পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/৪০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8es যেরূপ দেখিল কৃষ্ণ দ্বিজ পত্নীগণে । কহিব তোমারে রাজা শুন সাবধানে । শীতল যমুনাকুলে অশোকের তলে । ললিত লহরী বাত বহে পরিমলে । বহু সুখ বহু গন্ধ বিবিধ আনন্দ । ৰহৰিধ কুস্কম কমল মকরন ! নবদল পল্লব অশোক তরুবর । কনক পরিধি পরে শু্যাম-কলেবর ॥ ময়ুর চঙ্গিক নবধাতু বনমালা । নবদল পল্লব ধরয়ে নন্দলালা । নটবর বেশ ধরে ত্রিভঙ্গ সুন্দর। অস্থগত শিশু স্কন্ধে দিয়া বামকর ॥ অখিল লাবণ্য লীলা ধয়ে যদুরায়। দক্ষিণ কোমল করে কমল চলায় । ললিত চলিত উতপল শ্রীতিমুলে । চঞ্চল অলকা চাৰু সুন্দর কপোলে। প্রমুখ-পঙ্কজে চারু মন মুছ হাস। যেন ঘন মেঘে চন্দ্র-কেট পরকাশ । এরূপ দেখিল দ্বিজসতী পতিব্ৰতা । জনমে জলমে তার মুকুন্দ-ভকতা ॥ প্রথম শ্রবণে তাদে শ্রুতিযুগ পূরে । জয়শন-রলে দুই অাখি রন্ধ ভরে। খ্যান ভাবে কৈলা হরি হৃদয় কমলে । ভাবে জালিজন দিল ঘুড়ি দুই করে। পতি পুত্র গৃহ ধন ভেজিয়া সকলে । ৰঙ্গপত্নী শরণ লইল পদমূলে। অখিল ভুবন-সাক্ষী প্ৰভু নারায়ণে । বুঝিয়া হাসিয়া তারে কি বোলে বচনে । আইস আইল নারীগণ কহত কল্যাণে । দেখিবারে আইলে আমা দেখিলে নয়নে ॥ ধন্ত পুণ্য জন্ম বায় থাকে আত্মরতি ॥ নিরৰধি করে তারা আমারে ভকতি ॥ ধন জন জন স্বত দণর যেবে অল্পবন্ধে । প্রিয় করি মানে তারা আঞ্জার সম্বন্ধে ॥ ৰাৰৎ আত্মার থাকে শরীরে সংযোগ । তাবৎ মালিঞে ধুন স্বত মুখভোগ ॥ হেন সাক্ষাৎ আত্মা আমি নারায়ণ । অামা ছাড়া কারে প্রীতি করে বুধজন ॥ উচিতে আমারে তুমি করিলে ভকতি। বাহু যাহ নিগৃছে শীব্র দ্বিজসতী । ৰিপ্ৰজাতি স্বামী তোর ছিদ্র অঙ্কুসারে । ছিজ পায়্যা তেজিতে বিলৰ নাহি করে । ॐौयडांशदछ যজ্ঞ করে দ্বিজগণ গৃহবাসী হয়্যা। সেই যজ্ঞ সমাধিব তোমা সতী লক্ষ্য । এ বোল বুঝিয়া তুমি চল শীঘ্র ঘরে । তবে যজ্ঞপত্নীগণে কি বোলে উত্তরে ॥ হেন কি নিষ্ঠুর বাণী বলিতে ঘুঝায়। অনন্ত ব্ৰহ্মাওপতি তুমি যন্থরায় ॥ জগতে বিদিত সত্য তোমার বচন । প্রণত জনের তুমি করহ পালন ॥ হেন অঙ্গীকার প্রভু হয়্যাছে তোমার ॥ সৰ্ব্ব বেদশাস্থে কহে এই সমাচার । হেন সত্য বাক্য প্রভু করহ পালন । ষজ্ঞপত্নী মোরা লৈলু চরণে শরণ ॥ চরণে ঠেলিয়া তুমি পেলিবে তুলসী । কেশে ধরি মোরা তাহ রাখিব শিরলি (১) ॥ এই লে কারণে আইলু বন্ধুগণ তেজি । থাকিব এথাই মোরা পদযুগ তজি । পতি সুত জনক জননী যদি তেজে । ভাই বন্ধু বান্ধব আনের কিবা কাজে । তযুত অভয় পদে পশিহু তোমার । অভয় চরণ বিনে গতি নাহি অরি। বুঝিয়া করিবে আজ্ঞা তুমি সে প্রমাণ । তোমার চরণ ছাড়ি গতি নাহি আন ॥ এ সব বচন শুনি করুণাসাগর। কৃপা করি দিলা তারে প্রবোপ উত্তর ॥ কেহ ক্রোধ না করিব পতি স্বতগণে । বিশেষে করিব পূজা এ তিন ভুবনে ॥ দেবে পূজা করিব আনের কিৰা দায় । আমার প্রসাদে স্বদে থাক স* থায় ॥ নিকটে থাকিলে নাহি বাঢ়ে অঙ্কুরাগ । মনেতে ভাবিহ আম পাইবে সংযোগ ॥ প্রবোধ বচন পেয়্যা যজ্ঞপত্নীগণে । পালটি আইল পুস্থ সেই যজ্ঞস্থানে ॥ নিজ নারী দেখিয়া জানন্দ দ্বিজগণে । যজ্ঞপত্নী লয়্যা কৈল যজ্ঞ সমাধানে ॥ ধরিয়া রাখিল স্বামী এক দ্বিজ সতী । ঘরের ভিতরে রৈল না পাইল সংহতি ॥ হৃদয়ে চিস্তিয়া কৃষ্ণে দিল আলিঙ্গন । ছাড়িল শরীর কৰ্ম্ম-নিবন্ধ-বন্ধন । ৯ ) পাঠাস্তর, কেশে ধরি অামি-সব রহিব শিরসি*