পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/৩৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՓԳեր গোকুলের কলঙ্ক রাখিল শিশুগণে । আজি তার শাস্তি যে করিব ভাল মনে ॥ এইরূপে গোপগণ তৰ্জ্জিয়া গজ্জিয়া। নানা দুঃখ পেয়্যা আইল পৰ্ব্বত লঙ্ঘিয়া ॥ যেই মাত্র ছৈল শিশুর মুখ দরশন। সেই ক্ষণে হৈল সব ক্রোধ ৰিষ্মরণ ॥ বুকের উপরে তুলি দিল আলিঙ্গন । প্রেম রসে বাহ পাসরিল গোপগণ ॥ কেবল পরমানন্দ রসময় সঙ্গ । নয়নে আনন্দজল পুলকিত অঙ্গ ॥ প্রেমরসে জড়বৎ নাছি অবধান । পাসরিল গোপগণে নিজ পর জ্ঞান ৷ বলরাম দেখি প্রেম সম্পদ-উদয়। মনে মনে চিস্তিতে লাগিলা মহাশয় । স্তন্যপ ছাওয়ালে প্রেম বাটিতে জুয়াম। এ সব বালক বৎস ওন নাহি খায় ॥ এত বড় তবে কেন দেখি অঙ্কুরাগ । ৰুঝিতে না পারি নারায়ণ অস্থভাব ॥ ব্ৰজকুলে উথলিল প্রেমের সাগর । আমার হৃদয়ে প্রম বাঢ়ে নিরস্তর ॥ কোথা হৈতে আইল মায়া কাহার ঘটনা। কিবা দেবমায়া কিবা অম্বররচনা ৷ প্রায় হেন বুঝি মায় রচিল ঈশ্বরে। অস্তেব মায়ায় কেন মোহিব আমারে। এতেক বচন বুলি প্রভু বলরাম । থ্যাল অবলম্বে মন কেলা প্রণিধান ॥ সকল বৈকুণ্ঠময় জ্ঞানচক্ষে দেখি । বলরাম আপলে মুদিল দুই আখি ॥ শিশুগণ দেব-অংণে হই উপাদান । ঋষি-অংশে যতেক বাছুর বিদ্যমান ॥ এ সব কেহত দেব ঋষি অংশে লম্ব । সৰ্ব্বরূপ ধরি লীলা করে কৃপাময় ॥ এ বোল জানিঞা কৃষ্ণ কহিলা ইঙ্গিতে । বলভদ্র সকল বুঝিল ভাল মতে ॥ এইরূপে যে দিনে বৎসর পূর্ণ হৈল । লে দিনে আসিয়া ব্ৰহ্মা সকল দেখিল । যত বৎশ যত শিশু পুৰ্ব্বেতে আছিল । সকল আসিয়া ব্ৰহ্মা গোকুলে দেখিলাম ॥ যত বৎসশিশুগণ শষ্যার উপরে । শয়ন করিয়া আছে উঠিতে না পারে ॥ যতেক বালক বৎস লঞা বনমালী । ক্রীড়া করে লিজে শিশু বৎসরূপ ধরি। वैंघडां★बरङ এতেক চিস্তিয়া ব্ৰহ্মা কৈল প্রণিধান । চিরকাল রহে চিত্ত করি সমাধান । কিবা সেই সত্য কিৰা এই সত্য হয়। কিবা সেই মিথ্যা কিবা এই মায়াময় ॥ চৌদ্দ ভূবনপতি ব্ৰহ্মা হেন হয়্যা । তবু কিছু ন বুঝিল যার যোগমায়া ॥ নিত্য শুদ্ধ জ্ঞানময় বিশ্ব-বিমোহন । সে প্রভু মোহিতে ব্ৰহ্মা কৈলা আগমন ॥ আপন মায়ায়ে ব্রহ্মা আপনে মোহিল । নীহার তিমির যেন তিমিরে মজিল ৷ মহাস্তে অষ্ঠের মায়া কি করিতে পারে । দিবসের মাঝে ষেন জুনিপোকা জলে । তবে ব্ৰহ্মা সকল বালক হেরি দেখে । সাক্ষাৎ পরমব্রথ রহে একে একে ॥ নবঘন হ্যামতনু পীত বস্ত্র ধরে । চতুভুজ শঙ্খচঞ গদা পদ্ম করে । মকর কুণ্ডল হার বনমালা দোলে ; শ্ৰীবৎস-অঙ্গদ রত্ব মণিমালা গলে । কনক কঙ্কণ চারি ভূজে বিরাজিত । শিঞ্জিত মঞ্জীর চার চরণে রঞ্জি ৩ । ক তটে কটি স্বত্র কনকমেখলা। লব ও লধরে যেন চমকে চপল । রতন অক্ষুরী কর পল্লব বিলাস । অরুণিত নখ নব চন্দ্র পরকাশ । আপাদমস্তকে দোলে তুলসীর মালা । পদনখ বিবাজিত নবচন্দ্রকলা । বিশদ চঞ্জিকা চার মনমধু হাস। সত্ত্বগুণে যেন বিশ্বপালক বিলাস । অরুণিত অপাঙ্গভঙ্গিমা নিরীক্ষণ । রজেণ গুণ ধরে যেন হুষ্টিকৰ্ত্তাগণ ॥ আত্মা আদি করি তৃণ স্তম্ব পৰ্য্যস্ত । চরাচর সর্বজীব হয়্যা মূৰ্ত্তিমস্ত । মৃত্য গীত বহুবিধ অনেক সম্ভার । লালাভাবে স্ততি ভক্তি করে নমস্কার । অলিমাদি অষ্টৈশ্বৰ্য্য অষ্টমহানিধি । মায়া আদি করিয়া বিভূতি সঞ্চসিদ্ধি ॥ সাক্ষাৎ চব্বিশ তত্ত্ব নিজরূপ ধরি। কাম কৰ্ম্ম সকল স্বভাব আদি করি ।