পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা - দেবেন্দ্রবিজয় বসু.pdf/২৭৬

SGS শ্ৰীমদভগবদগীতা । করেন ( পাতঞ্জল দর্শন ১১, ২ সুত্র ) । তখন স্বতন্ত্র জ্ঞেয় থাকে না, জ্ঞাতার মধ্যে জ্ঞেয় বিলীন হইয়া যায়। তখন জ্ঞান কেবল জ্ঞাতা-স্বরূপেই আপনাকে প্ৰতিষ্ঠা করে। সেই শুদ্ধ জ্ঞাতা-স্বরূপ আত্মাই ব্ৰহ্ম। প্ৰমাতা-রূপে, বিজ্ঞাতারূপে ব্ৰহ্ম জ্ঞানে প্ৰতিভাত হন। এই পরম বিজ্ঞাতারূপেই ব্ৰহ্ম জ্ঞানগম্য। ব্ৰহ্মই জ্ঞান, ব্ৰহ্মই জ্ঞাতা, ব্ৰহ্মই জ্ঞেয়। ব্ৰহ্মই প্ৰমাতা চৈতন্য, প্ৰমাণ চৈতন্য ও প্ৰমেয় চৈতন্য। এই ত্ৰিপুটী ব্ৰহ্ম একীভূত। ব্ৰহ্মজ্ঞান—এইরূপে জ্ঞাত জ্ঞেয় ও জ্ঞানস্বরূপ। সেই জ্ঞান আমাদের চিত্তে গ্ৰতিবিন্বিত হইয়া, তাহাতে জ্ঞাত জ্ঞেয় ও জ্ঞান এ তিনের প্রকাশ হয় । তিনি ব্যতীত আর কেহ জ্ঞাতা নাই- “নান্য দস্তি বিজ্ঞাত।” তিনিই একমাত্র বিজ্ঞাতা, আর কিছু দ্বারা সে বিজ্ঞাতাকে জানা যায় না৷-“বিজ্ঞাতারম্ আরে কেন বিজানীয়াৎ’ ( ছান্দোগ্য ৩,৪৩৪) । অতএব এই জ্ঞানগম্য শব্দের দ্বারা সেই বিজ্ঞাতাই নির্দিষ্ট হইয়াছেন । নিৰ্ম্মল জ্ঞানে ব্ৰহ্মই একমাত্র বিজ্ঞাতা-রূপে প্ৰকাশিত হন। তখন সাধক আর আপনাকে পরিচ্ছিন্ন বিজ্ঞাত বলিয়া বোধ করে না। চিত্তে প্ৰতিবিম্বিত তাহার পরিচ্ছিন্ন বিজ্ঞাতারূপের অন্তরালে যে ব্ৰহ্মস্বরূপ-পরমাত্মাস্বরূপে বিজ্ঞাতা অবস্থিত থাকিয়া, তাহাকে বিজ্ঞাত করিয়াছে, তাহা সে বুঝিতে পারে। জ্ঞান তাহাতেই বিলীন হইতে চায়। অতএব ব্ৰহ্ম নিৰ্ম্মল জ্ঞানে বিজ্ঞাত রূপেই গন্য । ব্ৰহ্মই যে আমার মধ্যে বিজ্ঞাতা, তাহা মলিন জ্ঞানে ধারণা হয় না। যেমন আত্মজ্ঞান চিত্তে প্ৰতিফলিত হয়, সেইরূপ সে চিত্তও で下町に5 প্ৰতিবিম্বিত হয়। এই প্ৰতিবিম্ব হেতু আমাদের আত্মাতে চিত্তের 反娴1 পড়ে ; চিত্ত যদি নিৰ্ম্মল হয়, তবে তাহাতে কেবল আত্মারই ছা! পড়ে, আত্মা সেই প্ৰতিবিম্বেই আত্মাকে দর্শন করে। 宿で "F হইলে আত্মার ছায়াও তাহাতে মলিন হয়, চিত্তে আর আত্মদর্শন হয় না।