পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার লীলার ভঙ্গি কোন জনে। বর্ণিব,-—অযোগ্য সকলে শ্রবণে ॥ অতএব বৃন্দাবনে মম স্থিতি । জানিয়ে সতত সমান অস্থিতি । মম সনাশনে হয়েন বিকলে । অন্তৰ্দ্ধান হই তাহাতে বিরলে। আদর্শনে পুন ব্যাকুল দেখিয়া । সাক্ষাৎকার হই সত্বর করিয়া ॥ কোনমতে স্বাস্থ্য শ্রীগোপীজনার। না করিতে পারি—অস্বাস্থ্য আমার ॥ অতএব মহা ঋপিত্ব আমার । সুপ্রসিদ্ধ আছে শ্রীগোপীজনার ॥ অতএব ব্ৰজে না করি গমন । শুন তোমাদের বিবাছে কারণশ্রীগোপিকাগণ-বিরহে যখন। মথ রানগরে কৈলু নিরসন ॥ বিবাহকরণে তথা কোন-ক্ষণে । কোন ইচ্ছা মম নাছি হৈল মনে ॥ ওহে মানিনি ! নতুবা মথ রায়। করিতাম আমি বিবাহ তথায় ॥ তবে অতি-ব্যগ্র মানস হইয়া। স্বয়ম্বরে ভীষ্মমন্দিনী হরিয়া ॥ করিলাম লে বিবাহ যে-কারণ । তাহা কহি ব্যক্ত, করহ শ্রবণ—) আমারে না পায়্যা শ্ৰীমতী রুক্মিণী। প্রাণত্যাগে বাঞ্ছা করিলেন ইনি ॥ আপন আৰ্ত্তির বিজ্ঞপ্তি-লিখন । করিলেন বিপ্রহস্তেতে প্রেরণ ॥ মমজ্ঞাতে পত্রী পঢ়িলা ব্রাহ্মণ । শুনি যাত্রা করিলাম সেইক্ষণ ॥ জরাসন্ধ-শিশুপাল-আদি করি। মহাদুষ্ট-স্বপশ্রেণী-দপ হরি ॥ রুক্সি-প্রভৃতিরে যুদ্ধে করি জয় । দেখিতেছে যত নরপতিচয় ॥ তার মধ্যে হৈতে হরিয়া ইহায়। কুণ্ডিল হইতে আনি দ্বারকায় ॥ আবখ্যক-ক্লত্যে করিলু বিবাহ। নহে মনঃপ্রীতিহেতু সে নিৰ্ব্বাহ । শ্ৰীগোপীগণের সাদৃশ্ব কিঞ্চিত। ৰুক্মিণীতে আমি দেখিয়া বিদিত ॥ মহা-শোকাত্তি-জনক সে দর্শনে। আধিক্যেতে স্মৃতি হৈল গোপীগণে ॥ শ্ৰীবৃহদ্ভাগবতামৃত .6 % তাহাতে পরম আকুলিত-মন। হইলাম অতি ব্যগ্র সৰ্ব্বক্ষণ ॥ ষোড়শ-সহস্ৰ শতাধিক মত। নন্দব্ৰজকুমারিকাগণ যত । পতিত্বে আমারে প্রাপ্তির কারণ । কাত্যায়নীৱত কৈলা আচরণ ॥ তাহাদের কিছু দেখি নিদর্শন। কিছু মুস্থ করিবারে নিজ মন ॥ " তোমাদিগে তাবতেরে দ্বারকায় । করিলাম আমি বিবাহ এথায় । আহে হে ভামিনি ! শুনহ বিদিত। ব্রজের সে সব মুখ স্বনিশ্চিত ॥ মহিমার সহ আমারে ত্যজিল । নিজোচিত-স্থানে ব্রজেতে রহিল ॥ পরমানির্বাচ্য পরম-মোহন । খ্ৰীমন্নন্দ-আদি ব্রজবালিজন ॥ তাহাদের সঙ্গে যে সব বিহার। চিত্র-হৈতে চিত্ৰ—চিত্ত-চমৎকার। তাহাতে অলিন্দসাগর-তরঙ্গে । মন মগ্ন নিত্য থাকিত মুরঙ্গে । ব্রজভূসম্বন্ধি তত্রকালে স্থিত। দিবারাত্রি কিছু না জানি বিদিত । পূতনা-প্রভৃতি দুষ্ট দৈত্যগণ । অবহেলে আমি করিল মারণ ॥ মহা ভয়ানক কালিয় দমন । করি, হ্রদে-হৈতে কৈলু নি:সারণ ॥ অতি উচ্চতর গিরি গোবৰ্দ্ধন। বামহস্তে আমি করিলু ধারণ। বাল্যক্রীড়া-কৌতুকেতে এসকল । করিলাম—যাহে আনন্দ প্রবল । অনিৰ্ব্বচনীয় সস্তোষ-সাগরে । আমি হইলাম নিমগ্ন নির্ভরে ॥ ব্ৰহ্ম-ইঙ্গ-নারদাদি আলি সবে । করিলে আমারে নালাবিধ স্তৰে ॥ তাদের দর্শনে আর সম্ভাষণে । দুঃখ মানি দেব-কাৰ্য্য-বিস্মরণে ॥ সৌন্দৰ্য্য-লাবণ্য-রূপ নিরুপমে । মদনমোহন বেশের মুষমে ॥ পূৰ্ব্বে যাহা কভু না কৈলু বিদিত। তাহে সৰ্ব্বশ্বি কৈলু সংক্ষোভিত। মহাপ্রেমভরে মোহিলু জগত । সমাধিমুখেতে নহে অভিমত ।