পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা - দেবেন্দ্রবিজয় বসু.pdf/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Start Oys S হয়। তাহারপর “আত্মনঃ আকাশঃ সস্তুতঃ” ইত্যাদি ক্ৰমে, এই অহঙ্কার হইতে আকাশ, আকাশ হইতে বায়ু, ইত্যাদি ক্ৰমে মহাভূতগণের স্বষ্টি হয়। এইরূপে বেদান্ত হইতেও অব্যক্ত, বুদ্ধি, অহঙ্কার ও পঞ্চ মহাভূততত্ত্ব জানা যায়। যাহা হউক, ভগবান গীতায় প্ৰকৃতিকে বা অব্যক্তকে তাহার বলিয়াছেন। সুতরাং প্ৰকৃতি বা অব্যক্ত স্বতন্ত্রা নহে। এইরূপে গীতায় সাংখ্য ও বেদান্ত মতের সামঞ্জস্য হইয়াছে ৷ প্ৰকৃতি অনাদি হইলেও তােহা ভগবৎশক্তির অভিব্যক্তিরূপ মাত্র। अशवान् १८ (ौडा, १l8 cवांटक ) दलिब्रांछन “ভূমিরাপোহনলো বায়ুঃ খং মনো বুদ্ধিরেব চ | ত্বমহঙ্কার ইতীয়ং মে ভিন্ন প্ৰকৃতিরষ্টধা ॥ অপরেয়মিতত্ত্বন্যাং প্রকৃতিং বিদ্ধি মে। পরাম। জীবভূতাং মহাবাহো যয়েদং ধাৰ্য্যতে জগৎ ৷” এই শ্লোক হইতে, জানা যায় যে, ভগবানের প্রকৃতি আটভাগে ভিন্ন হয়। এই আটভাগে ভিন্ন প্ৰকৃতিকে অপরা প্ৰকৃতি বলে। এই আটের নাম-পঞ্চমহাভূত-ভূমি, অপ, অনল, বায়ু ও আকাশ, আর বুদ্ধি, মন ও অহঙ্কার। ইহাদের মধ্যে মূল প্রকৃতি বা অব্যক্তকে গ্ৰহণ কৰা হয় নাই । কারণ, ইহারা সেই অব্যক্ত প্ৰকৃতিরই ব্যক্তিরূপ, প্ৰকৃতিই এইরূপে অষ্টধা ভিন্ন। কিন্তু এই আলোচ্য শ্লোকে অব্যক্ত গৃহীত হইয়াছে। কারণ, আৰ্যক্তই ক্ষেত্রের মূল উপাদান। সুতরাং উক্ত শ্লোকের সহিত এ Cনাকের কোন বিরোধ নাই। তবে একটি কথা বুঝিতে হুইবে । সাংখ্যদর্শন হইতে জানা যায় যে, মূল প্ৰকৃতি এক-অবিকৃত। তাহা হইতে সপ্ত প্ৰকৃতি-বিকৃতির উৎপত্তি হইয়াছে। মূল প্ৰকৃতি ও সপ্ত একতি-বিকৃতি-ইহাই প্ৰকৃতির মূল অষ্ট্ররূপ। মন তাহার অন্তভূত নহে । কারণ, মন কেবল বিকৃতি-অহঙ্কারের কাৰ্য্য। এইজন্য এস্থলে । “প্ৰথমে এই আট তত্ব উক্ত হইয়াছে; যথা,-মহাভূত পােচ, তুহাদের