পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/৬৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●8२ ক্ষেণে শোক ক্ষেণে মোছ ক্ষেণে দুঃখ ভয় । ক্ষেণে ডুবে ক্ষেণে উঠে আকুলহৃদয়। এইরূপে ভ্ৰমে বিপ্র প্রলয়-সাগরে । অযুত অযুত শত সহস্ৰ বৎসর। এইরূপে ভ্রমে বিপ্ৰ আকুলহৃদয় । কোথা হনে কোথা যায় না দেখে আশ্রয় ॥ এইরূপে কত কোটি রহিল বৎসর । তাকুল হৃদয়ে বিপ্র প্রমে নিরস্তর । এক দিন দেখে বিপ্র একখানি স্থল । এক বটবৃক্ষ দেখে তাহার উপর । ফল ফুলে লম্বিত পল্লব বিরাজিত । ললিত কোমল নবদল মুরঞ্জিত ॥ পূৰ্ব্ব উত্তর ভাগে আছে এক শাখা । তাহার উপরে এক শিশু দিল দেখ ॥ বট পাত্রে আছে শিশু কবিয়া শয়ন । মহা মরকত হাম রাজীব লোচন ॥ নিজ তেজে নিবারিল মহা অন্ধকার । কম্বুগ্ৰীব সুবলিত বক্ষ সুবিশাল ॥ সুন্দর সে ভুক ভঙ্গ মন্দ মধু হাস । চালিত লহরী বাত-বিলোলিত বাস ॥ বিক্রম-অধর-তাস বয়ান মণ্ডল । বিলোল অলকাবলী কপোল মুন্দর ৷ মনোহর শ্রুতিযুগ মকর কুণ্ডল। ত্ৰিবলী বলিত নাভি গভীর উদর ॥ চরণ-পঙ্কজ ধরি বয়ান-পঙ্কজে । অঙ্গুলি পল্লব চষে ধরি দুই ভুজে । দেখিয়া বিস্মিত মুনি ফুল্ল বিলোচন । শিশু দরশনে গেল সব পরিশ্রম ॥ শ্ৰীমদ্ভাগবত ভাবে পুলকিত অঙ্গ গদ গদ ভাষে । পুছিবার তরে মুনি গেল৷ শিশু পাশে। মুখের শোয়াগে মুনি গর্ভে প্রবেশিল । মশা এক গুটী যেন ভ্ৰমিতে লাগিল । গর্ভের ভিতরে মুনি দেখে ত্রিভুবন । পূৰ্ব্বৰত বিস্ময়ে পড়িল ততক্ষণ ॥ দশদিগ অস্তরীক্ষ আকাশমণ্ডল । নদ নদী গিরি দরী কন্দর সাগর ॥ বন উপবন পুর নগর আশ্রম। পঞ্চভুত-বিরচিত স্থাবর জঙ্গম । মুরাক্ষর গন্ধৰ্ব্ব কিন্নর বিদ্যাধর । শশা স্বৰ্য্য গ্ৰহগণ নক্ষত্রমণ্ডল । পুষ্পভদ্রা নদী সেই গিরি হিমালয় । দেখিয়া আকুল মুনি পড়িল বিস্ময় ॥ ত্রিভুবনে দেখে মুনি উদর ভিতরে । মুখের নিশ্বাসে পুল পড়িল বাহিরে । পুনরপি ভাগে সেই প্রলয় সাগরে । সেই বটবৃক্ষে শিশু দেখে আর বারে । সেই বটপত্রপুটে করিয়া শয়ন । করে ধরি চুসে শিশু আপন চরণ ॥ বালক দেথিখা মুনি পুরিল হরিষে । আলিঙ্গন দিতে ধ্যায়। গেল শিশুপাশে ॥ হেন কালে অস্তদ্ধান কৈল শিশুবর। নাহি বট নাছি জল প্রলয়-সাগর । পূৰ্ব্ববত রহে মুনি আপন আশ্রমে । সেই পুষ্পভদ্রা নদী সেই তপোবনে। ভাগবত আচায্যের মধুরস-বাণী । মার্কণ্ডেয় উপাখ্যান পে মতরঙ্গিণী ॥ ইতি শ্ৰীভাগবতে মহাপুরাণে দ্বাদশ স্কন্ধে নবমোছধ্যায়: ॥ ৯ ॥ 家刻寫 @797氮71 স্থত বোলে শুন মুনি অপৰ্ব্ব কাহিনী । ৰিম্মযে পড়িয়া রহে মার্কণ্ডেয় মুনি ॥ ঈশ্বর নিৰ্ম্মিত মায়া-প্রভাব দেখিয়া । নিশ্চলে রছিলা মুনি বিস্ময় ভাবিয়া । প্রভুর চরণে মুনি পশিয়াশরণে । বহুবিধ কৈল স্তুতি প্ৰণতি বন্দনে ॥ হেনকালে ভবদেব ভবানী সহিতে । বুষ-আরোহণ করি যায় শূন্তপথে । সিদ্ধগণ সঙ্গে শিব করে পর্য্যটন। দেখিয়া পাৰ্ব্বতী বিপ্রে কি বোলে ৰচন। দেখ দেখ শিবদেব শঙ্কর মহেশ । তপ সাধে মহামুনি করি নানা ক্লেশ ॥ সকল ইঞ্জিয়গণ রুধিয়া শরীরে । পবন রুধিয়া যোগী রহে যোগবলে। তপ সিদ্ধি কত তুমি দেহ বরদান । সিদ্ধিদাতা তুমি ওজু হর ভগবান।