবন্ধ । এইরূপ প্ৰভু তুমি নিত্য পরানন্দ। বিশ্ব নিরমিয়া ( ১ ) আছ জগৎনিবাস । বুদ্ধি মন চিত্ত তুমি কর পরকাশ ॥ সেই বুদ্ধি মনে তোমা লইতে না পারি। সৰ্ব্বময় প্রভু তুমি সৰ্ব্ব-অধিকারী ॥ অসত্য জগতে তুমি আছ হেন মানি । এমত নিশ্চয় যার তত্ব নাহি জানি ॥ পণ্ডিত না হয় সে যে না বুঝে বিচার । জগতের ভিন্ন তুমি জগতের সার। নিরাকার ব্ৰহ্ম তুমি নিগুৰ্ণ বিকার। (২) তহু তোমা হেন স্বষ্টি পালন সংহার ॥ সভার ঈশ্বর তুমি সভার আশ্রয়। তোমাতে কহিতে কিছু বিরোধ না হয়। সত্ত্বগুণে শুক্লবর্ণি ধর কলেবর। জগৎ পালন তুমি কর মহেশ্বর ॥ রজোগুণে রক্তবর্ণ ধরি স্বষ্টি কর । তমোগুণে কৃষ্ণবর্ণ ধরিয়া সংহর ॥ এখনে করিবে তুমি লোকপরিত্রাণ । মোর ঘরে অবতার কৈলে ভগবান ॥ রাজবেশ কপট অমুরসৈন্তভার । সমূলে করিবে তুমি সে সব সংহার। এখানে সম্প্রতি মোর এই নিবেদন । মোর ঘরে তুমি আসি লভিলে জনম । শুনিয়া অগ্রজ ৰথ কৈল ছয় ভাই । কহিব তাহার অনুচরে তার ঠাঞি ॥ শুনিএ আসিব কংস খড়গ ধরি হাথে । মোর নিবেদন এই তোমার সাক্ষাতে। দেখিয়া পুত্রের রূপ পুরুষলক্ষণ । বিস্ময়ে দৈবকী দেবী করয়ে স্তবন ॥ নিৰূপম নিরাকার ৰেকত-রহিত । ব্ৰহ্মজ্যোতি নিগুণ বিকার-বিবর্জিত ॥ সত্তামাত্র নিৰ্ব্বিশেষ নিরীহস্বরূপ । সেই সে সাক্ষাৎ জ্ঞান প্রকাশকরূপ ৷ বখনে সকল হয়ে ব্ৰহ্মাণ্ডের নাশ । কারণে প্রবেশ করে প্রপঞ্চ বিলাস ॥ কারণে প্রবেশ করে প্রকৃতি ভিতরে । প্রকৃতি প্রবেশ গিয়া করে মহেশ্বরে । ব্ৰহ্মা পৰ্য্যস্ত হয় ব্রহ্মে পরবেশ । তখনে সকলে তুমি থাক অবশেষ । ( ১ ) পাঠাস্তর,—"বেয়াপিঞ* । (২) “পাঠাস্তর,--নিৰ্ব্বিকার" । ঐকৃষ্ণ-প্রেমতরঙ্গিলী 'LGO যদিবা বলিবা (১) কালে করএ সংহার। কালরূপে আছে এক শকতি তোমার ॥ সেই কালে করে স্বষ্টি পালন প্রলয় । সেই কাল তোমার লীলায় মাত্র হয় । মৃত্যু-ভয়ে ব্যাকুল হইয়া এত কাল ॥ পলাঞা কোথাহ লোক না পায় নিস্তার ॥ এখনে পদারবিন্দ করিয়া আশ্রয় । মুখে লোক থাকিব খণ্ডিব ভবভয় ॥ উগ্ৰসেন স্বত কংস দুরন্ত নিষ্ঠর । তার ভয়ে আমি সব অতি বেয়াকুল । ভকতবৎসল নাম করিয়া সফল । ভৃত্যগণ পরিত্ৰtণ কর প্রাণেশ্বর ॥ যে রূপ যোগেন্দ্রগণ চিস্তয়ে ধেয়ানে। চৰ্ম্মচক্ষে লে রূপ দেখিব সৰ্ব্বজনে ॥ পরতেক (২) এ রূপ না কর নারায়ণ । ধ্যানগম্য রূপ প্রভু কর সম্বরণ ॥ মোর ঘরে কৃষ্ণ আসি কৈলে অবতার। না । নে পাপিষ্ঠ যেন কংস দুরাচার ॥ নারী জাতি মোর চিত্ত সহজে চঞ্চল । তোমা লাগি মোর মনে বড় লাগে ডয় ॥ শঙ্খ চক্র গদা পদ্ম ভুজ-বিরাজিত । এ রূপ সম্বর তুমি না কর বিদিত ॥ যে প্রভু প্রলয়ে ধরে বিশ্ব চরাচর । অখিল ব্ৰহ্মাণ্ড যার গর্ভের ভিতর ॥ যে প্রভু আসিয়া মোর গর্ভে উৎপন্ন। মানুষ জাতির এতাবৎ বিড়ম্বন। (৩) দৈবকীর বচন শুনিয়া চক্রপাণি । কহিতে লাগিলা সব পুরুব কাহিনী ॥ পুত্রের প্রভাব দেখি বসুদেব শ্ৰীদৈবকী করে কিছু বিনয় স্তম্বন। শিরেতে যুড়িয়া হাত ঘন ঘন প্ৰণিপাত স্বেদাঞ্চিত সজল নয়ন ॥ আদি অস্ত তুমি সব তুমি ষে কারণার্থৰ তুমি ব্ৰহ্মা পুরুষপ্রধান। আকাশ পাতাল ভূমি নক্ষত্রমণ্ডল তুমি তুমি প্ৰভু বেদ ব্ৰহ্মজ্ঞান। তুমি ব্ৰহ্মা তুমি শিব তুমি লে দেবের দেৰ তুমি সে অনন্ত ক্ষিতিধর। (১) বলিব, বলিবে । (২) প্রত্যক্ষ । (৩) পরিষৎ কর্তৃক প্রকাশিত পুস্তকে ( বসুদেব ९ ४नवको ७ख्रम्न बिजिउ झ्रेग्न उछि कब्रिाज्राइन ।)