পাতা:শ্রীমদ্ভগবতগীতা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টিপনী ৯-১৫-এই সাতটা শ্লোকে যজ্ঞানুষ্ঠান সম্বন্ধীয় উপদেশ আছে। যজ্ঞের দ্বারা যে দেবগণ পরিতুষ্ট ও প্ৰসন্ন হয়েন, এবং যজ্ঞকারীকে অভিমত ফল প্ৰদান করেন, ইহা বৈদিক ধৰ্ম্মের স্কুলাংশ। ইহাই লৌকিক ধৰ্ম্ম । এ স্থলে এই এক আপত্তি উপস্থিত হইতে পায়ে যে যজ্ঞ সকাম, সুতরাং এই শ্লোকগুলি গীতোক্ত নিষ্কাম ধৰ্ম্মের বিরোধী। মধুসুদন সরস্বতী প্রভৃতি কোন কোন টীকাকার ইহার উত্তরে বলেন, “কৰ্ত্তব্যানুরোধে ধৰ্ম্মের অনুষ্ঠান করিবে, ইহাই গীতাকারের উদ্দেশ্য। ব্ৰহ্মা বলিলেন, তোমরা নিয়মিত যজ্ঞের অনুষ্ঠান করিও, তাহারই অলৌকিক প্রভাবে, তোমরা যখন যাহা বাসনা করিবে তাহা সিদ্ধ,হইবে। অনুষ্ঠানের ফলকামনা না করিলেও কৰ্ম্মের স্বভাবগুণেই উহা প্ৰাপ্ত হইবে।” । সে যাহা হউক, এখানে যজ্ঞ শব্দের মৌলিক অর্থ গ্ৰহণ করিলেই অনেক অংশে উক্তরূপ আপত্তি খণ্ডন হয়। যজ ধাতু দেব পুজার্থে। অতএব যজ্ঞের মৌলিক অর্থ দেবোপাসনা। নবম শ্লোকে যজ্ঞার্থে ঈশ্বর, ইহা ভগবান iDDBBDBBB BD DBBD DBDDB DDDD S SDB D DD শ্ৰতেঃ-যজ্ঞ ঈশ্বর”। শ্ৰীধর স্বামীও ঐ অর্থ গ্ৰহণ করেন, তিনি ও যজার্থে ঈশ্বরই বুৰিয়াছেন। শঙ্করাদি কথিত যজ্ঞ শব্দের অর্থ গ্ৰহণ করিলো, ৯ম শ্লোকের অর্থ এইরূপ হয় যে “ঈশ্বয়ারাধনাৰ্থ যে কৰ্ম্ম তাহা ভিন্ন অন্য সকল কৰ্ম্ম কৰ্ম্মফল-ভোগের বন্ধন মাত্র । অতএব অনাসক্ত হইয়া কেবল ঈশ্বরোদেশেই কৰ্ম্ম করিবে। এইরূপ কৰ্ম্ম মাঘনেই, মনুষ্য মুক্তি লাভ করে* , , ১৫ টীকাকারেরা বলেন, ব্ৰহ্ম শব্দে এখানে বেদ বুঝিবে। এবং