পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ግ8 প্ৰণাম নৰ্ত্তন স্তুতি বাদ্য গাত অার ! যেইসব লোক করে ভক্তিপুরস্কার ॥ বিলোকেন তাহদের প্রতি প্রেমসাথ ! মহামহিমার পদ—প্ৰভু জগন্নাথ । করিয়া দশন হইলাম মোহযুত । পড়িলাম ভূমিতলে হৈয়া অভিভূত ॥ কতক্ষণপরে তবে পাইয়া চেতন । চাহি পুনৰ্ব্বার তারে করিয়া দর্শন । হইলু উন্মগুতুল্য –ধরিবারে তীরে । বেগে ধাইলাম অগ্ৰে দুবাহু প্রসারে । চিরকাল হৈতে দৃষ্ট—ইষ্ট প্রভুবর। এই জগদীশ অদ্য পাইলু সত্বর ॥ পাইলু জীবন অদ্য পাইলু জীবন । এই কথা অগ্ৰে কহি যাইতে তখন ॥ দ্বারী বেত্রাঘাতে তবে কৈল নিবারিত । বিচার জন্মিয়া হইলাম সলজ্জিত ॥ ‘এই নিবারণ হৈল প্রভুর কুপায় । ইহা অকুমানি আইলাম বাহিরায় ॥ কোন জন দয়ালু হইয়া কৃপাবান । আমারে করিল মহাপ্রসাদাল্ল দান ; সেই মহাপ্রসাদান্ন করিয়া ভোজন । ভগবন্মন্দিরে পুন. করিলু গমন ॥ প্রবেশ করিয়া যাহা হইল দর্শন ! হৈল প্রমোদের পদ আশ্চর্য্যজনন ॥ হৃদয়ে করিতে তাহা শক্তি নাহি হই । অনন্ত-হেতুক কিপ্রকারে মুখে কই ? ? এইমতে সমস্তদিবস দেবালয়ে । থাকিলাম আনন্দাসুভব-পূর্ণাশয়ে ॥ রাত্রি প্রহরেক গতে অতি মহোৎসব । বিচিত্র বেশীদি বৃহচ্ছ.ঙ্গার সম্ভব । হইলে সংপূর্ণ পুষ্পাঞ্জলিমহোৎসব । আইলাম বাহিরেতে সানন্দবিভব ॥ নুতনমূতন আনন্দেতে সাধু-সঙ্গে । দিবারান্ত্রিজ্ঞান লাহি প্রমোদপ্রসঙ্গে ৷ বৃন্দাবন আদর্শনে শোক ছিল যত । সে সকল আমাহৈতে হইল বিগত ॥ "সেবকগণের প্রতি উত্তম করুণা ৷ জগন্নাথদেবের সর্বত্র যায় শুনা | "সেবকের ইচ্ছা প্রভু করেন পালন।” করিলু এ কুপা আহ্বভব বিলক্ষণ ॥ সৰ্ব্বদ শ্রীজগন্নাথদর্শন ব্যতীত । অন্ত কিছু আমারে না রোচে কদাচিত । শ্ৰীমদ্ভাগবত দেবালয়মধ্যে বহু পৌরাণিকগণ । করেন প্রভুর বহু মাহাত্ম্য বর্ণন ॥ তাহাও শুনিতে ইচ্ছা নাহি হয় মন । প্রভুর দর্শনে সদা পাই মুখতম ॥ যদি কিছু দৈহিক চৈত্তিক দুঃখ হয়। দেখিলে পুণ্ডরীকাক্ষ—সদ। পায় ক্ষয়। পাইলাম মথুজপফল ইহা মানি । থাকিলাম বহুদিন আতি মুখ জানি । কতদিনপরে মহাপ্রভুর সেবায় ॥ জন্মিল আমার রুচি একদিন তায় ॥ বহুষত্ব করি সেই সেবা না ঘটিল। তাহাতে মানসে তাপ আমার জন্মিল। ক্ষেত্র-পুরুষোত্তমের রাজা চক্রবর্তী । প্রভুর সেবক মুখ্য—সেবা-অসুবত্তী । রথযাত্রা-আদি মহোৎসবের সময়ে । ক্রমুখ দেখিতে যান নৃপ মহাশয়ে ॥ উদ্যানাদি ভজ হয় হস্তাশ্বাদিপাতে । সজ্জন-সবার হয় দৰ্শন-বিঘাতে ॥ রাজগণে জলে পথ হয় নিবারিতে । হান মোরা নাহি পাই স্বচ্ছন্দ দেখিতে n এইমতে বহু দু:খ জন্মিল হৃদয়ে । নিজ গুরুদেবে দেখিলাম এসময়ে ॥ জগন্নাথদেবাগ্রে বিহবল প্রেমে আতি । মহামুভাবক—ভাবে বিভাবিত-মতি ॥ জগন্নাথ-শ্ৰীমুখ হরিল মম চিত । স:ভাষণা করিতে হইল বিলম্বিত ৷ করিলেন অলক্ষিত-গমন কোথায় । ইতস্তত: অন্বেষিয়া না পাইলু তাৰ । অন্তদিন সমুদ্রের তীরে মহাশয় । শুনিন্দে কীৰ্ত্তন-নৃত্য করেন সংশ্রয় ॥ একক পাইয়। ত’রে দণ্ডের সমান । কfরলাম প্রণাম পড়িয়া ভূমিস্থান ৷ দেখি আশীৰ্ব্বাদপূৰ্ব্ব দিয়া আলিঙ্গন। অনুগ্ৰছে করিলেন সৰ্ব্বজ্ঞ বচন— ॥ মনোবচনাদি-দ্বারা সে সঙ্কল্প করি । জপিবে আপন মন্ত্র—সযত্ন আচার ॥ মস্ত্রের প্রভাবে সেই সব সঙ্কল্পিত । প্রাপ্তি হইবেক—আরো ফল বাঞ্ছার্তীত। জগন্নাথদেবের সেবাহুরূপ হয় । এই মন্ত্রজপ তুমি জানিহ নিশ্চয় ॥ এমত জানিবে, আর বিশ্বাস করিবে । নিজমন্ত্রজপ কদাচিত না ত্যজিবে ॥