পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/৫০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুঃষষ্টিতম অধ্যায় । মুনি বলে শুল রাজা অদভুত বাণী। কহিব তোমারে তবে বিচিত্র কাহিন। ॥ এক দিন কৃষ্ণের কুমারগণ মেলি । সাম্ব প্রত্যুম্ন ভাকু গদ আদি করি ॥ উপবনে শিশুগণে করে নানা খেলা , খেল-রসে রহিল বিস্তর হৈল বেলা তৃষ্ণায় আকুল শিশু বনে বনে ধায় । জল চাহে শিশুগণ জল নাহি পায় ॥ সম্মুখে দেখিল এক কুপ ভয়ঙ্কর। জল নাহি তাথে মহা গভীর প্রসর ॥ এক মহাপ্রাণী তাথে প ত-আকার । দেখিয়া বিস্মিত হৈল যতেক ছাওয়াল ॥ চৰ্ম্ম-দড়ি দিয়া তীরে বান্ধিল যতনে। টান দিয়া তুলে তবে যত শিশুগণে ॥ আছুক তুলিতে না পারিল নড়িবারে । কৌতুকে ছাড়িয়া গেল যতেক ছাওয়ালে । কহিল কৃষ্ণের আগে সব বিবরণ। আপনে চলিয়া তথা গেলা নারায়ণ ॥ পরশিয়া মাত্র প্রভু দিয়া বামকর। লীলায় তুলিলা তারে কৃপের উপর । কৃষ্ণ-পরশনে তার সর্বপাপ হরে । কাকলাস মুর্তি ছাড়ি দিব্য মুর্তি ধরে ॥ তপত কাঞ্চন জিনি দীপ্ত কলেবর । রতন কুণ্ডল হার মুকুট সুন্দর ॥ জানেন্ত সকল তত্ত্ব জ্ঞান শিরোমণি। তথাপি পুছিলা তারে দেব চক্রপাণি ॥ লোক পঞ্চাইতে জিজ্ঞাসিলা নারায়ণ । কহ হে পুরুষ তুমি নিজ বিবরণ ॥ কোন পাপে আছিল তোমার অধোগতি । কোন পুণ্যে দিব্য রূপ ধরিলে সম্প্রতি ॥ আপনার জন্ম কৰ্ম্ম কহ মহাশয় । কি নাম তোমার তুমি কাহার তনয় ॥ ইচ্ছা যদি কর সব কহিবে কারণ। তবে মৃগরাজা কহে পূৰ্ব্ব বিবরণ ॥ ইক্ষ কুতনয় আমি রাজা নৃগ নামে। সক০ বিদিত নাথ তোমার চরণে ॥ সৰ্ব্বভুত সাক্ষী তুমি সৰ্ব্বজ্ঞ শেখর । সকল জীবের গতি তোমাতে গোচর তথাপি তোমারে কহি আজ্ঞা শিরে ধরি । মোর ভাগ্যে তুমি জিজ্ঞালিলে কৃপা করি ॥ যতেক পৃথীর রেণু আকাশের তারা। যতেক মেঘের হয় বরিমণ ধরা ॥ তত ধেমু দিল দান কাঞ্চনে ভূষিয়া । তরুণী-কপিলা হেমময় শুঙ্গ দিয়া ॥ রজতের চারি খুর ধৰ্ম্ম অসুমতা। পটপট-মাল্য-আভরণ-সংসুত । যুবক ব্রাহ্মণ যত বিপ্রের প্রধান । কুলশীল-গুণমুক্ত মহা মতিমান । সত্যব্রভ তপোযুক্ত বেদবিদাম্বর । কাঞ্চনে ভুষিয়া তার পুণ্য-কলেবর ॥ হেনরূপ দ্বিজগণ আনি বিদ্যমান। নিতি-নিতি লক্ষ-লক্ষ করি ধম্বু-দান ॥ রজত কাঞ্চন কন্ত তিল ভূমি জল । কনক-নিৰ্ম্মত রথ তুরঙ্গ বুশ্নর ॥ বসন ভূষণ শয্যা রতন-রচনা । কত কোটি কোটি তাহ কে জানে গণনা । কত মহাদান মহা বিপুল মন্দির । কত যজ্ঞ দীঘি সরোবর পুণ্য-নীর ॥ এইরূপে নানা দান করি নিরবধি । দৈবযেt.গ এক দিন বাম হৈল বিf ॥ এক ব্রাহ্মণের ধেনু পলাইয়া আসি । অজানিতে রহে গিয়ু গোষ্ঠে পরবেশি ॥ সেই ধেন্থ দিলু আমি অন্ত ব্রাহ্মণেরে । ধেনু লয়্যা ব্রাহ্মণ চলিল নিজ ঘরে ॥ চাহিতে বেড়ায় বিপ্র পথে আসি দেখে । মোর মোর বুলিয়া ব্রাহ্মণ ধেস্থ রাখে ॥ বিবাদ করিল তারা আইল দুই জন । ভৎসয়া আমার ঠাঞি কৈল নিবেদন ॥ তুমি হেতু দিলে বিপ্ৰ হরি লঞা যায়। ইহা শুনি ভয় হৈল আমার হিয়ার ॥ তবে দুই ব্ৰাহ্মণের ধরিন্থ চরণে । বিস্তর শাস্তিমু মুঞি বিনয় রচনে ॥ অনুগ্রহ দুর্হে কর না কর বিবাদ । না জানিঞা কৈলু মুঞি ক্ষেম অপরাধ। কিঙ্করের অপরাধ প্ৰভু নাহি লয় । হেন কৰ্ম্ম কর মোর নরক না হয় ॥