পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/৪০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়েTবিংশ জীব্যTয় | কৃষ্ণ কৃষ্ণ মহাবাহু রাম হলধর । ক্ষুধায় আকুল হৈল রাখাল সকল। হেন বুঝি কর যেন ক্ষুধা নাহি পাই । কোন পরকারে ভক্ষ্য মিলে এক্ট ঠাঞি । জানাইল বালকে শুনিএা হৃষীকেশ । যথা অন্ন পাবে তাঁর কহিল উদেশ । এইত কাননে বৈসে বৃদ্ধ দ্বিজগণ । সৰ্ব্বশাস্ত্রে বিশারদ মহাতপোধন । আদিরস নামে যজ্ঞ করে স্বৰ্গকামে । তোরা যায়্যা মাগ অন্ন সেই বিপ্র স্থানে ॥ অগ্রজ রামের নাম প্রথমে ধরিহ। আমার বচন তাথে পশ্চাতে করিহ ॥ তবে তারা দিবে অন্ন চলক তুরিতে । আজ্ঞা শিরে ধরি শিশু চলে সেই মতে ॥ উঠিয়া দাণ্ডালা ( ১ ) শিশু সেই যজ্ঞ স্থানে । ভূমিতে পড়িয়া কৈল দও পরণামে ॥ কর যোড় করি বলে বিনয় বচনে । শুনহ ব্ৰাহ্মণগণ কর অবধানে ॥ গোপশিশু আম! সব হই কৃষ্ণদাস । আজ্ঞা প্যায়্যা-আইলু বিপ্র তোমার সংপাশ । অগ্রজ বলাই তার সঙ্গে শিশুগণ । নিকটে থাকিম! গ্ৰ ভু চরায় গোধন ॥ গণ সহে শুয়্যাছেন বড় বুভূক্ষিত । অন্ন দেহ বিপ্রগণ তার সমুচিত ॥ যে যে ৰিপ্ৰ হৈয়া থাকে যজ্ঞেতে দীক্ষিত। তার অন্ত্রে দেবে যদি বলিৰে পণ্ডিত । শুন হে ভূদেবগণ তার সমাধান । কৰ্ম্মশাস্ত্র কহি কিছু তোমা বিদ্যমান । পশু-সংস্থা নাম যজ্ঞ আর সোঁত্রামণী । তার অল্প খাইলে পতিত হয় জানি । আর যজ্ঞে অন্ন থাইলে দোষ নাহি দেখি । আমি কি কহিব ৰিপ্ৰে তুমি তার সাক্ষী । কছিল এতেক যদি বিনয় বচনে । শুনিএাহো না শুনিল সব দ্বিজগণে ॥ মনে দুঃখ পাঞা শিশু কি বোলে ৰচনে । কে বলে ইহারা বৃদ্ধ কে বলে ব্ৰাহ্মণে ॥ তুড়ি রাগ। ( ১ ) পাঠান্তর,—“উপসন্ন হৈল ।" C.? বড় বড় কৰ্ম্ম করে অল্প আশা ধরে । জ্ঞান সাক্ষাৎ ছাড়ি মূঢ় পণ্ডিতাই করে । মন্ত্র তন্ত্র দেশ কাল যজ্ঞ হুতাশন । দেব দ্বিজ যজ্ঞ যত সব নারায়ণ ॥ কৃষ্ণ বিনে অন্ত কিছু নাহি বিকল্পনা । হেন কৃষ্ণ সাক্ষাতে না দেখে মুখ জনা ॥ সাক্ষাৎ পরমব্রহ্মে মাম্বুব গেয়ানে । অতি মুখ ব্ৰাহ্মণ জানিল অম্বুমানে । আলিয়া জানাল্য শিশু কৃষ্ণ বিদ্যমানে। এ বোল শুনিএ কৃষ্ণু হালে মনে মনে যাচকের এই গতি ভিক্ষণ মাগি খায়। ছলে কৃষ্ণ তত্ত্বজ্ঞান লোকেরে বুঝায় ॥ চল যজ্ঞস্থানে গোপশিশু আরবার। বলভদ্র সহ নাম ধরিহ আমার ॥ পুণ্যবতী যজ্ঞপত্নী সতী পতিব্ৰতা । শুনিলেই দিব অল্প আমাতে ভকত । পাঠাইলা গোপশিশু গেলা পত্নী স্থানে । ভূমেতে পড়িয়া গিয়া করিল প্ৰণামে। কর জোড়ি শিরে ধরি বিনম্ন ৰচনে । দূরে থাকি কহে যজ্ঞপত্নী বিদ্যমানে ॥ গোপশিশু আমি-সব কৃষ্ণ-অল্পচর । আমা পাঠাইল কৃষ্ণ তোমার গোচর । এইত নিকট বলে সঙ্গে হলধর ॥ গোপ সহ স্বরতি চরায় দামোদর। গণ সহে রাম কৃষ্ণ হয়্যাছে ক্ষুধিত । অন্ত্ৰ দেহ যজ্ঞপত্নী তার সমুচিত ॥ কৃষ্ণ আগমন কথা শুনি লেইক্ষণে । প্রাণ ছাড়ি ভূমেতে পড়িল সেই মনে। প্রেমরলে দ্বিজপত্নী আপিলা পসারে । কৃষ্ণকে দেখিব বলি উঠিল সত্বরে। দিব্য রত্ব রচিত তোজনপাত্র ধরি। ৰহু অন্ন চৌদিগে ব্যঞ্জন লৈল ভরি ॥ জানন্দে পুরিয়া দ্বিজপত্নী চলি যায়। পতি পুত্র বন্ধুগণে ধরিয়া স্বছায় ॥ গোবিন্দ্ৰ হরিল চিত্ত রাখে কার শক্তি । তুরিতে চলিয়া গেল সব দ্বিজ সতী । খরবেগে নদী যদি চলে সিন্ধুমুখে । হেন কার শক্তি আছে ষে তাহারে রাখে।