পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা - দেবেন্দ্রবিজয় বসু.pdf/২০৮

Yb8 শ্ৰীমদভগবদগীতা । কেশবচাৰ্য্য বলেন,-পুৰ্ব্ব-শ্লোকে যে ব্ৰহ্মতত্ত্ব উক্ত হইয়াছে, তাহাই এই শ্লোকে প্ৰতিপন্ন করা হইয়াছে। শ্রুতিতে আছে “অপাণিপাদো যবনে গৃঙ্গীত পশুত্যচক্ষুঃ সা শৃণোত্যকৰ্ণঃ।” ইহা হইতে জানা যায় যে, ব্ৰহ্ম অনিন্দ্ৰিয় হইলেও সর্বদিকে দর্শন করেন, শ্ৰবণ করেন, গ্ৰহণ করেন। পরমাত্মা সৰ্ব্ব পাণিপাদবিরহিত হইলেও গ্ৰহণ, গমন, দর্শন, শ্রবণ আদি সংৰকাৰ্য্যে তঁাহার কর্তৃত্ব র্তাহার অনন্ত শক্তিযোগে নিরূপিত হয় । শ্রুতি বলিয়াছেন, “তথা বিদ্বান পুণ্যপাপে বিধুয় নিরঞ্জনঃ পরমং সাম্যমুপৈতি”। গীতাতেও আছে, - “ইদং জ্ঞানমুপাশ্ৰিত্য মম সাধৰ্ম্ম্যমাগতাঃ।” এইরূপে শ্রুতি-স্মৃতিতে জীবাত্মার সহিত ব্ৰহ্মের সাম্য উক্ত হইয়াছে : এই সাম্যাভাবাপন্ন প্ৰত্যাগাত্মার ইন্দ্ৰিয়নিরপেক্ষ হইয়াও গ্ৰহণ, গমন, দর্শন প্ৰভৃতি ক্রিয়া সম্ভব হয়। সেই পরিশুদ্ধস্বরূপ প্ৰত্যাগাত্মা এই জন্ত সৰ্ব্বত্ৰ পাণিপাদ-চক্ষু-শিরোমুখ-শ্রোত্র হন । - বল্লভ সম্প্রদায় অনুসারে ব্যাখ্যা এইরূপ, এই শ্লোকে যে ব্ৰহ্ম বর্ণিত হইয়াছেন, যিনি ‘মৎপর বা মৎস্থান ভুত” ব্ৰহ্ম, তিনি “সৰ্ব্ব ৩৪ পাণিপাদ” শব্দ দ্বারা সৰ্ব্ব ক্রিয়াশক্তি ও সৰ্ব্ব-সেব্যত্ব (সৰ্ব্বারূপে ভগবানকে সেবা করিবার শক্তি ) নিরূপিত হইয়াছে। ‘সর্বতোহক্ষিশিরোমুখম’’ এই বিশেষণের দ্বারা সৰ্ব্বজ্ঞানত্ব ও সৰ্বমুখত্ব উক্ত হইয়াছে। সৰ্ব্বত্র শ্রুতিমৎ এই বিশেষণ দ্বারা সকল ভক্তের স্তুতি-শ্রবণের যোগ্যত্ব উক্ত হইয়াছে। এই পাঁচ শ্লোকে যে ব্ৰহ্মতত্ত্ব বিবৃত হইয়াছে,শঙ্করপ্ৰমুখ ব্যাখ্যাকারগণ তাহা সেই জ্ঞেয় অনাদিমৎ পরম ধন্মের স্বরূপ বলিয়াই বুঝিয়াছেন, কিন্তু gBBD DLDDBODDS DBB SBDBBK SBgSDgDDBDBD SKEY BBBD DBSDBKB G DD BDDLDLL YYLS D LDsBBuDS LEYS ভোগ্যরূপে নিত্য প্ৰকাশিত থাকেন, তাহার মধ্যে ঈশ্বরের স্বরূপ এই কর্ম শ্লোকে বিবৃত হইয়াছে। আর পুর্ক-শ্লোকে মুক্ত জীবাত্মা বা প্ৰত্যগীত