পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/৪১৬

858 গৃহধৰ্ম্ম কেমতে করিব ব্রজনারী। তুমি সে হরিলে চিত্ত ধরিতে না পারি। করে ফৰ্ম্ম না করে না চলে দুই পাও । কেমতে বা চলিব ধরিতে নারি গাও । কোথা বা চলিব কিবা করিব উপায় । সকল হরিয়া তুমি নিলে যত্নরায় ॥ মন্দ হাস মন্দ গীত মধুর বচনে । হৃদয়ে জলয়ে কামু কাম-হুতাশলে ॥ অধর আমিঞা-প্লসে ব্রহ ’ে চন । মদন অনলে দাহ না রছে জীবন। হের যদি না দেছ অধর মধু দাণে । বিরহ-আনলে গোপী তেজিব পরাণে ॥ ধ্যান করি পদযুগ চিস্তিব তোমার । ও নমে-জনমে প্রভু গতি নাহি আর ॥ কমলাসেবিত স্বরবন্দিত চারণ । বিপিন আ নে আমি দেখিলু যখন ॥ গৃহে স্থির হৈতে নারি সে-দিন অবধি । সঙ্কটে পড়িলু আমি করিব কি বুদ্ধি । চরণপঙ্কজরলে কত না মাধুরী। হৃদে রছি লক্ষ্মী যাহা বাছে স্তুতি করি ॥ ব্ৰহ্মা আদি মুর যারে সেবয়ে ৰতনে । হেন লক্ষ্মী পদধূলি বাস্থয়ে আপনে ॥ আমি-লৰ কেমতে তেজিব তার আশ । ল৷ ভনি চরণে কত মাধুরী প্রকাশ । ছুরিতভঞ্জন কামু করহ প্রসাদ । নহে বা তেজিলে পাছে ফলিব প্রমাদ ॥ দাগী হয়্যা থাকিব লেবিয়া পদ তুম্বা। দান্তভাব দেহ প্ৰভু না ছাড়িহ দয়া ॥ চঞ্চল অলকাযুত শ্ৰীমুখমণ্ডল । অরুণ-অধর পার্থে কুণ্ডল উজ্জল ॥ (১) অমৃত মধুর ভাষা মন্দ মৃদ্ধ হ'ল। ভূজদও যুগল অভয় পরকাশ । কমলানিবাস বক্ষ দেখিল মুন্দর । তে-কারণে দাগী হয়্যা রহি নিরস্তর ॥ মধুর বংশীর সান শুনিএ শ্রবণে । তোমার স্বন্দর রূপ দেখিয়া নম্বনে ॥ কোন কুলবতী নারী নহিব মোহিতা। ধৰ্ম্মপথ না ছাড়িৰ হয়্যা সাবছিত s ( ১ ) পাঠভির,— ‘কুণ্ডল উজ্জ্বল জ্যোতি—ঙ্গক্ষণ অধর ' ईेश्डtश्नं वङ তিন লোকে আছে এত বড় কোন নারী নিজধৰ্ম্ম না ছাড়িয়া আছে ধৈৰ্য্য ধরি ॥ তরু মৃগ বিহুগ এসব পুলকিত । কোন চিত্র নরলেক হয় যে মোহিত ॥ বেকতে ও'নিল তুমি পুরুষ পুরাণ । গোপকুলে অবতার দেখি বিদ্যমান ॥ ব্ৰজজনার আরতি হীরবে নারায়ণ । গোপকুলে জনমিল এই লে কারণ ॥ আমি সব ব্রজনারী গোকুলবাসিনী । তবে কেন উদ্ধার না কর যদুমণি ॥ মদন-দহন তাপে দহে পয়োধর । প্রোণরক্ষা কর ইথে দিয়া নিজকর ॥ লহে বা না জীব গোপী মদন-অনলে । পাছে জানি নারী-বধ-পরমাদ ফলে । হেন যদি বল গোপী করে অহঙ্কার । তবু দাসী ছাড়ি গোপী কভু নহে আীর ॥ এ-বোল বুঝিয়া কৃষ্ণ কুচে দেহ হাথ । তবে প্রাণে জীয়ে গোপী শুন প্রাণনাথ ॥ গোপীগণের শুনিয় করুণ কাকুবাণী । হাসিয়া সদম্ব হেলা প্ৰভু যদুমণি ॥ মহাযোগযোগেশ্বর নিস যোগবলে । সৰ্ব্ব ব্ৰজরমণী রছিল এককালে । আপলেহি সহগে আনন্দ আত্মারাম । রমিয়া পূরায় কৃষ্ণ গোপীগণকাম ॥ রমণীসমাঝে কৃষ্ণ শোতে স্বশোভিত । মদালস-বিলোচন-উদারচরিত ॥ তারাগণ মাঝে যেন পূর্ণ শশধর । অভিমুখী ব্রজলারী-মাঝে যদুবর ॥ জগতপাবন যশ গোপীগণ গায় । মধুর মুরলা কাপু আনন্দে বাজায়.। বৈজয়ন্তী মালা দোলে আজাম্বলম্বিত । যুবতীসমাঝে কৃষ্ণ দেখিতে শোভিত । যমুনাপুলিনবন কুসুম-স্বগন্ধ । শীতল বালুকাযুত পবন মুমন্দ ॥ প্রবেশ করিলা সেই পুলিন কানলে । অপরূপ রাসরল রচিল পুলিলে । বিশাল মৃণাল ভুজদও আলিঙ্গন । করে ধরি দৃঢ় নীবিন্ধ-বিমোন ॥ ৰহুবিধ পরিহাস বিবিধ ভাষণ । বদনে চম্বন দান কুচ-পরশন ॥