পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/৪১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুদ্ধভাবে হরি আরাধিল এই রামা । সফল রাধিক নাম ধরে পূর্ণকাম ॥ তার ভক্তিরসে ভগবান তুষ্ট হৈল । যারে লঞ শ্ৰীগোবিন্দ গুপ্তস্থানে নিল । আত্মারাম অখণ্ডিত নিজস্বখ ধরে । সে হরি মোহিল সখি কোন পরকারে । এত ব্ৰজরমণী তেজিয়া দূরবনে । এক সখী লঞা হরি আইল কোন গুণে ॥ ছের দেখ বসিয়া আছিল এইখানে । এথা রহি রতিমুখ কৈল দুইজনে ॥ ধন্স এই কৃষ্ণ-পদ-বেণু ত্রিভুবনে । বিরিঞ্চি-শঙ্কর শিরে ধরন্থে যতনে ॥ লক্ষ্মীদেৰী সদা করে ওই রেণু-আশ । হেন পদ-রেণু ঘোর বলেতে প্রকাশ ৷ কত দূরে নিল হরি কোন দুচারিণী । ভার পদ দেখি উঠে হৃদয়ে আগুনি ॥ এবে পদচিহ্ন তার কেন নাহি দেখি । বহিয়া কামুক ইরি নিল হেন লখি ॥ শিলা তৃণ-অঙ্কুর চরণে তৈল ঘাত। আপনে বঙ্কিয়া সখী নিল জগন্নাথ ॥ ছের দেখ কৃষ্ণপদ অধিক মগন । রমণী বহিতে ভর লখিলু লক্ষণ । হের দেখ রমণী নামায়্যা এইখানে । কুম্বুম তুলিয়া হরি সর্থীর কারণে । বিচিত্র বিবিধ ফুলে গাথি দিব্যমালে। এখায় গোপাল দিল কামিনীর গলে । এইখানে বসিয়া আছিল দুইজন । এথা থাকি কৈল গোপীর কবরীবন্ধন , এই মনে বনে-বনে চাহে ব্ৰঞ্জরামা । না দেখিয়া প্রাণনাথ হৈল হতকামা। পূর্ণকাম নারায়ণ নিজ মুখময় । তবু ব্রজ রমণী রমিল অতিশয় ॥ কামিনী লাগিয়া কামী এত দুঃখ পায় । নারীর কঠিন চিত্ত জগতে বুঝায়। মুখ হেতু রতি যদি করে নারায়ণে । তবে বা পরমানন্দ বলিব কেমনে ॥ লীলা-নরৰর হরি রসিক সুজান। রতিকেলি-ছলে হরি বুঝায় গেয়ান। মুনি বলে শুন রাজা আর অদ্ভুতে । বনে বনে ব্রজনারী বেড়ায় চাহিতে ॥ বে রমণী লঞা হরি গেল দূরবণে । লে গোপীর মনে উপজিল অভিমানে ॥ ce ঐীকৃষ্ণ-প্রেমভরদিণী ፀ »ፃ ত্রিভুবনে নাহি থকা মোর সমতুল। আমার লাগিয়া কান্ধ কৈলা এতদূর ॥ কোটি কোট রমণী তেজিল ভজমান । সকল মুনারী-মাঝে আমি সে প্রধান । মনে গরবিতা গোপী বলে কোন বাণী । চলিতে না লা পারি আমি শুন যদুমণি ॥ মলে দেখ যথা ইৎসা বহি লেহ মোরে । নহে বা চলিতে নারি জানাইলু তোমারে। এই বাক্যে অহঙ্কার বুঝিয়া তাহার । হরি ভাবে দৰ্প চূর্ণ করিব ইহার। হাসিয়া গোপাল বলে শুনহ সুন্দরি । চড় গিয়া তোমা বহি নিব স্বন্ধে করি ॥ এ বোল বলিয়া কৃষ্ণ হৈলা অন্তৰ্দ্ধান । ভূমিতে পড়িলা গোপী তেজিয়া গেয়ান । গোপীয় দগধে তন্ত্র বিরহসস্তাপে । ধরণী লোটয়্যা সখী করয়ে বিলাপে ॥ হে নাথ হা প্রাণপতি পুরুষরতন । মহাভুঞ্জ হে বান্ধব গোপীকুল-ধন । দরশন দিয়া প্ৰভু দেহ প্ৰাণদান । নহে বা উদ্দেশে আমি তেজিৰ পরাণ ॥ এইরূপে বলে সখী কাকুতি-বচনে । হেনকালে তথা আসি মিলে গোপীগণে । তারে দেখি দুনা দুঃখ শোক পেম্যা মনে । বিরছিণী সখীরে পুছিলা গোপীগণে । এতদূরে আনি তোমা তেজে কি কারণে । কহ দেখি সখি বাত পুছে গোপীগণে । আদি অস্তে সকল কহিল ব্রজনারী । যতেক পীরীতি-রিতি কলা ৰনমালী ॥ দূরে বনে আনি যত করিল সন্মান । তেজি গেল পাছে যত দিয়া অপমান । সকল কহিল গোপী যুবতীসমাঝে। বিস্ময় ভাবিয়া গোপী পড়িল প্রমাদে । সকল গোপীর তবে মনে হৈল ভয় । নিতাস্ত নৈরাশ প্রায় হইল হৃদয় । পরে সব সখীগণ হয়্যা একমতি । ব্যাকুলা হইয়া খুজে প্রমে কত রাতি ॥ যাবত উদিত চন্দ্ৰ আছিল গগনে । তাৰত চাহিল তারা প্রতি বনে ৰনে ॥ ভয়ঙ্কর বন হল ঘোর অন্ধকারে । গহন কাননে কেছ চলিতে না পারে। পালটি আইলা পুন যমুনাপুলিলে । লভে মেলি কৃষ্ণগুণ গায় অঙ্কণে ।