পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/৪৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هو )8 হৃদয়ে চরণ ধরি বলে কোন বাণী । ( ১ ) পাপ কংস মৈল এই মহাভাগ্য মানি ॥ যদুকুল উদ্ধারিলে তুমি নারায়ণ । দুরন্ত দুঃখের তুমি কৈলে বিমোচন ॥ দুই ভাই তোমরা সাক্ষাৎ ভগবান। জগতকারণ দুই পুরুষ প্রধান : তোমা বিনে কিছু আব নাহি ত্রিভুবনে । কাৰ্য্য কারণ নহে তোমা দুই বিনে ॥ আপনে আপন! তুমি স্বজ নানা করি। সৰ্ব্বত্র ব্যাপিয়া আছ নানা শক্তি ধরি ॥ যত দেখি যত শুনি জীব চরাচর । না জানিএ নানারূপ কহিএ সকল। এক এক পঞ্চভুত যেন দেখি নানা । ৰিবিধ শরীরে করি বিবিধ কল্পনা । বিচরিলে পঞ্চভুত বিনে নহে আন। বিচারিলে এইরূপ তুমি ভগবান । তুমি সে কেবল আৰু স্বতন্ত্র বিহার । জীবরূপে কর তুমি জগত সঞ্চার ॥ এক হঞা নানারূপে করহ প্রকাশ । তোমা বিনে আর যত মনের বিলাস ॥ রজে এণে স্বজ তুমি সত্ত্ব গুণে পাল । তমোগুণ ধরি তুমি লগত সংহার ॥ তবু গুণে বন্ধ নহ তুমি জ্ঞানময় । কৰ্ম্ম কল্প কৰ্ম্মফলে বন্ধন না হয । জীবের বন্ধন মোক্ষ সেই সত্য নহে । অজ নিরঞ্জন জীব সৰ্ব্ব বেদে কহে ॥ তোমার বন্ধন মোক্ষ এ কোন বিচার। সকৃত শ্রবণে যার খণ্ডয়ে সংসার। তবে মুক্তি ধর তার নাহিব কারণ। বেদপথ-ধৰ্ম্ম হয় মূখণে লঙ্ঘন ॥ তখনে প্রকট তুমি করত প্রকাশ । ধৰ্ম্মপথ স্থাপিয়া পাষণ্ড কর নাশ ॥ এখনে হরিতে চাহ পৃথিবীর ভার। বসুদেবখরে আসি কৈলে অবতার ॥ রাe বেশ ধরিয়া অসুরগণ আছে। সসৈন্তে তা-সভা তুমি বিনাশিবে পাছে ॥ জগতে নিৰ্ম্মল যশ করিবে বিস্তার । সেই লে কারণে তুমি কৈলে অবতার ॥ আজি ধন্য হৈল মেরি এ ঘর বসতি । তুমি প্রবেশিলে যায় ত্ৰিজগতপতি। (১) পাঠাভয়,-“কাকুবাণী ।” শ্ৰীমদ্ভাগবত তুমি সৰ্ব্বপিতৃদেব ব্রাহ্মণমূরতি । তুমি সে জগত গুরু সৰ্ব্বলোক-গতি ॥ ত্রি০গত পবিত্র যাহার পদজলে ৷ হেন প্রভু প্রবেশ করিলা মোর ঘৱে । হেন কি পণ্ডিত আছে তোমা পরিহরি। অন্ত দেব শরণ লইব দৃঢ় করি। ভকতের প্রিয় তুমি জগত-মুহৃদ। সত্যবাদী প্ৰভু কৃত্য-বুঝে সুপণ্ডিত ৷ ভত্তি লেহ মাত্র তুমি দেহ সৰ্ব্বকাম। তকতের তবে তুমি দেহ আত্ম-দান ॥ তথাপি তোমার কিছু নাহি অপচয় । তোমাকে ছাড়িয়া কি পণ্ডিতে আন লয়। এই ভাগ্য প্ৰভু মোর দেখিলু তোমারে। তত্ত্বগতি যার নাহি জানে যোগেশ্বরে। হেন প্রভু সনে মোর কৈল দরশন। কৃপা করি ছিও মোঃ মায়ার বন্ধন । এত স্তুতি কৈলা যদি অত্রর সুধীর । হাসিয়া বোলয়ে প্রভু বচন গম্ভীর। :মি গুরু পিতৃব্য আমার বন্ধুজন । আমি সব পুত্র হই করিবে পালন । পোষণ রক্ষণ তুমি করিবে সৰ্ব্বথা। তুমি পুঞ্জ্য বন্য ক ভু এ নহে অন্যথা । তুমি সব বিশেবে জগতে স্বপূজিত । সাধুজনে তোমা-সব সেবয়ে নিশ্চিত । পূণ্যতীর্থ বৈষ্ণব দেবতা আরাধন। অবগু এ সব সেবা করে সাধুজন । জলময় তীর্থ যত আছে ক্ষিতিতলে ; ধাতু-শিলাময় যত দেবমূৰ্ত্তি ধরে। এ সব পবিত্র করে কিন্তু চিরকালে । দর্শন মাত্রেত সাধুজনে ত্রাণ করে। পরম বৈষ্ণব তুমি লতার পূজিত। বিশেষে আমার মি পরম সুহৃদ ॥ একখানি কাৰ্য্য তুমি সাধিবারে চাই । পাণ্ডুপুত্রে দেখিতে হস্তিনাপুরে যাছ । পঞ্চটী পাণ্ডব যুধিষ্ঠির আদি করি । পরম দুঃখিত তারা শিশুকাল ধরি। পিতার বিয়োগ তাদের হৈল শিশুকালে । ধৃতরাষ্ট্র তা সভারে অনিল নিজপুরে । তথাই থাকয়ে তারা লোকমুখে শুনি। বড় দুঃখ পায় তারা হেন অনুমানি ॥ সন্ধরাজা ধৃতরাষ্ট্র কুপুত্র অধীন। পালিতে না পারে রাজা বৃদ্ধ মতিহীন।