পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/৫০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

BSbr সাত্যকি ছাড়িয়া বীর ধাইল সত্বরে । রথে চডি রহে গিয়া কৃষ্ণের গোচরে ॥ পঞ্চশত বাণ ঘুড়ে পঞ্চশত করে। একেক ধতুতে ঘুড়ে দুই দুই শরে । একবারে ছাড়ে রাজা দশশত বাণ । তাহারে কাটিয়া কৃষ্ণ কৈল খানখান ॥ থও খণ্ড কৈলা রথ রথের সারথি । কাটিল রথের ঘোড়া বায়ু বেগ গতি ॥ সঙ্কট দেখিয়া দেবী হয়্যা দিগম্বর । আউলায়্যা মাথার কেশ গমন-মন্থরা ॥ দাওয়্যা কৃষ্ণের আগে রহিলা কোটরী । লাজে হেট মাথা হস্ন্যা রহিল। শ্ৰীহরি ॥ রথ কাটা গেল কাটা গেল ধনুৰ্ব্বাণ । পুরে প্রবেশিব বাণ রাখিয়া পরাণ ॥ পালাইল ভূতগণ ভাঙ্গিল সংগ্রাম । হেনকালে আইল জর মহাবলবান ॥ মহাভয়ঙ্কর জর ধরে তিন শির। থর ধর করিয়া ডাকিল মহাবীর ॥ তা-দেখিয়া স্বজে হরি তবে আর জয় । দুই জরে যুদ্ধ হৈব মহাভয়ঙ্কর ॥ ঞ্জিনিল বৈষ্ণব-জরে শঙ্করের জর । কান্দিয়া রহিল গিয়া কৃষ্ণের গোচর ॥ ভয় পেয়্যা হর জর কম্পিত হৃদয় । করজোড় করিয়া কৃষ্ণের আগে রয় ॥ শরণ পশিয়া জর কুষ্ণের চরণে । স্তুতি করে হরজর ভয় পেয়্যা মনে ॥ নমো নমো অনস্ত শকতি নারায়ণ । জ্ঞানমাত্র কেবল নি গুণ সনাতন ॥ সকলের আত্মা তুমি উতপতি স্থান। জগত-কারণ তুমি প্রলয়-নিদান। তুমি কাল তুমি জীব তুমি দৈব কৰ্ম্ম । তুমি প্রাণ তুমি আত্মা তুমি দেহ-ধৰ্ম্ম ॥ তোমার মায়ায় নাথ জীবের সংসার। তোমা না ভজিয়া জীব ভবে নহে পার। তোমার চরণে নাথ পশিলু শরণ । কৃপা করি কর ভব-বন্ধ বিমোচন ॥ নানা লীলা কর তুমি পুরুষ পুরাণ । দুষ্ট নিবারিয়া কর শিষ্ট পরিত্রাণ ॥ সম্প্রতি লীলায় তুমি কৈলে অবতার। অস্থর মারিয়া চর পৃথিবীর ভার ॥ মহাভয়ঙ্কর জর তোমার স্বজিত । তার তেজে মুঞি নাথ কেবল তাপিত ॥ শ্ৰীমদ্ভাগবত তাবত জীবের নহে তাপ নিবারণ যাবৎ না লয় নাথ চরণে শরণে ॥ এইরূপে নানা স্তুতি কৈল হর জরে । হাসিয়া বলেন বাণী প্ৰভু সুরেশ্বরে ॥ শুনহে ত্রিশির আমি হুৈলু পরসন্ন ॥ ভয় পরিহর তুমি স্থির কর মন ॥ না করিই আর তুমি জর করি ভয় । সুখে গিয়া রহ তুমি না কর সংশয় ॥ তোমায় আমায় ফুহে যে হৈল সংবাদ । যে জন স্মঙরে তার খণ্ডিব প্রমাদ ॥ না যাইহ জর তুমি তার সন্নিধান। বর পেয়্যা হর জর গেলা নিজস্থানে ॥ তবে বাণ পুনরপি আইলা রথে চঢ়ি । যুঝিল রষ্ণের সহ নানা অস্ত্র ধরি ॥ সহস্ৰেক হাথে আনে গাছ পাথর । ক্রোধ করি পেলি মারে কৃষ্ণের উপর ॥ অস্ত্র-বরিষণ বাণ কৈল ভয়ঙ্কর । এক চক্রে কাটিলা সকল সুরেশ্বর ॥ তবে তার কাটিল সকল ভুজদণ্ড । ভূমিতে পড়িল ভুজ হস্থ্যা খণ্ড খণ্ড ॥ কাটা গেলে ডাল যেন রহে তরুবর । তবে কৃষ্ণ আগে গিয়া দাণ্ডায় শঙ্কর ॥ ভকতবৎসল শিব কর যুড়ি শি;ে ৷ ভক্তিভাব করিয়া প্রভুরে স্তুতি করে ॥ সত্য ব্ৰহ্ম প্ৰভু তুমি নিগম-গোপিত। গৃঢ়ৰূপে নরবেশে জগতে বিদিত। কিরূপে তোমারে নাথ জানিব অম্বরে। ধ্যানযোগে যোগী যারে জানিতে না পারে। আকাশ তোমার নাভি মুখ হুতাশন । ত্রিদিব তোমার শির পুথিবী চরণ ॥ দশদিগ, শ্রীতিগণ মন শশধর । মুঞি শিব আত্মা যার আঁখি দিনকর। সমুদ্র জঠর যার বৃক্ষ রোমাবলি। মেঘগণ কেশ যার ব্রহ্মা বৃদ্ধি বলি ॥ হৃদয় যাহার ধৰ্ম্ম লিঙ্গ প্রজাপতি । লোকময় প্রভু তুমি সৰ্ব্বলোক-গতি ॥ অবতার করি কর সাধু পরিত্রাণ । ধৰ্ম্ম-রক্ষা হেতু নরলোকে উপাদান। তুমি নাথ কর আমা সভার পালন । তে-কারণে আমা সব ধরি ত্রিভুবন ॥ তুমি এক পুরুষ নিগুণ নিরাধার। অদ্বৈত পরমানন্দ বিচিত্র বিহার ॥