পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা - দেবেন্দ্রবিজয় বসু.pdf/২১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sbb" ॐीभन्डशदीडा । যাহা কিছু ধারণ ও বিচরণাদি ব্যাপার, সে সমুদায়ই সেই জীবিভাবে দেহ প্ৰবিষ্ট ব্ৰহ্মের ‘সৎ ভাবকে সুচনা করিয়া থাকে। এই কারণে এই ইন্দ্ৰিয়গণকে জ্ঞেয় ব্ৰহ্মের সত্তার জ্ঞাপক বলিয়া উক্ত হয়। এই প্রকার প্ৰয়োগকে উপচার বলা যায়। অর্থাৎ ইহা দ্বারা সাক্ষাৎভাবে ব্ৰহ্মকে নির্দেশ না করিয়া গৌণভাবে নির্দেশ করা হয়। “সর্বত্ব ঃ হস্ত পদ” যে ভাবে ব্যাখ্যাত হইল, সেই ভাবে এই শ্লোকের অন্য বিশেষণ ও ব্যাখ্যা করিতে হইবে । অর্থাৎ, এই ভাবে সর্বপ্রাণীর মুখ, চক্ষু, শির ও কর্ণযুক্ত সেই এক ব্ৰহ্ম-ইহা বুঝিতে হইবে।” শঙ্কর অদ্বৈতবাদ অনুসারে এইরূপে জীব ও ব্রহ্মের একত্ববাদ বা অভেদবাদ স্থাপন করিয়াছেন, এবং তদনুসারে এই শ্লোকের ব্যাখ্যা করিয়াছেন। অবশ্য জীবব্রহ্মের ভেদবাদ দ্বারা এই শ্লোকের সঙ্গত অৰ্থ হয় না । জীবব্ৰহ্ম-ভেদাবাদে ব্ৰহ্ম স্ত্ৰেয় চিন না । কেবল জগৎকারণরূপে ব্ৰহ্ম স্বরূপতঃ জ্ঞেয় হন না, তাহা পুর্বে উক্ত হইয়াছে। আত্মাষ্ট আমাদের অপরোক্ষ অনুভূতির বিষয় । সেই আত্মজ্ঞান যখন পরিশুদ্ধ হয়, উপাধি রূপ পরিচ্ছেদশূন্য হয়, তখন সেই আত্মজ্ঞানেই ব্ৰহ্মজ্ঞান সিদ্ধ হয় । আয় बाब्राँझे ব্ৰহ্ম জ্ঞেয় হন। প্রতিক্ষেত্রে ক্ষেত্ৰজ্ঞাত্মা হস্তপদাদি উপাধি-স্বজ। আর উপাধিমুক্ত আত্মা অপাণিপাদ । ইহা হইতে সৰ্ব্বাত্মরূপ ব্ৰহ্ম সৰ্ব্বতঃ হস্তপদাদি উপাধিযুক্ত জ্ঞান হয়। আবার সর্বোপাধিশুন্য আত্মস্বরূপ জ্ঞান হইতে ব্ৰহ্ম ও যে সৰ্ব্বোপধিশুন্য, ইহাও জানিতে পারা যায়। এজন্ম গীতায় পরব্ৰহ্মকে কেবল “সর্বত্ব ঃ পাণিপাদ” ইত্যাদি যে বলা হইয়াছে, তাহা নহে। পরবত্তী শ্লোকে আছে, তিনি “সর্বেন্দ্ৰিয়বিধর্জিত ।” অর্থাৎ পাণি, পাদ, মুখ, শিরঃ, চক্ষু, শ্রোত্র এ সব কিছুই ব্ৰহ্মের নাই; ব্রহ্মে এ* উপাধি কিছুই আরোপিত হইতে পারে না। অতএব গীতা অনুসাৰে পরব্ৰহ্ম সৰ্ব্বত্ৰ পাণিপাদদি বা সৰ্বেন্দ্ৰিয়যুক্তও বটেন, তিনি সৰ্ব্ব ইঞ্জিী" বিবর্জিতও বটেন । “আছে” ও “নাই” ইহারা পরস্পর বিরোধী শৰ্ম্ম ।