পাতা:শ্রীমদভগবদগীতা - দেবেদ্রবিজয় বসু.pdf/২০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায় । VOY ঘূৰ্ত্তির পথে বাধা দেয়, তাহার বিনাশ করিতে হয় । মনুষ্য-জগতের ক্ৰমেন্নতি জন্যও উপযুক্ত মানব-সম্প্রদায়ের রক্ষা ও অনুপযুক্ত মানবসমাজের DBK KDBKD S DDDS DBDDDSDDD D DBBBD DBBBDBDS S DD DBDS BDBBD কৰ্ম্মে ও মার্জিত বৃত্তি বিকাশে যে সমাজ যত অধিক অগ্রসর, সে সমাজ তােত রক্ষার উপযুক্ত। সেই উন্নত সমাজেই ধ রক্ষার জন্য ও সমাজবিশেষে উপযুক্ত ধৰ্ম্ম-বিকল্পের জন্য সকল উন্নত মানবের চেষ্টা করা কীৰ্ত্তব্য। অধৰ্ম্ম বিনাশ জন্য যুদ্ধও যদি কৰ্ত্তব্য হয়, তবে তাহা ত্যাগ করিতে নাই। সেই মুদ্ধিরূপ ঘূণ্য কাৰ্য্য করিতে গিয়াও কিরূপে মানুষে নিষ্কামভাবে কৰ্ত্তব্য সাধন করিতে পারে, গীতায় তাহা দেখান হইয়াছে। কৰ্ম্ম ও ধৰ্ম্মকে যে এক সূত্রে গ্রথিত করিতে পারা যায়, আর কোথায়ও তাহা এরূপে বুঝান নাই। অৰ্জ্জুনের ‘যুদ্ধ করিব না’ বলিবার কারণ তিনটি। প্রথমতঃ, যুদ্ধ করিলে, স্বজনগণকে ও অন্য লোককে বধ করিতে হইবে,-লোক হত্যা বা লোককে কষ্ট দেওয়া অন্যায় । দ্বিতীয়তঃ, তাহাতে অৰ্জ্জুনের নিজের চিরজীবন মনে ক্লেশ থাকিবে ও কৃতপাপের জন্য পরকালে নরক-ভোগ হইবে। তৃতীয়তঃ যুদ্ধে লোক হত্যা করিলে, সমাজের ও কুলের ক্ষাত হইবে। ভগবানকে এই তিনটি প্রশ্নেরই উত্তর দিতে হইয়াছিল। প্রথমতঃ কাহাকেও বধ করিলে, তাহার নিজের কোন ক্ষতি নাই। ইহা বুঝিতে ইলেই আত্মতত্ত্ব অর্থাৎ জীবাত্মার আমরতা ও জন্মান্তরবাদ বুঝিতে হয়, এবং শরীরের সহিত আত্মার সম্বন্ধ বুঝতে হয়। এই (স্কুল) শরীরটা অসৎ আর আত্মা (বা জীবাত্মা) সৎ | জরাজীর্ণ শরীরটার ধবংস হইলে, অন্ত নুতন শরীর লাভ করায় দেহীয় লাভ ভিন্ন ক্ষতি নাই। শরীর-নাশ হইবার সম্ভাবনায় আপাততঃ কষ্ট মনে হয়। তাহা ক্ষণস্থায়ী, উহা আত্মাকে রঞ্জিত করিতে পারে না, ইহা বুঝিতে হয় । ইহা বুঝাইতেই এই অধ্যায়ের ১২শ হইতে ৩০শ শ্লোকের অবতারণা। দ্বিতীয়তঃ অৰ্জ্জুন নিজের পাপাশ্ৰিয়ের কথা বলিয়াছেন, জীবহিংসাজনিত