পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/৫৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঔরঙ্গ দেখিলা তবে মহাপুণ্য স্থান । আপনে যাহাতে হরি নিত্য সন্নিধান ॥ হরিক্ষেত্র তরি গেলা ঋষভ-পৰ্বতে । দক্ষিণ মথুরা তবে গেগা পুণ্যপথে ॥ সেতুবন্ধে গিয়া স্নান কৈল সিন্ধুজলে । অযুত গো-দান কৈল ব্রাহ্মণের তরে ॥ কৃতমালা তাম্রপণী মলয় তরিল। কুলাচলে গিয়া তবে অগস্ত্য দেখিল। মুনির চরণে রাম করি দণ্ডপাত । চলিলা দক্ষিণমুখে লয়্যা আশীৰ্ব্বাদ । দক্ষিণ সাগরে গিয়া হৈলা উপসল্প । তথা গিয়া কস্তাদেবী কৈল দরশন। অৰ্জুন দেখিয়া তবে গেলা পঞ্চাপার । অযুত গো-দান তথা কৈলা হলধর ॥ বিষ্ণু সন্নিহিত তথা মহা পুণ্যস্থান । তথা গিয়া বলরাম কৈলা মহাদান ॥ কেরল ত্ৰিগৰ্ত্তদেশ করিয়া লঙ্ঘন। গোকর্ণে শঙ্কর গিয়া কৈল দরশন ॥ আৰ্য্যাদেৰী দ্বৈপায়নী দরশন করি । তবে রাম গেলা সুপারক তীর্থ তরি । তাপী নদী পয়োষী নির্কিন্ধ্যা করি স্বান। দণ্ডক অরণ্যে তবে গেলা বলরাম ॥ তবে রেবতীরে গেলা মাহিষ্মতী পুরী। মজুতীর্থ পুণ্যজলে স্নান দান করি । পভাসে আসিয়া রাম তবে উত্তরিলা । ভারত যুদ্ধের কথা তথায় শুনিলা ॥ বন্ধুগণ-নিধন শুনিএpা দ্বিজমুখে । ক্ষণেক চিস্তিয়া রাম রহে দুঃখশোকে ॥ জ্ঞানিলা পৃথীর ভার হরিলা শ্ৰীহরি। বঝিয়া রহিলা রাম শোক পরিহরি ॥ গদাযুদ্ধ করি যুঝে ভীম দুৰ্য্যোধন। লোকমুখে শুনিলা এ সব বিবরণ ॥ কুরুক্ষেত্রে গেলা রাম যুদ্ধ নিবারিতে । যুধিষ্ঠির দেখিয়া সন্তোষ পাইলা চিতে ॥ সহদেব নকুল বরিয়া সম্ভাষণ । ভক্তি ভাবে পূজে দোহে রামের চরণ ॥ শ্ৰীকৃষ্ণ-প্রেমাতরঙ্গিণী ® Öእ› কৃষ্ণ অর্জুনের সহে করিয়া সম্ভাষা । সৰ্ব্ব বীরগণে কৈল কুশল জিজ্ঞাসা ॥ কোন কাৰ্য্যে এথাতে রামের আগমন । নিশবদে রছিল সকল বীরগণ ॥ ভীম দুৰ্য্যোধনে যুদ্ধ গদার প্রহারে । গুইবীরে গদাযুদ্ধ করে নিরস্তরে । দুই বীরে বুঝে কারো নাছি জয় ভঙ্গ । ক্ৰোধে মুকছিত দোছে বজ্রসম অঙ্গ । তা দেখিয়া বলে রামে আরে দুৰ্য্যোধন । শুন শুন আরে ভীম আমার বচন ॥ দুৰ্য্যোধন শিবা মোর প্রাণ সমতুল । প্রাণেতে অধিক ভীম এই লছে দূর। সমৰল দুহে যুদ্ধ কর কি কারণ। ৰ্যর্থ যুদ্ধ করি কেন পাও পরিশ্রম। দহে যুদ্ধ ছাড়ি রহ আমার বচনে । তভূ যুদ্ধ না ছাড়িল তারা দুই জনে ॥ অদৃষ্ট মানিএ রাম রঙ্গি নিশবদে । দ্বারকা চলিল রাম গেলা এই মতে । রামে দেখি আনন্দে উঠিল বন্ধুগণে । পুনঃপি গেলা রাম নৈমিষ অরণ্যে ॥ যজ্ঞ করাইল তবে মুনিগণ মেলি । যজ্ঞময় যজ্ঞপতি যজ্ঞ-অধিকারী। তুষ্ট হয় তবে রাম দিলা তত্ত্বজ্ঞান। যাহা হৈতে জালি সব তড়িত সমান ॥ যজ্ঞ সমাপিয়া রাম অভিষেক করি । দীপ্ত করে যেন চন্দ্ৰ দিব্য বাস পরি। এইৰূপে অনস্তের অনন্ত মহিমা ব্ৰহ্মা ভব আদি ধার দি•ে নারে সীমা ॥ ৫ামেব চরিত্র ষেবা প্রভাতে স্মঙরে । শুনয়ে ময়ে যেবা গায় উচ্চস্বরে ৷ বিষ্ণুভক্তি হয় তার খণ্ডয়ে ঘুরত। কৃষ্ণপরিষদ হয়ে কৃষ্ণের দয়িত । ভাগবত-আচায্যের মধুর্য-বাণী । বলরাম-পুণ্যকথা প্ৰেমতরঙ্গিণী । ইতি শ্ৰীভাগবতে মহাপুরাণে পরমহংস্তাং সংহিতায়াং বৈমাসিক্যাং দশমস্কন্ধে একোনাশীতিতমোহধ্যায়: ॥৭৯