পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা - দেবেন্দ্রবিজয় বসু.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

us, Svrl VIR JS * - ধলে। তাহাই বেদের মন্ত্র-ভাগ । ‘ব্ৰাহ্মণের’ শেষ অংশ ‘আরণ্যক” । আরণ্যকের শেষ অংশ উপনিষদ। এ সকলই শ্রীতি-বেদের অন্তৰ্গত, কিন্তু ইহারা “ছন্দ নহে’ । বেদাঙ্গ-শিক্ষা, কল্পসুত্ৰ প্ৰভৃতিও বেদের অন্তৰ্গত। তাহা শ্রীতিও নহে। বেদের সংহিতা অংশ প্রধানতঃ শ্রুতি চাইলেও, ব্ৰাহ্মণ অংশকেও শ্রুতি বলে । সকল শ্রুতিরই দ্রষ্টা ঋষিগণ । অতএব ঋষিগণ যে সত্য দর্শন করিয়া প্ৰকাশ করিয়াছেন, যাহা বহু অতীতকাল হইতে গুরুপরম্পরাক্রমে শ্রুত হইয়া শিষ্যগণ লাভ করিয়া আসিতেছিলেন,-তাহাই শ্রুতি। বেদব্যাস ইত্যার যে অংশ সংগ্ৰহ করিয়া চারি বোদরূপে বিভক্ত করিয়াছিলেন, তাহাই বেদ-সংহিতা । তঃ বেদের মন্ত্রভাগ । তাহাই ছন্দ । আর শ্রীতির অপর অংশমধ্যে যাহা ব্ৰহ্মপ্রতিপাদক জ্ঞানকাণ্ডাত্মক, তাহ ব্ৰহ্মসূত্ৰপদ বা উপনিষদ। ঋষিগণই বিবিধ ছন্দে ও ব্ৰহ্মপ্রতিপাদক শ্লোকে ও উপনিষদ বা বেদাস্তবাক্যে এ তত্ত্ব প্রচার করেন। সেই ছন্দে এবং প্রাচীন শ্লোকে বা উপনিষদে এই ক্ষেত্ৰ-ক্ষেত্ৰজ্ঞ-তত্ত্ব নানা প্রকারে প্রচারিত হইয়াছে । অতএব এস্থলে সঙ্কলিতাৰ্থ এই যে, এই ক্ষেত্ৰ-ক্ষেত্ৰজ্ঞ-তত্ত্ব,-যাহা ব্ৰহ্ম-তত্ত্বের অন্তৰ্গত, তাহা ঋষিগণ পূর্বে বিস্তারিতভাবে, নানাপ্রকারে বেদ-সংহিতায় ও বহু ব্ৰহ্মসূত্ৰপদে বিবৃত করিয়াছেন। অনেকে মনে করিতে পারেন যে, বেদে ত বহু দেবতার স্তুতি আছে *Jত্র, তাহাতে ঈশ্বরতত্ত্ব, জীবতত্ত্ব বা জগত্তত্ব সম্বন্ধে উপদেশ কোথাও নাই । ঋগ্বেদে বহু দেবতার স্তুতি আছে সত্য, কিন্তু স ক ল দেবতাই সে সেই “এক” আত্মার বিভূতি, সেই এক আত্মারই যে অধিদৈবতারূপ, **বিভাগ হেতু যে কৰ্ম্মের নিয়ন্ত পরমাত্মার অনন্ত ভাগ্য বা শক্তি ** এই বিভাগ-কল্পনা, তাহাই উপদিষ্ট হইয়াছে। নিরুক্তকার এইরূপ *্যাখ্যা করিয়াছেন। ঋগ্বেদেই। ইহা উক্ত হইয়াছে। যথা