পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক্ষণে স্বপ্ন-মধ্যে দেখিলা কেমনে । বলদেব মানে, হেন জানি মনে ॥ কহেন—হে আৰ্য্য ! মহাশ্চৰ্য্য সব । ৰদি তুমি নাহি মান অসম্ভব । তবে বনমধ্যে করিয়া গমন । কহিব বিস্তারি সকল কথন । এপ্রকার কৃষ্ণ কহিয়া মাতাম । সাদরে প্রণাম করিলেন পায় ॥ বনভোগ্য যোগ্য দখোদন-সর । চাহি কৃষ্ণ প্রসারিত কৈলা কর । এত দেখি অত্যভিজ্ঞ শ্রীরোহিণী । নিজমনে কৈলা বিচারণ তিনি— এই শ্রীযশোদাপ্রতিমা হয়েন। কিছু দিতে কথা কহিতে নারেন। তবে ভোগ্যদ্রব্য, প্রতিবাক্য আর । ঞিহা হৈতে নাহি পাবেন বিস্তার ॥ তাহাতে "প্রতিমা' এই বুদ্ধি হবে । অধিক অনর্থ হইবেক তবে ॥ তাহা সম্বরণ করিতে তখন। শ্রীরোহিণী দেবী কহেন বচন—। ওরে বৎস! তব জননী এখন । তব নিদ্রাধিক্য করিয়া দর্শন । "অস্বাস্থ্য-শরীর অদ্য' জানি মনে । অতি দুঃস্থচিত্তা আছেন এখনে ॥ তুমি মাত্র পুত্ৰ একল যাহার। চিন্তা কেনে নাছি হইবে তাহার ? ॥ অতএব বহু কথোপকথনে । ওরে বাছা ! অস্ত নাহি প্রয়োজনে ॥ কৃষ্ণ কছে—তবে গৃহেতে রহিব। বনে গিয়া কিবা ভোজন করিব ? ॥ শ্রীরোহিণী কহে—অগ্রেতে গোধন । গোপগণ-সহ করিলা গমন ॥ তুমিহ কাননে করছ গমন। আমিছ উত্তম ভোগ্যোপকরণ ॥ আয়োজন করি পশ্চাৎ এখন । করিতেছি বনমধ্যেতে প্রেরণ ॥ মুক্সিন্ধা রোহিণী কহে এপ্রকার। শ্ৰীকৃষ্ণ বন্দিয়া চরণ র্তাহার ॥ মাতৃ-করতলে স্থিত নবনীত । চৌৰ্য্য-ৰূপে তাহা করিয়া হরিত ॥ নিজজে)ষ্ঠে ডাকে করিতে ভোজন। না পাইয়া নাহি খাইলা তখন ॥ জীবৃহভাগবতামৃত 4כ অস্বাস্থ্য দেখিয়া অম্বুজের অতি । আর শ্রীকৃষ্ণের গোপীর সংহতি ॥ স্বচ্ছন্দ-ভাষণে সঙ্কোচ না হবে। একারণ আগ্রে রাম গেলা তবে ॥ দয়ালু শ্রীকৃষ্ণ না পাইয়া তারে । না খাইলা সেই নবনীতসারে ॥ যশোদা-রোহিণী-সম্ভোব্য-কারণে । কাকুবাদ-সহ বিনয়-বচনে ॥ মধ্যাহ্নের ভোগ্য প্রার্থনা করিয়া । চলিলেন গোষ্ঠে নির্গত হইয়া ॥ আগ্ৰে দেখি চন্দ্রাবলী-আদি গণ । নৰ্ম্মোক্তিতে কৃষ্ণ করি সম্ভাষণ ॥ মধুর বেণুর গানে গাৰীগণে । অগ্রেগতো তার করেন রোধনে ॥ অগ্রে শ্রীরাধিকা—সহ সহচরী। দাড়ায়্যা আছেন দেখিয়া শ্রীহরি। ঈষৎ হাসিয়া কৌশল-সহিত । শ্রীনন্দননান কছেন কিঞ্চিত— ওহে প্ৰাণেশ্বরি । প্রাপ্ত রহঃস্থানে । অনুরক্ত ভক্ত আমারে এখানে ॥ কেনে অদ্য নাহি কর সংভাষণী । তবে কি হয়েছে মানিনী আপনি ॥ অপরাধ কিছু নাহি করিলাম। তাহাতে নিশ্চয় ইৰে জানিলাম— ॥ আপনি সৰ্ব্বজ্ঞা—ওহে প্ৰাণেশ্বরি । । শ্রীবার্ষভানবি শ্রীব্রজসুন্দরি । । অদ্যকার মম স্বপ্নের বৃত্তাস্ত । সকলি আপনি জানিলা নিতান্ত ॥ ওহে প্রাণপ্রিয়ে ! তোমারে ছাড়িয়। মথুরায় আর দ্বারকায় গিয়া ॥ মরণে উদ্যতা রাজপুত্ৰীগণে । অনেক বিবাহ করিছু তখনে ॥ পুত্র-পৌত্র-আদি অনেক বিস্তার। জন্মিলেক দূরবত্তী লে আমার ॥ সেসব বৃত্তান্ত মানিনীস্থ আর । থাকুক এক্ষণে হে প্রিয়ে ! তোমার ॥ অগ্রে গেল গাৰী-সহচর-গণ । যাব সেকারণ শীঘ্রতর বন ॥ সন্তোষ সে অদ্য প্রদোষ-সময়ে । প্রমোদ তোমার দিব হে নিশ্চয়ে । এইমত কথা কহি স্ত্রীরাধারে । পুষ্পগণ ফেলি মারিয়া তাহারে।