পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা - দেবেন্দ্রবিজয় বসু.pdf/৪০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vers শ্ৰীমন্তগবদগীতা । সমুদায় নষ্ট হইয়া যায়, চিত্ত সম্পূর্ণ নিৰ্ম্মল হয় এবং সেই নিৰ্ম্মলচিত্তেই আত্মদর্শন হয়। এই জন্য এ স্থলে উক্ত হইয়াছে যে, কৰ্ম্মযোগই আত্মদর্শনের উপায় । অন্য কোনরূপ যোগ অবলম্বন না করিয়াও কেবল এই কৰ্ম্মযোগসাধন করিলেই ইহার ফলে পরিণামে আত্মদর্শন হয় । এ স্থলে বল্লভ-সম্প্রদায়ের অনুযায়া ব্যাখ্যা বুঝিতে হইবে। গীতাৱ :সপ্তম অধ্যায়ের শেষে ও অষ্টম অধ্যায়ের প্রথমে পরমেশ্বরের সমগ্ৰ ভাবনিগুৰ্ণ ব্ৰহ্মভাব, অধ্যাত্মভাব, অধিকৰ্ম্মভাব, অধিদৈৰ ভাব, অধিভুতভাৰ ও অধিযজ্ঞ ভাব উক্ত হইয়াছে। এই ভগবানের কৰ্ম্মভাৱ বুঝাইতে কৰ্ম্মকে ভূতভাবের উদ্ভাবকর বিসর্গ বলা হইয়াছে (৮০)। ভগবানের ৰে বিসর্গ বা বিস্মৃষ্টি স্বারা ভূতভাবের উদ্ভব অর্থাৎ উৎপত্তি, স্থিতি ও পরিণতি হয়, তাহাই কৰ্ম্ম। অতএব এ স্থলে কৰ্ম্মযোগের অর্থ ভগবানের এই অধিকৰ্ম্মভাব তদনুযায়ী কৰ্ম্ম দ্বারা আপনাতে অনুভব করা। কিন্তু এই কৰ্ম্মযোগ দ্বারা অধিকৰ্ম্মভাবে ভগবানকে অনুভব করিলে, ক্রমে তাহার সমগ্ৰ ভাব অনুভব করা হয় । আত্মদৰ্শন-অৰ্থাৎ পূর্বে ২২শ শ্লোকে যে পুরুষ এই দেহে থাকিয়াও দেহ হইতে পরা ৰা পৃথক এবং শ্রেষ্ঠ বলিয়া উক্ত হইয়াছে, তিনিই পরমাত্মা মহেশ্বর। এ স্থলে সেই পুরুষকেই আত্মা বলা হইয়াছে। প্ৰকৃতি হইতে এই পুরুষকে পৃথক জানিয়া পুরুষের ষে স্বরূপ-দর্শন, তাহাই আত্মদর্শন। পূর্বে যে তত্বজ্ঞানার্থ দর্শনের কথা উক্ত হইয়াছে এবং যাহা জ্ঞানের স্বীপ, তাহাই এই আত্মদর্শন। প্ৰকৃতি-পুরুষ এই দুই তত্ব। আত্মশ্ব** পুরুষকে দর্শন করিতে হইলে তৎপুর্বে প্ৰকৃতির স্বরূপ জ্ঞান ও প্রকৃতিকে দর্শন করা প্রয়োজন। আত্মদর্শন হইলেই তত্ত্বজ্ঞানী *पन्न जिक्षी हब्र ।