পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা - দেবেন্দ্রবিজয় বসু.pdf/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

TT || yAS) মহাভূতগণ, অহঙ্কার, বুদ্ধি আরঅব্যক্ত, ইন্দ্ৰিয়গণ-দশ এক আর, আর সেই পঞ্চ-যাহ ইন্দ্ৰিয় গোচর,- ॥ ৫ মহাভূতগণ-সূক্ষ্মীভূতগণ। মহৎ অর্থে বৃহৎ ব্যাপক। সকল প্রকার বিকারের ব্যাপক বলিয়া স্থলভূত সমূহের কারণ-স্বরূপ যে সূক্ষ্মভূতসমূহ তাহাই মহাভূত । ইহারা ইন্দ্ৰিয়ের অগোচর ( শঙ্কর ) । পৃথিবী, অপ তেজ, বায়ু ও আকাশ-এ সকল ক্ষেত্ৰ-আরম্ভক দ্রব্যই মহাভূত (রামানুজ)। ভূমি প্রভৃতি পঞ্চভূত, (মধু, স্বামী, বলদেব)। শরীরের উপাদান দ্রব্য পৃথিব্যাদি পঞ্চভুত ( কেশব)। সূক্ষ্মী অপঞ্চীকৃত পঞ্চভূত -ইহারা পঞ্চতন্মাত্র বা পঞ্চসূক্ষ্মভুত ইন্দ্ৰিয়ের, অগোচর (*夺颈fa可 ) অতএব কোন কোন ব্যাখ্যাকারের মতে মহাভূত অর্থে সূক্ষ্মভুত, কাহার মতে তন্মাত্র, কাহারও মতে স্থলভূত । শঙ্কর বলিয়াছেন যে, এই শ্লোকে পরে “পঞ্চ ইন্দ্ৰিয়গোচর” বস্তুর উল্লেখ আছে, তাহারাই স্থলভূত । এস্থলে যে মহাভূত উক্ত হইয়াছে, তাহ অবশ্য ইন্দ্ৰিয়ের অগোচরণৰতরাং স্বাক্ষ্মভুত। সুক্ষ্মভুত ইন্দ্ৰিয়ের গোচর নহে। সাংখ্য মতে ইহাদিগকে পঞ্চতন্মাত্র বলা হইয়াছে। রূপ রস শব্দ গন্ধ ও স্পর্শ ইহারাই পঞ্চতন্মাত্র। তন্মাত্ৰ হইতে স্থূলভূতের সৃষ্টি "ইহঁয়াছে । শব্দ হইতে আকাশের সৃষ্টি, স্পর্শ হইতে বায়ুর সৃষ্টি ইত্যাদি। যাতরাং তন্মাত্র স্থলভূতের কারণ বলিয়া তাহাদিগকে মহাভূত বলা যাইতে পারে । কিন্তু এ অর্থে এক আপত্তি হয়। পঞ্চভূতের মধ্যে যাহা ইজিয়**'চর্ম-যাহ ইন্দ্ৰিয়ের বিষয়, তাহাইত তন্মাত্র শব্দস্পশাদিই আমাদের ইজিয়-গোচর। আর তাহা হইতেই তা আমাদের স্থূলভূতের জ্ঞান হয়। যাতরাং পঞ্চ মহাভূতাদিগকে সাংখ্যোক্ত তন্মাত্র কিরূপে বলা যাইতে