পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৰ্ব্বভাগবতগ্রন্থে এই সে তাৎপৰ্য্য । তথাপি সাক্ষাত নাহি তাহাতে প্রাচুর্য্য। অপ্রকাশ-হেতু তাথে রসিকের মন । পূরণ না হয়—এই হেয়ত্ব-কারণ ॥ অতঃপর শুন এক আথান বিশেষ । যার দ্বারা ব্যক্ত চবে ভক্তির নি:শেষ ॥ একদিন মাঘমাসে মুনির সমাজে । প্রাতঃস্নান করিয়া প্রয়াগ তীর্থরাজে । শ্ৰীমাধব-নিকটে বলিয়া হৰ্ষযুত। আপনা কৃতাৰ্থ বলি মানেন বহুত । শ্লাঘাসহ প্রশংসা করিয়া পরস্পরে । কহেন—কৃষ্ণের প্রিয় তুমি নিরস্তরে । মাঘে প্রাতঃস্নান কৈলে কৃষ্ণে ভক্তি হয় । তাথে গঙ্গা-যমুনার সঙ্গম-বিষয় ॥ অতএব তুমি কৃষ্ণপ্রিয় মহাশয়। এই কথা পরম্পর নিরস্তর হয় ॥ ওগো মাতা ! সেইকালে সেই তীর্থকরে। দশাশ্বমেধিক-নাম তীর্থের উপরে ॥ আল্যা এক বিপ্ৰ-সেই-দেশের রাজন। হরিভক্তিপরায়ণ-সহ পরিজন ॥ অশেষ-সম্পদ-যুক্ত—সৰ্ব্বাংশে উত্তম । ব্রাহ্মণভোজন-জন্ত করিয়া উদ্যম ॥ বিচিত্র উৎকৃষ্ট দ্রব্য করিলা সাধন । চব্য চুয্য লেহ পেয়—বহু আয়োজন । অগ্ৰে নিত্যকৃত্য স্নানাদিক সমাপিয়া । পরিষ্কার করাইলা স্থান লেপাইয়া। সত্বর চত্বর তার মধ্যে নির্ধাইলা । স্বহস্তে লেপিয়া চন্দ্ৰাতপ টানাইলা ॥ অত্যন্ত মুন্দর তাথে স্বর্ণের আসনে । শালগ্রামশিলারূপি-কৃষ্ণে যত্নমনে ॥ বসঠিয়া ভক্তিপূৰ্ব্ব—যেমতে বিধান । বহু উপহারে পূজা করি সমাধান ॥ অল্প-পান-বস্ত্ৰ-আদি সামগ্ৰী বহুত । কৃষ্ণ-অগ্রে অর্পণ করিল ভক্তিযুত । আপনি নাচিয়া—মেলি পরিজন সব । গীত-বাদ্য সুললিতে কৈলা মহোৎসব। ততঃপর বেদ-পুরাণাদি-ব্যাখ্যা-ব্যাজে । অস্তোন্ত-বিবাদকারি-ত্রাহ্মণ-সমাজে ॥ যতিগণ, আর যত গৃহস্থ-বকল । ব্রহ্মচারি-আদি পুন যতেক বিরল ॥ লম্পট সৰ্ব্বদা কৃষ্ণকীৰ্ত্তন-আনন্দে । ঐযুত বৈষ্ণবপদ ৰঙ্গিয়া সানন্দে । ঐবৃহদ্ভাগবতামৃত পাদপ্রক্ষালনাদি মধুর ব্যবহারে। বহুত তাদৃশ বাকো তুষিলা সবারে। র্তাদের চরণোদক মস্তকে ধরিয়া । পূজিলা হরিষ-মত আন্নাদিক দিয়া ॥ নীরাজন সবাকারে করিয়া তখন । সমপিলা সযত্নেতে সুমাল্য-চনান ॥ হৈলে বিষ্ণুদীক্ষিত—যে-কোন নীচজাতি । পবিত্ৰ সৰ্ব্বদা—সে-ই “বৈষ্ণব-বিখ্যাতি ॥ বিষ্ণুদীক্ষা-রহিত আছয়ে বিপ্রাশেষ । এ লাগি বৈষ্ণব'-পদ পৃথকৃনির্দেশ । বুঝিয়া সকল শ্রোতাগণ-নিবেদন। পরে দীন-অস্ত্যজাদি করাল্যা ভোজন ॥ সাদরেতে যথা-দ্যায় কৈলা সন্তোষণে । কুকুর-শৃগাল পক্ষি-কুমৗ-আদি গণে ॥ এrপ্রকারে সর্বপ্রাণি-জাতি-তৃপ্তি দিয়া । পরে সাধুসকলের আদেশ পাইয়া। মহাযজ্ঞশেষ সেই পরম মধুর। মৃত্যু-নিবৰ্ত্তক—মুখস্বরূপ প্রচুর। অমৃত খাইলা নিজ ভৃত্য-পরিবার। কুটুম্বাদি-সহ হর্ষ হইয়া অপার ॥ তবে শালগ্রামশিলা-কৃষ্ণাগ্রে আইলা । র্তারে সর্বকৰ্ম্মফল-সঞ্চয় অপিলা ॥ মুখে দেব-ভগবানে করায়্যা শয়ন। উদ্যত হইলা গৃহে গমন-কারণ ॥ দূরে থাকি দেথি শ্রীনারদ মুনিৰর । মুনির সমাজে হৈতে উঠিয়া সত্বর ॥ ‘এই বিপ্রবর্য্য মহাবিষ্ণুপ্রিয়তরা । বারবার এই কথা বলি মুনিবর। র্তার আলাপনে মনে সত্বর হইয়া । বিপ্রেদ্রের নিকটেতে গেলেন ধাইয়া । শ্ৰীকৃষ্ণ পরমোৎকৃষ্ট-কুপার ভাজন । জনসকলের করিবারে বিখ্যাপন ॥ কিম্বা শ্রীকৃষ্ণের কৃপা-বিশেষ অধিকা । চরম-কাষ্ঠার সে অাম্পদ শ্রীরাধিকা । র্তার তত্ত্ব যদ্যপি আপনি হন জ্ঞাত । তথাপি লোকেরে ব্যক্ত করিতে বিখ্যাত কৃষ্ণভক্তি-রসাপানে আসক্ত লম্পট । শ্রীনারদ মহাশয় কহেন স্বঘট— । হে ব্ৰাহ্মণকুলশ্রেষ্ঠ ! আপনি সে হন । শ্রীকৃষ্ণের মহা-অনুগ্রহের ভাজন । যার এতাদৃশ ধন দ্রব্য উদারত্ব । বৈভধ ভগবদ্ধৰ্ম্ম-সম্পাদন-তত্ত্ব ॥