পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/৪৮৩

প্রস্তু মনে কৈল ৰদি মণি হরিবারে। ধাত্রীমাতা দেখিয়া ডাকিল উচ্চস্বরে। এ বোল শুনিএ ক্রোধ কৈল জাম্বৰন । সত্বরে চলিয়া গেলা কৃষ্ণ সন্নিধান ॥ দেখিয়া মাছুষ বেশ কৈলা অবজ্ঞান ৷ বুঝিবার তরে তৰে হৈলা আওয়ান। দুই বীরে বাজিল সমর ঘোরতর। অন্ত্রে অন্ত্রে কাটাকাটি মহাভয়ঙ্কর। গাছ পাথরেতে যুদ্ধ খঙ্গে কাটাকাটি । শূল ত্ৰিশূলের রণ বাণ ছুটাছুটি। বুকে বুকে ঠেলাঠেলি মুষ্টির প্রহর । ৰাহে ৰাছে জড়াজড়ি আহৰ ৰিশীল। অষ্টাবিংশ দিন ধরি আছিল সংগ্রাম । রজনী দিবস নাহি তিলেক বিশ্রাম । ( ) লীলায় যুঝয়ে হরি নাহি পরিশ্রম । দিনে-দিনে জাম্বৰান কৈলা অবসয় ॥ ৰজসম মারে কৃষ্ণু মুষ্টির প্রহায় । সন্ধিবন্ধ ছিণ্ডি ৰায় দেখে অন্ধকার ॥ শ্ৰমজলে পুরিল সকল কলেবর। যুঝিতে না পারে বীর হৈল হতৰঙ্গ । তবে বীর জানিল সাক্ষাত ভগবান । মোর সনে যুঝিতে অন্তের কোন প্রাণ । জানিল সাক্ষাৎ তুমি বিষ্ণু-মুরপতি । পুরাণ পুরুষ তুমি ত্ৰিজগত-গতি । প্রাণ বল তেজ বীৰ্য্য সকল তোমার। আপনে স্বজিয়া কর আপনে সংহার। ব্ৰহ্মা আদি সুরে কর আপনে স্বজন । আপনে স্বজিয়া কর আপনে পালন ৷ যাহার কিঞ্চিত ক্ৰোধ-কটাক্ষ পাতনে। ভয়ে সিন্ধু পথ ছাড়ি দিল সেইক্ষণে ॥ ইচ্ছা-মাত্র হৈল সেতু-বন্ধ নিরমাণ । রাবণের মুণ্ড কোটি দিল বলিদান ॥ সেই সে জানকী-পতি মোর প্রাণনাৰ । অশেষ কৰুণাসিন্ধু দেখিল সাক্ষাত। জানিল প্রভূর তত্ত্ব যদি জাম্ববান। হাসিয়া উত্তর তবে দিলা ভগবান । করিয়া কমল-করে অঙ্গ মারজন । কৃপায় কি বলে মেঘ-গম্ভীর বচন ৷ মণি-হেতু আমার এথাতে আগমন । মিথ্যা অপযশ চাছি করিতে থওন । (s) श्री्रस्ङ,ि"ক্ষুধা ভূফী নাহি দোছে যুৰে অধিশাম । Wh^ ঐকৃষ্ণ-প্ৰেমতরজিণী Sto তবে জাম্ববান যুক্তি কৈল মনে মনে। জাম্ববর্তী কস্তা আমি কৈল সমর্পণে ৷ শুভক্ষণ করি বীর কৈলা কঙ্কা-দান। কস্তার যৌতুকে দিল রতনপধান ॥ কৃষ্ণের বিলম্ব দেখি মুড়ঙ্গ দুম্বারে। আছিল সকল লোক বনের ভিতরে | স্বাদশ দিবস ধরি বিলম্ব চাহিয়া । চলিল সকল লোক দুঃখ শোক পায়। বসুদেৰ দৈবকী রুক্মিণী বিদ্যমানে। কহিল সকল লোক দ্বারকা ভুবনে ॥ গৰ পুরঞ্জন হৈল শোকে অচেতন । ৰিলাপ করিয়া কানো প্রক্তি-জনে-জন। সত্রাজিতে গালি তবে দেয় সৰ্ব্বলোকে । সতত আকুল ছৈয়া করে দুঃখ শোকে ॥ সৰ্ব্বলোক মেলি করে দেবী-উপাসনা । ংকল্প করিয়া করে দুর্গ আরাধনা। হেনকালে দেব দেব ত্রিভুবন-নাথ। সাধিয়া সকল কাজ কস্ত। কল্পি সাথ ॥ দ্বারকানগরে আলি দিলা দরশন। দেখিয়া আনন্দ হৈল সব পুরজন ॥ ঘরে ঘরে পুরে-পুরে আনন্দ ৰাধাই। সৰ্ব্বলোকে উৎসব করয়ে সৰ্ব্ব ঠাঞি। তবে সভা করিয়া বলিলা জগন্নাথ । সত্রাজিতে ডাক দিয়া আনিলা সাক্ষাতে ॥ তার হাতে মণি জিঞা প্রভু নারায়ণ । আদি ছতে কছিল সকল বিবরণ। মণি পাঞা সত্রাজিত ছৈল হেঁট মাথা । লাজে কিছু না বলিলা মনে পাঞ ৰাথা ॥ মণি লয়্যা সম্রাজিত গেলা নিজ ঘরে। শোকেতে ব্যাকুল ছয়্যা চিন্তে নিরঙ্করে। ঈশ্বরের সনে মোর জম্মিল ৰিবাদ । কিৰূপে খণ্ডিবে মোর এলা অপরাধ ॥ কোন কৰ্ম্মে প্রসন্ত্রত হইবে শ্রীহরি । কোন কৰ্ম্ম কৈলে লোকে নাহি দেয় গালি। ধনলোতী মুঞি মূঢ় অতি জগেয়ান। কোন কৰ্ম্ম করিয়া তুধিৰ ভগবান। লভে মোর আছে এক এই সে উপায় । কস্তা দিলে যদি তুষ্ট হয়ে বছরায় । এতেক চিস্তিয়া মনে লক্ষ্যা সত্ৰাজিত । গোবিন্দ-চরণে গঞাঁ কৈলা সমপিত। মণি সছে কত দিয়া কৈলা পরিহার { মোয় অপরাধ সাণ ক্ষেম একনায়।