পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/৫৩১

চৌদিগে ৰেষ্টিত প্রভু যদুশ্রেষ্ঠগণে । দ্বারকা প্রবেশ কৈলা সৰল বাহনে ॥ মহাযোগেশ্বর হরি পূর্ণ ভগবান । জগত ঈশ্বর প্রভু সৰ্ব্বগুণধাম । বিচারে না দেখি যার জয পরাজয় । পশুবুদ্ধিজনে তাথে করয়ে নির্ণয় ॥ কুরুবংশে পাণ্ডুবংশে বাজিবে সংগ্রাম । দুইগণে বিস্তর পাপ্তিলা বলরাম ; আপনে মধ্যস্থ হয়্যা কৈল নিবারণ । নিবারিরে না পারিলা কৃষ্ণের ঘটন। তীর্থ পৰ্য্যাটনে গেলা প্রভূ বলরাম। প্রথমে প্রভাগে গিয়া কৈলা তীর্থস্নান। দেব ঋষি পিতৃগণ করিয়া তপণ । তবে স্বরস্বতীর্তীরে কৈলা আগমন । কবে প্রতিস্রোতা নদীজলে করি স্নান । পূথ,দক নাম তীর্থে গেলা বলরাম ॥ বিন্দুসর ত্রি ত-কপ তরে মুদৰ্শন । বিশালা নদীর জলে করিয়া মজ্জন ॥ ব্ৰহ্মতীর্থ চক্ৰতীর্থ প্রাচী সরস্বতী । তৰে যমুনার তীরে গেলা যদুপতি । গঙ্গাস্নান করি গেল। নৈমিষ অরণ্যে। ছাব্বিশ সহস্ৰ তথ। বৈসে মুনিগণে ॥ যজ্ঞ লক্ষ্য করি তথা আছে মুণিগণ । তা সভার সহে রাম কৈলা সম্ভাষণ ॥ উঠিয়া প্রণাম কৈলা যত মুনিগণ । পাদ্য-অৰ্ঘ্য দিয়া পুজে রামের চরণ ॥ পুজিয়া এলায় রামে কনক আসনে । সগণে পজিল রামে আতিথ্য বিধানে ॥ বেদব্যাস শিষ্য তথা রোমহরষণ । লভার ভিতরে আছে করিয়া আসন ॥ পুরাণ বাখানে স্থত দুনি বিদ্যমানে । আগণ তেজিয়া উঠিলা সভা হলে । তবে ক্রোধ কৈলা রাম দেখিয়া দুর্ণয় । শুদ্র চর্য। ব্রাঞ্চণে পড়ায় দুরাশয় ॥ ধৰ্ম্মপাল আমি শাস্তি করিব উচিত । ব্যাস শিষ্যা হয়্যা ষ্টেন করয়ে দুণতি ॥ ধৰ্ম্মশাস্ত্র পুরাণ যতেক ইতিহাস । সকল পটিয়া এত বড় মতিনাশ । বিনয়বিহীন দুষ্টমতি দম্ভময় । দুষ্টগণ গুণ কভু মুখ-হেতু নয় । এই সে কারণে আমি কৈলু অবতার। পাষণ্ডী দুৰ্ব্বনজনে করিব সংহার। ՆՊ শ্ৰীকৃষ্ণ-প্রেমতরঙ্গিণী এতেক বচন বলি প্রভু বলরাম । ক্ৰোধ তেজি দিলা তবে চিত্তে সমীধান ॥ অসৎ দুর্গত বধে কোন প্রয়োজন। তভু তার আছে এই অদৃষ্টে লিখন । কুশ অগ্ৰ দিয়; মাত্র অঙ্গ পরশিল । সেইক্ষণে ব্যাস-শিষ্য প্রাণ ছাড়ি গেল। হাহাকার শবদ উঠিল মুনিগণে । বিষাদ ভাবিয়| মনে চিস্তে মনে মনে ॥ অধৰ্ম্ম করিলে রাম না করিলে ভাল। আপনে ঈশ্বর হয়্যা কৈ৮। দুরাচার। ব্ৰহ্মাসন দিয়া আছি সভার ভিতরে । পরমায়ু বদ্ধি বল দিলু কলেবরে। সভাতে বসিয়া স্থত পড়িব পুরাণ । যাবত মুনির যজ্ঞ হয় সমাধান ॥ ব্ৰহ্মবধ তুমি নাথ কৈলে অগনিত। ঈশ্বরের কৰ্ম্ম কভু নহে বিপরীত ॥ যদ্যপি ঈশ্বব নহে বেদের বাধিত । ত থাপি করিৰ এহ্মবধ-প্রায়শ্চিত্ত ॥ বেদপক্ষ রক্ষা-হেতু ঈশ্বরের কৰ্ম্ম । ঈশ্বরে সে বুঝায় সকল লোক ধৰ্ম্ম । তবে প্রভূ বলরাম বলে কোন বাণী । প ফ ব্রহ্মবধ-প্রায়শ্চিত্ত-তত্ত্ব মুনি ( ১ ) ॥ প্রথমে করিব কিবা নিয়ম আচার । যেরূপে কহয়ে ব্রহ্মবধ প্রতিকার ॥ দীর্ঘ পরমায়ু বল দিব্য তত্ত্ব-জ্ঞান । যোগবলে সকল সাধিব বিদ্যমান ॥ রামের বচন শুনি বলে মুনিগণ । শুন রাম মহাভুজ মোদের বচন । অস্ত্রের সাফল্য তুমি করিকে সৰ্ব্বথা । স্বতের মরণ কভু নহিব অন্তথা । মুনিগণ বচন করিতে চাহ তথ্য । হেন কৰ্ম্ম কর যাথে সব হয় সত্য । তবে বলরাম বলে শুন মুনিগণ । পুত্ররূপে হয় গিয়া পিতার জনম । “আত্মা বৈ জায়তে পুত্রঃ" ইতি বেদবাণী । তে কারণে ধৰ্ম্মসার কfই তত্ত্ব জানি ॥ ঞিহার তন্য আছে উগ্ৰশ্ৰবা নাম । মুনির সভাতে বসি পঢ়ক পুরাণ ॥ ( ১ ) পালস্তর,— "ব্রহ্মবধ প্রায়শ্চিত্ত কহ তত্ত্ব জানি" ॥ Q&*