পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/৩৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Olూy কৃষ্ণ কৃষ্ণ মহাবল দুষ্ট বিনাশন । ইথে কত দূরে আছে মহাতালবন । মহাতালকুল-পরিপুরিত সকল । ভূমিতলে কতেক পড়িয়া আছে ফল । কিন্তু তালবন রাখে ধেন্থক অস্বরে । নিকটে না যায় কেহ দুরস্তের ডরে । অতি মহাৰল সে অমুর দুরাচার । থরতর রূপ ধবে গর্দভ অীকার ॥ সমবল সমবেশ জ্ঞাতিগণ লঞা । তালবনে বৈসে নানা জীবজন্তু খেয়্যা । ক্ষিতিতলে পূরিয়া বিস্তর ফল রছে । হের দেখ ফলের সুন্দর গন্ধ বহে ॥ তাল আনি দেহ যদি খায় শিশুগণ । বাঞ্ছা যদি কর কৃষ্ণ যাই তালবন । শিশুগণ বচন শুনিয়া বনমালী । হাসিয়া চলিলা বলভঙ্গে সঙ্গে করি ॥ বঙ্গভদ্র করি তালবনে পরবেশ । দুই হস্তে ধরি গাছ ঝাড়িল বিশেষ । গাছের ঠেলায় গাছ র্কাপে থর থর । ভূমিতল পুরিয়া পড়িল তালফল । ছড়জুড়ি শবদ উঠিল ক্ষিতিতলে । শুনিএ খেল্লুক দৈত্য ধাইল সত্বরে। পদভরে পুথিবী করয়ে টলমল । কাপিল পৰ্ব্বত তরু ধরণীমণ্ডল । দুইখানা পাছ পদ উদ্ধ করি তুলি । মারিল রামের বুকে গাধা শব্দ করি ॥ লাথি মারি তবে সরি গেল কথোদুরে । পুনরপি ধাইল দৈত্য গৰ্জ্জিয়া নিষ্ঠরে। উদ্ধ করি পাছু পদ তুলি আরবার । রামের হৃদযে দৃঢ মারিল প্রহর । দুই পদ ধরিলা রাম দিয়া বাম হাথ । আকাশে তুলিয়া পাক মারে পাঁচ সাত ॥ ভ্রমাইতে জীবন ছাড়িল দুরস্তরে। তুলিয়া মারিল পাক তালের উপরে। ভাঙ্গিল তালের গাছ কঁপে থর ধর । গাছের ঠেলায় গাছ কঁাপিল সকল ॥ লীলtয় পেলিল। দৈত্য গাছের উপরে । মহা শস্থচূর হেন হই তার ভরে। গাছে গাছে ঠেলাঠেলি কাপে তালবল । আচম্বিতে যেন মহাঝড় বরিবণ ॥ অনস্তর ধরণীধর ব্রিজগৎপতি । চরাচর আধার সকল লোকপতি । শ্ৰীমন্তাগৰত এ কোন বিচিত্র কৰ্ম্ম বলিব তাহার । এই লাকে কৈল এক লীলায় যাহার। ধেমুকের মরণ শুনিঞা বন্ধুগণে । বেণধ করি ধেয়্যা তারা আইল সেইক্ষণে । রামকৃষ্ণ দুই ভাই কোন কৰ্ম্ম করে। বামহস্তে লীলায় চরণ চাপি ধরে। পাক মারি পেলে তাল বৃক্ষের উপরে। তালবন পুরিল দৈত্যের কলেবরে । দৈত্য দেহে ক্ষিতিতল সকল পূরিল। বিস্তব গাছের মাথা ভাঙ্গিয়া পড়িল । দীপ্তি করে ভূমিখান দেখিতে সুন্দর। মহামেঘে পুরে যেন গগনমণ্ডল ॥ মহা অদভুত কৰ্ম্ম দেখি সুরগণে । মৃত্য গীত স্তুতি কৈল পুষ্প বরিবণে । থাপাথাপি দিয়া তাল শিশুগণে ধরে। তল খায় শিশুগণ আনন্দে বিহরে। কৌতুকে সকল লোক দেখিয়ে বেড়ায় । পশুগণ পলুবেশি নব তৃণ খায় । অমল কমলদল বিশাল লোচন । কমলা-বন্দিত পুণ্য শ্রবণ কীৰ্ত্তন ॥ অনুগত বালকে চৌদিগে গুণগায় । ব্রজ পরবেশ কৈল ত্রিজগৎ রায় গোরজেতে আচ্ছাদিত কুন্তল উজ্জল । বিচিত্র বরিহা চুড়া শিরের উপর । রুচির কুমুমদাম মন্দ মধু হাসে । অনুগত পিশুগণ গায় ১ারি পাশে । শিশু মাঝে বায় কামু মধুর মুরলী। পথে পথে রহি চাহে আতাঁরমুন্দরী ॥ মুখ-পদ্ম মধু পিয়ে নয়ন ভ্রমরে । দিবস বিরহ-তাপ ছাড়িল অন্তরে । ব্ৰজবধুগ- প্রেম আনন্দবিলাস সলজ্জ কটাক্ষপাত মন্দ মধু হাস ॥ বুঝিয়। রমণীগণ মন বনমালী। ব্ৰজপুরে পরবেশ করিলা শ্ৰীহরি। যশোদা রোহিণী দুই হরষিত মনে আশীৰ্ব্বাদ কৈল রাম কৃষ্ণ দরশনে ॥ মর্দন মজ্জন করাইল পুণ্যজলে । দিব্যগন্ধ বিলে- ন দিল কলেবরে ॥ বসন ভূষণ দিব্য আভরণ দিল । দিব্য অন্নপান দিয়া ভোজন করাইল ॥ লালন পালন কৈল বিবিধ ৰিধানে । শয়ন করাল্য মাতা উত্তম শয়নে ॥