পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* এই বিষ্ণুভক্তিরূপ মহারস হয় । অতি স্বকোমল তাহে পণ্ডিতনিচয় ॥ কৰ্কশ তর্ককণ্টক রোগ নাহি করে। অস্তথা মুখ তা পুন: হয় ত বিস্তরে ॥ তথাপি নিৰ্ব্বাণরত যতেক নরের । প্রবৃত্তি-নিমিত্তে ইথে হেতু বিস্তারের ॥ দৃঢ় যুক্তি বিনা মুক্তি ত্যাগ না করয়ে । ভক্তিমার্গে তাহাদের প্রবেশ না হয়ে ॥ কণ্টকে কণ্টক বিদ্ধ করয়ে নির্গত । কহিছু কিঞ্চিৎ তর্ক ইথে সেইমত ॥ হৃদয়ে মুক্তি-কণ্টক লাগিয়াছে যার । এই তর্ক বিচারিলে হয় ত উদ্ধার ॥ আর যত নবীন শ্ৰীবিষ্ণুভক্তজন । অর্থাৎ অপ্রাপ্তনিষ্ঠী যাহাঁদের মন । মুক্তি হৈতে ভgির মাহাত্ম্য সবিশেষ । শুনি তাহীদের হবে আহলাদ অশেষ । আপনি যদ্যপি মনে বিচারিয়া সব । 'মোক্ষ অতি তুচ্ছ ইহা করি অনুভব । বিশুদ্ধ প্রেমলক্ষণ যেই বিষ্ণুভক্তি । তার নিষ্ঠাসম্পত্তি ইচ্ছহু আমুরক্তি ৷ তবে তব গুরুর আদিষ্ট মন্ত্রবর। নিজোপাস্ত ভজন করুহ নিরস্তর ॥ সেই মোক্ষে এই মহা নিগৃঢ় বচন । ভক্তের হৃদয়ঙ্গম করহ শ্রবণ— । এট ত ব্ৰহ্মাও কোটিপঞ্চাশযোজন । তাহার বাঁহেতে আছে অষ্ট আবরণ ॥ মহী জল তেজ বায়ু আকাশাহঙ্কার। মহৎ প্রধান—অষ্ট কারণ প্রকার । অতিক্রম করি শেষ অষ্ট আবরণ। কাৰ্য্য-কারণাদি সব করি বিলোপন ॥ মহাকালপুর নাম—নিৰ্ব্বাণের স্থান । প্রপঞ্চাতিরিক্ত অনশ্বর তাহা পান ॥ ঈশ্বরস্বরূপ-নহে বাক্যের গোচর । কেবল জ্ঞানেতে যত পণ্ডিতপ্রবর ॥ কোনপ্রকারেতে করে বর্ণন তাহার। কেহ ত সাকার কেহ কহে নিরাকার । কিন্তু পরব্রহ্ম হন পুরুষ-আকার । সুন্দরশরীর—কোটিস্বৰ্য্যতেজঃসার। ভক্তি দ্বারা ভক্তদের নির্ভয় লোচন । সেই ত স্বরূপ সুখে করে নিরীক্ষণ । শুষ্কজানিগণ সেই তেজে অন্ধ হয় । আকার না দেখি তারা “নিরাকার' কয় ॥ ভগবৎসেবকগণ আপন ইচ্ছায়। সেই পদে গমন করিয়া সুখাশয় ॥ ঘনীভূত ব্ৰহ্মরূপ মনোহরাকার । সাক্ষাৎ দর্শন করে কেবল তাহার ॥ অতএব সেস্থানে নিশ্চয় আপনার । দীর্ঘবাঞ্ছা যেই আছে কৃষ্ণ দেখিবার ॥ তার মহাফল হবে সাক্ষাৎ সম্পন্ন । স্বীয় মহামন্ত্র প্রভাবেতে স্বনিম্পন্ন ॥ এই ব্রহ্মলোকগত রাগী যতজন । হয় সেইসকলের পুনরাবৰ্ত্তন ॥ বিরক্তসবার মহাপ্রলয়সময়ে । পিরাদ্ধপরে ব্রহ্মাসহ মুক্তি হয়ে ॥ বহুকাল বিলম্ব হইবে এপ্রকার। না কর যদ্যপি তুমি অপেক্ষ তাহার ॥ তবে শ্ৰীমথুরামধ্যে অতি মনোহর । নিজপ্রিয়া ব্ৰঞ্জভূমি গমন যে কর । ভক্তির মাহাত্ম্য-প্রতিপাদক বচন । তাহাদের এইসব করিয়া শ্রবণ ॥ প্রভুপাদপদ্মে ভক্তি হৈল বুদ্ধিগত । হৃদয়েতে বিচার জন্মিল এইমত— । ‘ঈদৃশী মুক্তিদাসিক ভক্তি হয় ধার। সাক্ষাত পাইলু সেই প্রভু পিত্রাকfয় : তারে পরিত্যাগ আমি করি এইক্ষণে । অচ্চত্র যাইব আমি হাহা কি কারণে ? ' এইমত উদ্বিগ্ন দেখিয়া মোর মন । সেই ভগবান কুপাকারী ততক্ষণ ॥ সকলের অস্তুরায়বৃত্তিজ্ঞ আপনে । সমাদেশ করিলেন শ্ৰীমুখ-বচনে— । অনিৰ্ব্বচনীয় মম পরম ক্রীড়ন । রাসাদিক লীলা তার স্থলী-শ্রেণীগণ ॥ তাহে বিভূষিতা—নিজ প্রিয়তমা অতি । মাথুরিকত্রজভূমে তুমি কর গতি ॥ সেইস্থানে ব্ৰহ্মা তৃণজন্ম বাঞ্ছা করে। ব্ৰহ্মপদ হৈতে তথাবাস প্রিয়তরে ॥ করিয়াছ পূৰ্ব্বে তুমি যাদৃশ দর্শন। ৰহুকালগতেও তাদৃশ ধাম হন। আমার পরমপ্রিয় নিজগুরুবরে । পাৰে পুনৰ্ব্বার সেই বৃন্দাবনাস্তরে। তাহার কৃপায় তুমি সৰ্ব্বতত্ত্বলার। নিশ্চয় জানিবে বৎস । তথা সবিস্তার। মহাকালপুরে মুক্তিপদে ততক্ষণ । জামারে সমাৰু শীঘ্ৰ কল্পিৰে দর্শন।