পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/৫৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কারণ-কারণ তুমি কারণ-শকতি। তোমা বিনে সব যত নাহি কার গতি ॥ তুমি সে স্বর্যের তেজ আগুনের প্রভা। তুমি সে চজের কাস্তি নক্ষত্রের আভা । পুথিবীর ধৈৰ্য্য স্থৈৰ্য্য তুমি গন্ধগুণ । জলের তর্পণ-শক্তি তুমি লে বরুণ । পবনের গতি-শক্তি তুমি তেজ বল । দশদিগ-অবকাশ আকাশমণ্ডল ॥ তুমি নাদ তুমি বর্ণ তুমি লে ওঙ্কার। আকৃতি প্রকৃতি তুমি জীবের আধার। সকল ইঞ্জিয় তুমি ইঞ্জিয়-শকতি। তুমি জ্ঞান তুমি বুদ্ধি তুমি জীবস্মৃতি । তুমি দৈব প্রকৃতি ত্রিৰিধ অহঙ্কার । অসত্য এ সব যত তুমি লভে সার ॥ সত্ব রজ তম তুমি ত্রি গুণ ভণিত। তোমার মায়ায়ে নাথ সকল কল্পিত ॥ তুমি সত্য মাত্র প্রভু এ সব বিকার । তোমা ৰিলে যত দেখি অসত সংলার ॥ এই তত্ত্ব না জানিয়া এ লোক বঞ্চিত। গতাগত দুঃখভোগ করে মুসঞ্চিত। দুল্লত মানুষ-জন্ম পাঞ ভাগ্যবশে । মুঞি মোর বলিয়া মজয়ে গৃহবাসে ॥ স্নেহপাশে বদ্ধ হয়ে পাঞা সুতদার । আপনে বঞ্চিত হয়ে না ঘুচে সংসার ॥ তুমি-দোহে পুত্র নই পুরুষ পুরাণ । তুমি রাম তুমি কৃষ্ণ নিত্য ভগবান। পৃথীর হরিতে ভার কৈলে অবতার। মাম্বুব-লীলায় কর বিচিত্র বিহার । তোমার পদারবিনো লইলু শরণ। প্রপন্নজনের ভবদুঃখ-বিমোচন । তোমাতে মানুষ বুদ্ধি অপত্য গেয়ানে । মুঞিত বঞ্চি ৩ হৈলু অসত্য ধেয়ালে স্থতিগৃহে তুমি নাথ কহিলে সকল। যুগে যুগে ধর তুমি দিব্য কলেবর ॥ নিজ ধৰ্ম্ম রক্ষা কর নানা মূৰ্ত্তি ধরি। তোমার মায়ায়ে তাহ রহিলু পাসরি ॥ বাপের বচন শুনি প্ৰভু নারায়ণে । কহিতে লাগিল৷ কিছু বিনয় বিধানে। তুমি যে কহিলে বাপ সে নহে অন্তথা । পুত্র উদেশিয়া তুমি কহ তত্ত্বকথা । আমি তুমি এ লৰ দ্বারকাবাসিগণ। ৰিচারিয়া বুঝি যদি সব নারায়ণ ॥ শ্রীকৃষ্ণ-প্ৰেমতরঙ্গিণী & 84t নিলেপ লিণ্ড শ আত্মা প্রকাশস্বরূপ । এক আত্মা নানা ভেদ দেখি লালারূপ ৷ যেন জ্যোতি ভূমি জল পবন আকাশ । নানা ভেদে দেখি যেন নানা পরকাশ । এতেক বচন যদি বুলিলা শ্ৰীহরি। তবে বসুদেব রহে চিত্ত স্থির করি ॥ দৈবকী আসিঞ তবে পুত্র সন্নিধালে । পুত্রের মহিমা শুনি কহে বিদ্যমানে ॥ যমঘর হৈতে দিলে গুরুপুত্র আনি । পুত্রের প্রভাব দেখি কি বোলে জননী ॥ কান্দিতে লাগিলা দেবী পুত্র লোঙরণে । কান্দিতে কান্দিতে বোলে অঝোর নয়নে রাম রাম কৃষ্ণ যোগেশ্বর দামোদর । অনাদি পুরুষ তুমি দেব-দেবেশ্বর । ধৰ্ম্ম সংস্থাপন হেতু কৈলে অবতার। পাষণ্ড-খণ্ডন করি হরিবে তুভার ॥ ধার অংশ-অংশে করে উৎপতি প্ৰলম্ব ! ধার ইচ্ছা মাত্রে কোটি ব্ৰহ্মাও উদয় । গুরুপুত্র আনি দিলে গুরুর দক্ষিণ । মুঞি বড় বেয়াকুলী ছয় পুত্রহীনা। ছয় পুত্র কন্স মোর কৈল নিপাতন । আনিঞা দেখাহ মোখে কমললোচন ॥ এতেক ৰচন যদি বুলিলা জননী। স্বতলে প্রবেশ কৈলা রাম চক্রপাণি ॥ যোগবলে প্রবেশিল মুতল-বিবরে । দুই ভাই উত্তরিলা বলির মন্দিরে । রাম-কৃষ্ণে নিকটে দেখিয়া দৈত্যেশ্বর। সভাসদে বলি রাজা উঠিলা সত্ত্বর ॥ লগণে চরণে কৈল দও পরণাম । পুলকে পূরিল তন্তু ভয়ে কম্পমান ॥ নয়নে গলয়ে মীর শিথিল অস্তর। পাদ্য অর্ঘ্য দিয়। বলি পূজিল সত্বর ॥ চরণ পাখালে বলি পুণ্য গন্ধজলে । পূজিয়া ৰসায় বলি আসন উপরে। গগণে সবংশে বলি শিরের উপর। আৱন্ধ-পাবন পুণ্য ধরে পদজল । মহাধন আভরণ বসন ভূষণে । ধূপ দীপ দিয়া পূজে অমৃত-তোজনে ॥ মুগন্ধ চন্দন দিৰ্য অঙ্গে ৰিলেপন। বিৰিধ কুসুমমালা তামূল অর্পণ ।