পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*বস্তুপিছ কোন জানাদিতে । বাঞ্ছা পূর্ণ তাদের নিশ্চিতে ॥ নাহি হইবেক কদাচিত । আপনার গমন-ব্যতীত।" জানিয়াও আপনি এ ভাষা । মৰিবরে করিলা জিজ্ঞাসা ॥ "মস্ক্রিযুক্তিবচন লইয়া। ব্ৰজে যাব সত্বর হইয়া ॥ নারিবেক কেহ লিবারিতে।" এই ভাবে পুছিলা নিশ্চিতে ॥ সেই কৃষ্ণবাক্যের শ্রবণ । করিয়া উদ্ধব ততঃক্ষণ ॥ হৃদয়েতে দুঃখিত নিতান্ত । প্রেমভরে বিবশ একান্ত ॥ তাৎপৰ্য্য না করি অবধান । যথাশ্রত অর্থ করি জ্ঞান ॥ মুদীর্ঘ নিশ্বাস ত্যজি ক্ষণ । সাকুতাপে কছেন তখন— ৷ রাক্তরাজেশ্বরতা বৈভব। আর দিব্য বস্তু যত সব ॥ অন্ত কিছু না করে কামনা। নন্দাদিক ব্ৰজবাসিজন ॥ ইহলোকে পরলোকে আর । কামনাবিষয় নাছি তার ॥ তোমারে কেবল সদা চাহে । ব্ৰজবাসী স্বন্ধুঃখিত তাছে। আমি বাহা করিয়ে জ্ঞাপন । অৰধান কর ইথে মন । পশ্চাৎ ৰিচারি যে কৰ্ত্তব্য । করিবেন যথোচিত তব্য । ॥ আমি ভাহা কি কব এখন । স্বয়ং বুঝি করছ করণ ॥ পূৰ্ব্বে তুমি নদের সহিত । ভূষণাদি করিলে প্রেরিত। যশোদাভা ত্রীরাধান্ত আর । দেখি বস্তু সে-সব-প্রকায় ॥ হৈয়া মগ্ন শোকের সাগরে । কছিলেন বাক্য পরস্পরে— } জহোবত মছৎকষ্ট এই। ভূষণাদি পাঠাইলা ধেই । এই-ৰূপ-যোগ্য মোরা অতি ৷ জানিলেন্স এণ্ডুক সংপ্ৰতি ॥ ঐবৃহভাগবতামৃত ጻ¢ পূৰ্ব্বে নাহি ছিল এইমত । ইবে মহ৮ছুর্ভাগ্য-নিয়ত ৷ ধিক্‌-ধিক্ সেহেতু জীবনে । কণ্ঠমধ্যে যে আছে এখনে। ধিক্‌-ধিক্ গোপগণে,—বারা। কৃষ্ণ ত্যজি আনে অলঙ্কারা ॥ তাথে তব গমন-আশয় । ত্যাগ করি সবে মুনিশ্চয় ॥ তব মাতী-যশোদা-সহিত । মৃতপ্রায় সকলে নিশ্চিত ॥ নিৰ্দ্ধাৰ্য্য করিয়া স্ব-মরণ । আরম্ভিলা সবে অনশন ॥ ততঃপরে নন্দ-মহাশয় । কৃতাপরাধ-তুল্য দিনত্রয় ॥ শক্তি নাহি কিঞ্চিত কহিতে । শোকদুঃখে অত্যস্ত পীড়িতে ॥ ব্রজের রক্ষিতে তব প্রাণ । করি যুক্তি কৌশল-বিধান ॥ ব্রজে তব গমন-বচন । তহাহি ( ভা: ১০ । ৪৫ । ২৩ )— জ্ঞাতীন বো দ্রষ্টমেয্যামো বিধায় সুহৃদাং মুখম্।*। দিয়া বহু শপথ তথন । সাম্বাবারে ব্রজবালিচয় । কহিলেন নন্দ-মহাশয়— ॥ প্রেমের বোধক দ্রব্য প্রথমেতে । পাঠাইয়া দিল পুত্র এখানেতে ॥ নহে তোমাদের অভিলাষ-জ্ঞানে । প্রেরণ করিলা এসব এখানে। সত্যবাক্য কৃষ্ণ পশ্চাৎ ত্বরায় । আসিবেন অতি-অবশ্য এথায় । নিজ প্রস্তুতার্থ যে আছে সেখানে । শীঘ্ৰ সেই সব করি সমাধানে ॥ সরল-মানস-সকলে এ কথা । শুনিয়া বিশ্বাস করিলা সৰ্ব্বথা । "করিলে ধারণ এই অলঙ্কার। কৃষ্ণ হৃষ্ট হবে —করিয়া বিচার ॥ অলঙ্কার দেহে করিলা ধারণ । কিন্তু না হইল৷ তাছে মুখমন ॥ শ্ৰীকৃষ্ণ গোকুলে করি আগমন। প্রসাদ-ভূষণ-ধারণ-কারণ।